১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রবিবার,রাত ১০:১৫

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধনের ইঙ্গিত

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২০, ২০২২

  • শেয়ার করুন

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধন করা হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক। গতকাল বৃহস্পতিবার ডিসি সম্মেলনের সমাপনী অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে এ আভাস দেন আইনমন্ত্রী। রাজধানীর ওসমানি স্মৃতি মিলনায়তনে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

আইনমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট নিয়ে জাতিসংঘের হিউম্যান রাইটস অফিসের সঙ্গে দুবার আলোচনা করেছি। মানবাধিকার কমিশনকে অবহিত করা হয়েছে যে, আমরা আলোচনার জন্য প্রস্তুত। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধন হতে পারে। জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনের সঙ্গে আলোচনার উল্লেখ করে আনিসুল হক এমন ধারণা দিলেন।

আইনমন্ত্রী আরও বলেন, ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট নিয়ে জাতিসংঘের হিউম্যান রাইটস অফিসের সঙ্গে দু’বার আলোচনা করেছি। একটি কমিটি করা হয়েছে। মানবাধিকার কমিশনকে অবহিত করা হয়েছে যে, আমরা আলোচনার জন্য প্রস্তুত। তারা যেন দ্রæতই সে আলোচনার তারিখ জানায়। তাদের নির্ধারিত তারিখ অনুযায়ী আমরা আলোচনায় বসতে রাজি আছি।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধন ইস্যুতে আলোচনার জন্য লেজিসলেটিভ বিভাগের সচিবের নেতৃত্বে আইন ও বিচার বিভাগ, আইসিটি, স্বরাষ্ট্র এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিদের নিয়ে ৬ সদস্যের কমিটি করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে যে, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করার সঙ্গে সঙ্গে এটা যেন মামলা হিসেবে গ্রহণ করা না হয়। আইসিটি অ্যাক্ট অনুযায়ী যেন সেলে পাঠিয়ে দেয়া হয়। তিনি বলেন, সংবাদকর্মীদের যেন তাৎক্ষণিক গ্রেফতার করা না হয়, সে ব্যাপারে পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। আর এমন নির্দেশনার পর এই আইনে সাংবাদিকদের গ্রেফতার অনেকাংশে কমে গেছে।

কমিটির কাজ সম্পর্কে জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, এই আইন প্রধানত সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যে করা হয়েছে। বাক-স্বাধীনতা বা সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা হরণ করার জন্য করা হয়নি। সেটা যদি করা হতো, এটা আইন হিসেবেই গণ্য হত না। কারণ সংবিধানে মৌলিক অধিকার হিসেবে বাক-স্বাধীনতা এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে রাখা হয়েছে। আমরা একটু আগে এমন আইন করেছি। তবে এরই মধ্যে অনেক দেশেই করা হয়েছে। অনেক দেশ এই আইন করা আবশ্যক মনে করছে।

আনিসুল হক বলেন, এই আইন যখন বাস্তবায়ন করা হয়, সেখানে কিছু মিসইউজ ও কিছু অ্যাবিউজ হয়েছে। এগুলো যাতে না হয়, সে জন্য জাতিসংঘের হিউম্যান রাইটস অফিসের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে সারা পৃথিবীর বেস্ট প্রাকটিসগুলো নির্ণয় করে তা থেকে আমাদের দেশের জন্য প্রয়োজনীয় অংশটুকু হয়তো আমরা বিধি দিয়ে গ্রহণ করব। প্রয়োজন হলে আইনের বিধিবিধান কিছু সংশোধনও করা হবে।’ নির্বাচন কমিশন গঠনে সংসদের চলমান অধিবেশনে আইন পাসের চেষ্টা করা হবে বলেও জানান মন্ত্রী।

ভাল লাগলে শেয়ার করুন
  • শেয়ার করুন