১লা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বুধবার,সন্ধ্যা ৬:৪৭

মাহে আলমের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তরের নির্দেশ

প্রকাশিত: নভেম্বর ১১, ২০২৩

  • শেয়ার করুন

মোংলা প্রতিনিধি : বাগেরহাটের মোংলার চিলায় গত ১৪ এপ্রিল হিলটন নাথ হিসেবে সমাহিত লাশটি ব্যবসায়ী মাহে আলমের বলে ডিএনএ টেস্ট’র রিপোর্টে প্রমাণিত হয়েছে। এই অবস্থায় বাগেরহাটের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত গত বুধবার (৮ নভেম্বর) এক আদেশে বহুল আলোচিত লাশটি উত্তোলন করার কথা বলেছে। একইসাথে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাকে ১৫ দিনের মধ্যে লাশ উত্তোলনপূর্বক মাহে আলম’র ছেলে সুমন রানার কাছে হস্তান্তরেরও নির্দেশ দেয় আদালত।

আদালত ও মামলার সূত্রে জানা যায়, হিলটন নাথ গত ৭ এপ্রিল সুন্দরবনে মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ হন। অন্যদিকে ১০ এপ্রিল মোংলার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মাহে আলম বাড়ী থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেননি। ১৩ এপ্রিল সুন্দরবনের করমজলে একটি অজ্ঞাতনামা লাশ পাওয়া যায়। হিলটন নাথের মা বিথিকা নাথের ভুল দাবির প্রেক্ষিতে ১৪ এপ্রিল দাকোপ থানা পুলিশ অজ্ঞাতনামা লাশটি তার কাছে হস্তান্তর করে। হিলটন নাথ খুন এবং মাহে আলম নিখোঁজ বিষয়ে খুলনার দাকোপ থানা এবং বাগেরহাটের মোংলা থানায় দুুটি পৃথক মামলা হয়। অন্যদিকে নিখোঁজ হওয়া মোংলার ব্যবসায়ী মাহে আলমের ছেলে সুমন রানার দাবীর প্রেক্ষিতে সিনিয়র জুডিসিয়াল আমলী আদালত ’গ’ অঞ্চল খুলনা; হিলটন হিসেবে সমাহিত লাশটির ডিএনএ টেস্ট’র জন্য এক আদেশ প্রদান করেন।

হিলটন নাথের মা বীথিকা নাথ এবং মাহে আলমের ছেলে সুমন রানার ডিএনএ টেস্ট’র প্রেক্ষিতে গত ১ আগস্ট প্রকাশিত ”ডিএনএ পরীক্ষায় প্রমানিত হয় যে, অজ্ঞাত মৃত দেহ, বিথীকা নাথের নয়। ডিএনএ পরীক্ষায় অজ্ঞাত মৃত দেহ সুমন রানার জৈবিক পিতা। অর্থ্যাৎ মাহে আলমের। এই অবস্থায় আইনি প্রক্রিয়া শেষে অবশেষে ছয় মাস ২৩ দিন পরে গত ৮ নভেম্বর দুপুরে বাগেরহাটের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট খোকন হোসেন মাহে আলমের লাশটি উত্তোলনপূর্বক ছেলে সুমন রানার কাছে হস্তান্তরের নির্দেশ প্রদান করেছেন। আদালত ১৫ দিনের মধ্যে তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ সংশ্লিস্ট মহলকে মাহে আলমের লাশ হস্তান্তর করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলেছেন।

এবিষয়ে জানতে চাইলে মাহে আলমের ছেলে সুমন রানা বলেন, ‘প্রায় সাত মাস নানা আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে অবশেষে আদালত আমা বাবার লাশ উত্তোলনপূর্বক হস্তান্তরের আদেশ প্রদান করেছে। এখন আমরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি বাবার লাশটি পাওয়ার পর মুসলিম রীতি অনুযায়ি দাফন সম্পন্ন করার জন্য। পাশাপাশি সুন্দরবনে নানা অপকর্মের সাথে জড়িত একটি চিহ্নিত মহল আমার পিতার খুন এবং লাশ গুমের সাথে জড়িত; আমি আশকরছি তাদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করা হবে’।

এ বিষয়ে মোংলা থানায় দায়েরকৃত মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই ইমরান হোসেন জানান, ‘আমি ছুটিতে আছি। তাছাড়া মৌখিক ভাবে শুনলেও লাশ উত্তোলনের আদেশের কপি এখনও লিখিত ভাবে পাইনি। আদেশের লিখিত কপি পেলে লাশ উত্তোলনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে’।

ভাল লাগলে শেয়ার করুন
  • শেয়ার করুন