২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার,বিকাল ৫:৩৮

যশোরে তিন উপজেলায় ১৯ ক্লিনিক ডায়াগনস্টিক সিলগালা: লাইসেন্স নবায়নে আল্টিমেটাম ৫৪টিতে

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২১

  • শেয়ার করুন

মিলন হোসেন বেনাপোল।
হালনাগাদ লাইসেন্স করতে যশোরের তিন উপজেলার ৫৪টি বেসরকারি হাসপাতাল ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার মালিককে ১৫ দিনের আল্টিমেটাম দেয়া হয়েছে। যশোরের সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীনের স্বাক্ষরিত পরিপত্রে ২৩ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) প্রতিষ্ঠান মালিকদের কাছে পাঠানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন তথ্য কর্মকর্তা ডা. রেহেনেওয়াজ।
এদিকে, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক-সেবিকা না থাকাসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে তিন উপজেলায় ইতোমধ্যে ১৯টি ক্লিনিক- ডায়াগনস্টিক সেন্টার সিলগালা করা হয়েছে।
সিভিল সার্জন অফিস জানিয়েছে, স্বাস্থ্য অধিদফতরের ঘোষণা অনুযায়ী নতুন প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স গ্রহণ ও পুরাতন প্রতিষ্ঠান গুলোর লাইসেন্স নবায়ন করার জন্য তাগিদ দেয়া হয়। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ৫৪ টি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিকের আবেদন অধিদফতরে জমা পড়েনি।
সিভিল সার্জন অফিসের তথ্য কর্মকর্তা ডা. রেহেনেওয়াজ জানান, সরকারের নির্দেশনার বাইরে পরিচালিত ক্লিনিক ডায়াগনস্টিকের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে রয়েছেন সিভিল সার্জন। তারই নির্দেশে লাইসেন্স করার জন্য ১৫ দিনের আল্টিমেটাম দিয়ে ৫৪টি প্রতিষ্ঠান মালিককে আল্টিমেটাম দিয়ে পরিপত্র পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে যশোরের শার্শা উপজেলায় ২১টি, ঝিকরগাছা উপজেলায় ২১টি ও চৌগাছা উপজেলায় ১২টি রয়েছে। তিনি আরও জানান, আল্টিমেটাম দিয়ে পাঠানো পত্রে লাইসেন্সের জন্য সঠিকভাবে আবেদন করতে বলা হয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতরে।
এদিকে, সাম্প্রতিক সময়ে যশোর জেলার একাধিক বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার পরিদর্শন করেছেন সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন। পরিদর্শনকালে জেলার শার্শা, ঝিকরগাছা ও চৌগাছার ১৯টি বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নানা অনিয়ম দেখতে পান। ওই সব প্রতিষ্ঠানে রোগীর অস্ত্রপাচারের সময় অজ্ঞানের চিকিৎসক থাকেন না। নিজস্ব বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, সেবিকা ও প্যাথলজিস্ট নেই। এছাড়া নিম্নমানের অস্ত্রপাচার কক্ষ, প্যাথলজি বিভাগ নোংরা পরিবেশ ছাড়াও মানুষকে জিম্মি করে অর্থ আদায়, অনুমোদনের চেয়ে অতিরিক্ত বেড ব্যবহার ও অপচিকিৎসা করা হয়। যে কারণে সিভিল সার্জনের নির্দেশে সেগুলো সিলগালা করা হয়।
সিল হওয়া  ১৯ টি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান হলো যশোরের শার্শা উপজেলার রজনী ক্লিনিক, পল্লী ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার, জোহরা ক্লিনিক, ল্যাবজোন ডায়াগনস্টিক সেন্টার, মা-মনি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার, মুক্তি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার, উপলক্ষ ক্লিনিক। ঝিকরগাছার বাঁকড়া সার্জিক্যাল ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, সায়রা সার্জিক্যাল, আনিকা ক্লিনিক,  ফেমাস মেডিকেল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ছুটিপুর প্রাইভেট ক্লিনিক,  এস এস ক্লিনিক, আয়শা ক্লিনিক, শাপলা ক্লিনিক, সালেহা ক্লিনিক, সীমান্ত ডায়াগনস্টিক সেন্টার। চৌগাছা উপজেলার মায়ের দোয়া প্রাইভেট ক্লিনিক, মধুমতি ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার। তবে সিলগালা করা অনেক প্রতিষ্ঠান গোপনে চালু রেখেছে। নিয়মিত রোগী ভর্তি করছে ও দেখছে।
যশোরের সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন জানান, যশোর জেলার কোন কোন হাসপাতাল ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার হালনাগাদ লাইসেন্স আছে ও কারা লাইসেন্স পাওয়ার জন্য অনলাইনে আবেদন করেছেন এখন তিনি নিশ্চিত। ২৩ সেপ্টম্বর পর্যন্ত জেলার তিন উপজেলার ৫৪টি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের আবেদন স্বাস্থ্য অধিদফতরে যায়নি। নতুন করে ত্রুটিমুক্ত আবেদন করার জন্য ১৫ দিনের আল্টিমেটাম দেয়া হয়েছে। বেধে দেয়া সময়ের মধ্যে আবেদন না করলে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সিভিল সার্জন আরও জানান, ইতোমধ্যে নানা অনিয়মের কারণে জেলার শার্শা, ঝিকরগাছা ও চৌগাছার ১৯টি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বিভিন্ন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার পরিদর্শন কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। অনিয়ম চোখে পড়লেই বন্ধ করা হবে। সরকারের নির্দেশনার বাইরে চালানোর সুযোগ দেয়া হবে না। #
প্রেরক
মিলন হোসেন বেনাপোল
তারিখ ২৫/০৯/২১
মোবাইল ০১৭১২২১৭১৪৩

ভাল লাগলে শেয়ার করুন
  • শেয়ার করুন