১৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার,রাত ১০:১৭

খুলনায় যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতীয় শোক দিবস পালিত

প্রকাশিত: আগস্ট ১৫, ২০২৩

  • শেয়ার করুন

তথ্য প্রতিবেদক : হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি ও স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস খুলনায় যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়। সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সকল সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, বেসরকারি ভবন ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়।


সকাল আটটায় খুলনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় প্রাঙ্গণে স্থাপিত জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণের মাধ্যমে ১৫ আগস্টে শাহাদত বরণকারী জাতির পিতা ও তাঁর পরিবারের শহিদ সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। খুলনা জেলা ও মহানগর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড, শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান, খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, বিভাগীয় কমিশনার মোঃ হেলাল মাহমুদ শরীফ, কেএমপি’র পুলিশ কমিশনার মোঃ মোজাম্মেল হক, রেঞ্জ ডিআইজি মঈনুল হক, জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাঈদুর রহমান, মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগ এবং এর অঙ্গ সংগঠন, সরকারি-বেসরকারি দপ্তর, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ এসময় পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন।

সকাল ১০টায় জেলা শিল্পকলা একাডেমি অডিটোরিয়ামে খুলনা জেলা প্রশাসন আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান। প্রতিমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের স্বাধীন পতাকা ও স্বাধীন ভূখন্ড দিয়েছেন। ঘাতকরা তাঁকে হত্যা করে বাংলাদেশ থেকে জাতির পিতার আদর্শকে মুছে দিতে চেয়েছে। প্রকৃতপক্ষে জীবিত মুজিবের চেয়ে মৃত মুজিব অনেক বেশি শক্তিশালী।

খুলনার বিভাগীয় কমিশনার মোঃ হেলাল মাহমুদ শরীফের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোঃ মোজাম্মেল হক, অতিরিক্ত রেঞ্জ ডিআইজি মোঃ নিজামুল হক মোল্যা, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাঈদুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আলমগীর কবির, বীর মুক্তিযোদ্ধা সরদার মাহাবুবার রহমান ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন মিন্টু। স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন।

জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে খুলনা আঞ্চলিক তথ্য অফিস শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্ম বিষয়ক আলোকচিত্র প্রদর্শনী এবং আঞ্চলিক তথ্য অফিসের উপপ্রধান তথ্য অফিসার এ এস এম কবীরের সভাপতিত্বে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্ম নিয়ে আলোচনা সভা এবং দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে। খুলনাস্থ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ এর ২১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের উদ্যোগে গরীব ও দুস্থদের মাঝে বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা এবং খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়। দিবসটি উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ বেতারের খুলনা কেন্দ্রে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্ম নিয়ে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। সকালে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান বিভাগীয় শ্রম দপ্তরে মুজিব কর্নারের উদ্বোধন করেন।

খুলনা সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিল ও বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। জেলা ও মহানগরীর সকল মসজিদে দোয়া মাহফিলসহ বিশেষ মোনাজাত এবং মন্দির, গীর্জা, প্যাগোডা ও অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে বিশেষ প্রার্থনা করা হয়। সকল সরকারি- বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয় শোক দিবসের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ আলোচনা সভা, আবৃত্তি, রচনা, চিত্রাংকন, হামদ ও নাত প্রতিযোগিতা এবং দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে।

জাতীয় শোক দিবসে স্থানীয় সংবাদপত্রগুলো বিশেষ সংখ্যা ও ক্রোড়পত্র প্রকাশ করে এবং বাংলাদেশ বেতারের খুলনা কেন্দ্র বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার করে।

খুলনার উপজেলাসমূহেও অনুরূপ কর্মসুচি পালিত হয়।

ভাল লাগলে শেয়ার করুন
  • শেয়ার করুন