প্রকাশিত: মে ২৬, ২০২১
ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে কয়রায় ১১ পয়েন্টে বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে। এতে ৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
বুধবার (২৬ মে) দুপুরের প্রবল জোয়ারে বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি প্রবেশ শুরু করে। এতে ডুবে গেছে মাছের ঘের ও ফসলি জমি।
খুলনা আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র আবহাওয়াবিদ মো. আমিরুল আজাদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
কয়রার স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন স্বাধীন সমাজকল্যাণ যুব সংস্থার সভাপতি মো. আবু সাঈদ খান জানান, কয়রার দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের আংটিহারা এলাকার শ্রীপদ মণ্ডলের বাড়ির সামনে ১০০ মিটার বেড়িবাঁধ দুপুরের জোয়ারে বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করছে। পূর্ণিমার প্রভাবে কপোতাক্ষ নদের পানি বেড়ে বেড়িবাঁধ উপচেও অনেক স্থানে লোকালয়ে পানি ঢুকছে। এতে আংটিহারা ও খাশিটানা গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।এ নিয়ে এলাকার হাজারো মানুষ আতঙ্কে আছেন।
এছাড়া, মহারাজপুর ইউনিয়নের দশালিয়ায় কপোতাক্ষ নদের পাউবোর বেড়িবাঁধে প্রায় ১০ স্থানে ভেঙে লোনা পানি লোকালয়ে ঢুকে পড়েছে। মঠবাড়ি বেড়িবাঁধ উপচে লোকালয়ে পানি ঢুকছে। দশালিয়া গ্রামের মজিবুর মাস্টারের বাড়ীর পাশে ৫০০ মিটার বাঁধ ভেঙে ৩ টি গ্রাম প্লাবিত হয়। গ্রামগুলো হলো, দশালিয়া, গোবিন্দপুর ও আটরা।
মহারাজপুর গ্রামের বাসিন্দা কামাল হোসেন বলেন, দশালিয়ায় পাউবোর বেড়িবাঁধ ১০টি স্থানে প্রায় ১শ হাত জায়গায় প্রবল জোয়ারের পানিতে ভেঙে গেছে। এতে লোকালয়ে পানি ঢুকে পড়েছে। ডুবে গেছে মাছের ঘের, বিশাল ফসলি জমি। এ এলাকার ৩১/৩২টি পরিবারের মধ্যে ৭/৮টি পরিবারের বসত বাড়ির মধ্যে পানি ঢুকে গেছে। শত চেষ্টা করেও বেড়িবাঁধ রক্ষা করা যায়নি।
স্থায়ীদের অভিযোগ, বার বার বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হলেও টেকসই বাঁধ নির্মাণে কোনো উদ্যোগ দেখা যায়নি। কখনো কখনো দায়সারা কাজ হয়েছে। এলাকার জনপ্রতিনিধিরা মানুষের কষ্টের কথা কখনোই বিবেচনায় নেয়নি। যে কারণে আম্পানের এক বছর পার হতে না হতেই আবার ইয়াসের প্রভাবে পানিতে ডুবতে হচ্ছে।
আবহাওয়াবিদ মো. আমিরুল আজাদ জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় খুলনায় ২১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আজ বুধ ও আগামীকাল বৃহস্পতিবার বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে। তবে, বৃহস্পতিবার দুপুরের পর থেকে বৃষ্টিপাত কমতে পারে বলে তিনি জানান।