১২ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার,রাত ১:৩১

খুলনায় হচ্ছে শেখ হাসিনা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়

প্রকাশিত: জুলাই ১৩, ২০২০

  • শেয়ার করুন

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে খুলনায় একটি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় এ সংক্রান্ত আইনের খসড়া অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার ভার্চুয়াল মন্ত্রিসভা বৈঠকে ‘শেখ হাসিনা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় আইন, খুলনা-২০২০’ এর নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়।

সচিবালয়ে এক ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশের চিকিৎসা ক্ষেত্রে উচ্চশিক্ষা, গবেষণা, সেবার মানোন্নয়ন এবং সুযোগ-সুবিধা সম্প্রসারণে সরকার যুগোপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তারই অংশ হিসেবে অংশ হিসেবে খুলনা জেলায় এই মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা হচ্ছে।

“চিকিৎসা শিক্ষায় উচ্চ শিক্ষিত বিশেষজ্ঞ ও গবেষক তৈরি করার লক্ষ্যে স্নাতকোত্তর পর্যায়ের চিকিৎসা শিক্ষা, গবেষণা এবং স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনায় মেডিকেল কলেজগুলোর শিক্ষার মান সংরক্ষণ ও উন্নয়নই প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার মুখ্য উদ্দেশ্য।”

প্রস্তাবিত খসড়া আইনটি রাজশাহী, চট্টগ্রাম ও সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য প্রণীত আইনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে প্রণয়ন করা হয়েছে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।

তিনি বলেন, খসড়া আইনে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ, রেজিস্ট্রার, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও কর্মচারীদের নিয়োগ প্রক্রিয়া, ক্ষমতা ও দায়িত্ব বর্ণনা করা হয়েছে।

এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট, একাডেমিক কাউন্সিল, অনুষদ, বিভাগ, প্রয়োজনীয় কমিটি, শৃঙ্খলা বোর্ড গঠন ও তাদের ক্ষমতা ও দায়িত্ব নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে খসড়া আইনে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটে রাষ্ট্রপতি এবং স্পিকারের মনোনীত প্রতিনিধি সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার বিধান রাখা হয়েছে জানিয়ে আনোয়ারুল বলেন, বিভিন্ন অংশীজন ও পেশাজীবী সংগঠনের প্রতিনিধির সমন্বয়ে একটি ভারসাম্যপূর্ণ সিন্ডিকেট গঠনের বিধান রাখা হয়েছে। সেখানে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগের প্রতিনিধিদেরকে সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

“খুলনা বিভাগের আওতাধীন সব সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজ, ডেন্টাল কলেজ, নার্সিং কলেজ ও ইনস্টিটিউট এবং চিকিৎসা শিক্ষার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট মেডিকেল প্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করা হয়েছে।”

মন্ত্রিপারিষদ সচিব বলেন, এই আইনের মাধ্যমে চিকিৎসা শাস্ত্রে উচ্চ শিক্ষা, গবেষণা, সেবার মান এবং সুযোগ-সুবিধার সম্প্রসারণ ও উন্নয়ন ঘটবে।

“প্রস্তাবিত মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমে খুলনা বিভাগে উন্নত চিকিৎসা সেবা সম্প্রসারিত হবে বলে আশা প্রকাশ করা হচ্ছে।”

প্রস্তাবিত আইটি মন্ত্রিসভায় নীতিগত অনুমোদন পাওয়ায় এখন আইন মন্ত্রণালয় এটি পরীক্ষা-নিরীক্ষার করবে। এরপর চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য তা আবার মন্ত্রিসভায় তোলা হবে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।

ভাল লাগলে শেয়ার করুন
  • শেয়ার করুন