১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার,সকাল ১০:১৪

দীর্ঘ ৪৩ বছর পর সংসদে মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড বিল পাস

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৯, ২০২০

  • শেয়ার করুন

সামরিক আমলে প্রণীত মাদ্রাসা শিক্ষা অধ্যাদশকে নতুন করে আইন করতে ‘বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড বিল-২০২০’ সংসদে পাস হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বৃহস্পতিবার (১৯ নভেম্বর) আইনটি পাসের প্রস্তাব করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়। এর আগে বিরোধী দলের সদস্যদের দেওয়া জনমত যাচাই ও বাছাই কমিটিতে পাঠানো এবং সংশোধনী প্রস্তাবগুলোর নিষ্পত্তি করেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী।

গত ৮ নভেম্বর বিলটি সংসদে তোলার পর তা পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।

এতদিন ১৯৭৮ সালের অধ্যাদেশ অনুসারে মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড চলে আসছিল। উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুসারে সামরিক শাসন আমলে প্রণীত যেসব আইন বা অধ্যাদেশের এখনও প্রয়োজন রয়েছে, সেগুলোকে পরিমার্জন করে বাংলায় রূপান্তরের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

নতুন আইনে অন্যান্য শিক্ষা বোর্ডের মতো মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অবসরের বয়সসীমাও ৬০ বছর হবে। মাদ্রাসা শিক্ষার আধুনিকায়ন, উন্নয়ন এবং গবেষণার ক্ষেত্রে এ আইন কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছে সরকার।

বিদ্যমান অধ্যাদেশে উল্লেখিত ‘বোর্ড’ শব্দের পরিবর্তে বিলে ‘পরিচালনা পর্ষদ’ প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। বোর্ডের সদস্য সংখ্যা ১৩ জনের পরিবর্তে ১৫ জন করা হয়েছে।

বিদ্যমান অধ্যাদেশে বোর্ডে কোনও সদস্য সচিব ছিল না। বিলে রেজিস্ট্রারকে সদস্য সচিব হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্পর্কে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘ইবতেদায়ি, দাখিল এবং আলিম পর্যায়ের সব শিক্ষা, গবেষণা ও প্রশিক্ষণ এবং সম্প্রসারণ কার্যক্রমের অগ্রগতিকল্পে এবং এ বোর্ড হতে প্রাপ্ত ইসলামি সনদধারী শিক্ষার্থীরা দেশ ও বিদেশে নতুন নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টি ও কর্মসংস্থান সম্প্রসারণ করে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনের মাধ্যমে ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশে রূপান্তরের লক্ষ্যে বিদ্যমান অধ্যাদেশ বাতিল করে বিলটি অনুমোদন করা অতীব জরুরি ও যুক্তিযুক্ত।’

ভাল লাগলে শেয়ার করুন
  • শেয়ার করুন