২৫শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, সোমবার,রাত ৩:৪২

আল্লামা শফীর দাফন সম্পন্ন, জানাজায় মানুষের ঢল, সামলাতে ১০ প্লাটুন বিজিবি

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২০

  • শেয়ার করুন

দেশের শীর্ষ আলেম ও হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা আহমদ শফীর দাফন সম্পন্ন হয়েছে। শনিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুর সোয়া ২টার দিকে তার দাফন সম্পন্ন হয়।

এর আগে তার জানাজায় ইমামতি করেন তার ছেলে মাওলানা মোহাম্মদ ইউসূফ। জানাজা শেষে মসজিদ সংলগ্ন কবরস্থানে দাফন করা হয় দেশের জ্যেষ্ঠ এ আলেমকে।
তার জানাজায় অংশ নিতে চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে মানুষের ঢল নামে। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে জেলার চার উপজেলায় কাজ করছে ১০ প্লাটুন বিজিবি ও ৭ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বাধীন টহল দল।
আরও পড়ুন: আল্লামা শফীর জানাজায় মানুষের ঢল, সামলাতে ১০ প্লাটুন বিজিবি
হেফাজত আমির ও বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের সাবেক সভাপতি আল্লামা আহমদ শফীর জানাজায় অংশ নিতে লাখো মানুষের ঢল নামে হাটহাজারির দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম মাদ্রাসা এলাকায়। শনিবার ভোর থেকেই চট্টগ্রামের রাউজান, রাঙ্গুনিয়া, হাটহাজারী, সাতকানিয়া ও পটিয়াসহ নানা উপজেলা থেকে আসতে থাকেন তার অনুসারীরা। জড়ো হয়েছেন ঢাকা, রাজশাহী ও সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে হাজারো মানুষ।
আহমদ শফীর মৃত্যু ও জানাজাকে কেন্দ্র করে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে শুক্রবার রাত থেকেই সতর্ক অবস্থানে রয়েছে প্রশাসন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ৪ উপজেলায় ১০ প্লাটুন বিজিবি ও ৭ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করছেন।
হৃদরোগসহ বার্ধক্যজনিত নানা জটিল রোগে ভুগছিলেন ১০৪ বছর বয়সী হেফাজতে ইসলামের আমির আহমদ শফী। শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর আজগর আলী হাসপাতালে মারা যান তিনি।
দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ আহমদ শফীকে বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। শারিরিক অবস্থার অবনতি হলে শুক্রবার বিকেলে তাকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকায় আনা হয়। পরে সন্ধ্যায় মারা যান কওমি মাদ্রাসাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে পুরনো মাদ্রাসা হিসেবে পরিচিত চট্টগ্রামের হাটহাজারী দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম মাদ্রাসার সাবেক এই মহাপরিচালক। তার শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী হাটহাজারী মাদ্রাসায় জানাজা শেষে দাফন করা হয় তাকে।

ভাল লাগলে শেয়ার করুন
  • শেয়ার করুন