২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার,দুপুর ২:১০

মোল্লাহাট বিএনপি নেতার ওপেন চ্যালেঞ্জ

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২৪

  • শেয়ার করুন

তথ্য প্রতিবেদক : আপনাদের সামনে ওপেন চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলাম, আমার দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে কোন দখলবাজী, চাঁদাবাজী, প্রতিপক্ষের সম্পদ লুট, বা কোথাও কোন সন্ত্রাসী কার্যক্রমের সাথে যুক্ত ছিলাম এমন কোন প্রমান কেও দিতে পারলে আমি রাজনীতি থেকে সেচ্ছায় অব্যহতি নেব।

মোল্লাহাট উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক শেখ হাফিজুর রহমান গতকাল দুপুরে খুলনা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এমন মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, আমি ১৯৮৫ সাল থেকে ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত মোল্লাহাট উপজেলা জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি পদে ছিলাম। পরে মোল্লাহাট উপজেলা জাতীয়তাবাদী যুবদলের সভাপতি পদে ১৯৯৪ সাল থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেছি। এর পরে ২০০৩ সাল থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত মোল্লাহাট উপজেলা জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এর সাধারন সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালন করেছি। এরপরে ২০০৯ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত মোল্লাহাট উপজেলা জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এর আহবায়ক ও সভাপতি পদে দায়িত্ব পালন করেছি।

২০২৩ সাল থেকে এখন পর্যন্ত মোল্লাহাট উপজেলা জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এর আহবায়ক এবং বাগেরহাট জেলা জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এর আহবায়ক কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি।

সম্প্রতি ছাত্রজনতার আন্দোলনে শৈর শাষকের পতনের পর দেশে যখন একটি স্বস্থ্যি ফিরতে শুরু করেছে। ঠিক তখনি একটি মহল পরিকল্পিত ভাবে দেশের এই বিশাল অর্জন নস্যাৎ করতে বদ্ধ পরিকর। ঐ কুচক্র মহল তাদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য পরিকল্পিত ভাবে আমার সাংগঠনিক দক্ষতা রাজনৈতিক সুনাম ও জনপ্রিয়তা বিনষ্ট করতে ৫ ই আগস্টের সরকার পতনের পর ১২শত বিঘার মৎস্য খামার এলাকায় দুগ্ধ খামারের গাভি, গরু ও দেশি মুরগি খামারের মুরগি ও মৎস্য লুটের কল্প কাহিনী সাজিয়ে আমার রাজনৈতিক জীবনে কালিমা লেপনের পায়তারা করছে।

আমার জানা মতে মোল্লাহাট উপজেলাধীন কেন্দুয়ার বিলে ১২শত বিঘার ঘের আছে বলে আমার জানা নাই। আওয়ামী লীগের আদর্শ ও স্বপ্ন লালনকারী একটি চক্র ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের পায়তারা করছে।
আমার এলাকার বাইরের জনৈক মৎস্য খামারি আজিজুর রহমান, দীর্ঘদিন ধরে জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী নেতা-কর্মীদের অত্যাচারকারী আওয়ামীলীগের দুই জন প্রতিনিধি প্রভাবশালী নেতা এর ব্যবসায়ীক পাটনার/ অংশীদার ক্ষমতার দাপটে আমার এলাকার কেন্দুয়া বিলে সাধারন জমির মালিকদের জমার টাকা না দিয়ে জোর পূর্বক জবর দখল করে মৎস্য খামারসহ নানা ব্যবসা করে গরীবের রক্ত চুষে খেয়েছে।

নতুন করে দেশ স্বাধীনতা অর্জন করায় জমির মালিকেরা তাদের জমি ফিরে পেতে প্রশাসনসহ নানা জায়গায় ধর্না দেওয়া শুরু করলে দীর্ঘ দিনের অত্যাচারিরা আত্মগোপনে গিয়ে নিজেদের অপকর্ম ঢাকতে আমার বিরুদ্ধে নানা অপবাদ রটাচ্ছে।

ভাল লাগলে শেয়ার করুন
  • শেয়ার করুন