২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রবিবার,সকাল ৬:২১

খুলনায় উদ্বোধন হলো সমতায় তারুণ্য: ইয়ূথ ফর ইকুয়ালিটি প্রকল্প

প্রকাশিত: জুলাই ৩, ২০২৪

  • শেয়ার করুন

তথ্য প্রতিবেদক:
খুলনা বিভাগে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়েছে চার বছর মেয়াদী ‘সমতায় তারুণ্যঃ ইয়ূথ ফর ইকুয়ালিটি’ প্রকল্প। বুধবার (৩ জুলাই) সকালে নগরীর নতুন বাজারস্থ একটি অভিজাত কমিউনিটি সেন্টারে এ প্রকল্পের উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়। যার মূল লক্ষ হলো সমাজে জেন্ডার সহিংসতা প্রতিরোধ, জেন্ডার সমতা প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে প্রচলিত নেতিবাচক জেন্ডার ধারনাগুলোর পরিবর্তন ঘটানো এবং জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ে যুব ও যুব নেতৃত্বাধীন সংগঠনগুলোকে আরো শক্তিশালী করা। নেদারল্যান্ডস সরকারের আর্থিক সহায়তায় বাংলাদেশের ৮টি বিভাগে যৌথভাবে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে আন্তর্জাতিক বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ ও দেশীয় যুব-নেতৃত্বাধীন সংস্থা জাগো ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট।
প্রকল্পটির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মো. ইউসুফ আলী। বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলনা বিভাগীয় সমাজসেবা কার্যালয়ের পরিচালক অনিন্দিতা রায় ও যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের প্রশিক্ষক অমিতাভ বিশ্বাস। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, যুব-নেতৃত্বাধীন সংগঠনের প্রতিনিধি, গণমাধ্যমকর্মী এবং প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ, জাগো ফাউন্ডেশন ট্রাস্টের প্রতিনিধিগণ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মো. ইউসুফ আলী বলেন, “সমতায় তারুণ্য প্রকল্পটি গতানুগতিক প্রকল্পের চাইতে কিছুটা ব্যতিক্রম। প্রকল্পে কনটেন্ট ক্রিয়েটর, সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সারা, গণমাধ্যমকর্মী অন্তর্ভুক্ত হবেন এবং সমাজে নেতিবাচক বদ্ধমূল ধারণাগুলো পরিবর্তনে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করবে।” তিনি খুলনা বিভাগে সরকারের বিভিন্ন দপ্তর থেকে সমতায় তারুণ্য প্রকল্প বাস্তবায়নে সহায়তা প্রদানের আশ্বাস ব্যক্ত করেন।
বিশেষ অতিথি অমিতাভ বিশ্বাস বলেন “যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর যুবদের জন্য সেকল কাজ করে, এই প্রকল্পের মাধ্যমেও একই ধরনের কাজ করা হবে। সমতায় তারুণ্য প্রকল্প বাস্তবায়নে খুলনা বিভাগীয় যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে সহায়তা করা হবে।”
বিশেষ অতিথি অনিন্দিতা রায় বলেন “প্রকল্পের মাধ্যমে আমাদের সমাজে প্রচলিত বৈষম্যমূলক ভ্রান্ত ধারণা ভেঙে দেয়ার উদ্যোগ নেয়াকে আমি সাধুবাদ জানাই।”
“প্রকল্পে যুব কন্টেন্ট কিয়েটরদের মাধ্যমে বৈষম্যমূলক ধারণা ভাঙার উদ্যোগ খুবই ইতিবাচক। কারণ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই কন্টেন্টগুলো তরুণরাই দেখে। যুবদের হাত ধরেই একটি বৈষম্যহীন সমাজ গড়ে উঠতে পারে।”
এ প্রকল্পে অংশগ্রহণকারী হিসেবে থাকবে যুব ও যুব নেতৃত্বাধীন সংগঠন, জাতীয় যুব পরিষদ, ক্ষুদ্র জাতিসত্ত্বা, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ও সকল বৈচিত্রের তরুণ, ছাত্র-শিক্ষক, গণমাধ্যম কর্মী (প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক), স্থানীয় তরুণ কন্টেন্ট নির্মাতা এবং সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার।
প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ ও জাগো ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট সমন্বিতভাবে বাংলাদেশের কয়েকটি মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তর, সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিভিন্ন গণমাধ্যম এবং সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সঙ্গে কাজ করবে।
বাংলাদেশের ৮টি বিভাগে প্রকল্পের প্রত্যক্ষ লক্ষিত জনগোষ্ঠী সর্বমোট ১৩ হাজার ৫১৫ জন। এদের মধ্যে আছেন স্থানীয় ২৫২টি যুব-নেতৃত্বাধীন সংগঠনের ১২ হাজার ৬৯০ জন যুব সদস্য, জাতীয় যুব পরিষদের সদস্যগণ, সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার, কনটেন্ট নির্মাতা এবং গণমাধ্যমকর্মী।
এছাড়া প্রকল্পটি বিভিন্ন গণমাধ্যমের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে সচেতনতামূলক কার্যক্রমের মাধ্যমে বাংলাদেশি আরো ২০ লক্ষ মানুষের কাছে জেন্ডার সমতা ও নেতিবাচক জেন্ডার ধারনাগুলোকে পরিবর্তন করার বার্তা পৌঁছে দেবে।

ভাল লাগলে শেয়ার করুন
  • শেয়ার করুন