৩রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার,বিকাল ৫:৪৭

ভূমিকম্পে মরক্কোয় নিহতের সংখ্যা হাজারের বেশী

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৯, ২০২৩

  • শেয়ার করুন

তথ্য ডেস্ক: মরক্কোর ভূমিকম্পে নিহত অন্তত হাজার, সঙ্কটজনক আরও ৭২১, মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কাআহত অন্তত ১২০০ জন। তাঁদের মধ্যে ৭২১ জনের অবস্থা সঙ্কটজনক। এক বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন, মরক্কোয় ভূমিকম্প খুব একটা হয় না। সে কারণে বাড়িগুলি মজবুত নয়। তাই হতাহতের সংখ্যা এত বেশি।
শুক্রবার গভীর রাতের ভূমিকম্পে মরক্কোয় মৃতের সংখ্যা হাজার ছাড়িয়ে গেল। সে দেশের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনায়ল জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত ভূমিকম্পে মারা গিয়েছেন ১০৩৭ জন। আহত অন্তত ১২০০ জন। তাঁদের মধ্যে ৭২১ জনের অবস্থা সঙ্কটজনক। তাই মৃত্যুর সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে পারে বলে আশঙ্কা।
আর্ন্তজাতিক সংবাদমাধ্যম রিপোর্ট বলছে, এর আগে এত প্রবল ভূমিকম্প হয়নি উত্তর আফ্রিকার এই দেশে। ইংল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের অধ্যাপক বিল ম্যাকগুইর জানিয়েছেন, মরক্কোয় ভূমিকম্প খুব একটা হয় না। সে কারণে বাড়িগুলি পোক্ত ভাবে তৈরি নয়। তাই হতাহতের সংখ্যা এত বেশি। মরক্কোর রাজা চতুর্থ মহম্মদ সশস্ত্র বাহিনীকে উদ্ধার কাজে নামার নির্দেশ দিয়েছেন।মরক্কোর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয় জানিয়েছে, সে দেশের স্থানীয় সময় রাত ১১টা ১১ মিনিটে ভূমিকম্প হয়। ১৯ মিনিট পর হয় আর একটি আফটারশক। সেই কম্পনের মাত্রা ছিল ৪.৯। রিখটার স্কেলে ভূকম্পনের মাত্রা ছিল ৬.৮। আমেরিকার ভূতত্ত্ব সর্বেক্ষণ বিভাগ জানিয়েছে, ভূমিকম্পের কেন্দ্র পর্যটন শহর মারাক্কেশ থেকে ৭১ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে হাই অ্যাটলাস পর্বতে। ভূপৃষ্ঠ থেকে ১৮.৫ কিলোমিটার গভীরে রয়েছে সেই কেন্দ্র। ভূমিকম্পের কেন্দ্র প্রত্যন্ত হাই অ্যাটলাস পর্বতে হলেও তার প্রভাব পড়েছে বহু দূর পর্যন্ত। ভয়ঙ্কর ক্ষতিগ্রস্ত মারাক্কেশ শহর। ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল থেকে প্রায় ৩৫০ কিলোমিটার দূরে রাজধানী রাবাতেও কম্পন অনুভূত হয়েছে। কাসাব্লাঙ্কা, ইসাউইরা শহরেও কম্পন অনুভূত হয়েছে।
ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মারাক্কেশের মেদিনা এলাকা। মরক্কোর ইতিহাসে সব থেকে ভয়ঙ্কর ভূমিকম্প হয়েছিল ১৯৬০ সালে। দেশের পশ্চিমের শহর আগাদিরে ছিল কেন্দ্র। সে সময় মারা গিয়েছিলেন অন্তত ১২ হাজার মানুষ। ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন বিভিন্ন দেশের সরকার প্রধানগন।

ভাল লাগলে শেয়ার করুন
  • শেয়ার করুন