৫ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রবিবার,দুপুর ১:৩৬

অবশেষে খুলনা শিপইয়ার্ড সড়ক ৪ লেন প্রকল্পের দরপত্র আহবান

প্রকাশিত: অক্টোবর ১০, ২০২০

  • শেয়ার করুন

চলতি বছরের শেষে বা নতুন বছরে রূপসা ট্রাফিক মোড় থেকে শিপইয়ার্ড হয়ে রূপসা মোড় পর্যন্ত সড়ক চার লেন প্রকল্পের কাজ শুরু হতে যাচ্ছে। ফলে খুলনা অঞ্চলের মানুষের প্রায় সাড়ে ৭ বছরের প্রত্যাশার বাস্তবায়ন হবে। বৃহস্পতিবার (০৮ অক্টোবর) পত্রিকায় দরপত্র বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের মাধ্যমে সড়ক নির্মাণের আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া শুরু হলো। ৩ দশমিক ৭৭৮ কিলোমিটার দৈর্ঘের সড়কটি ৪ লেনে নির্মাণ করতে খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কেডিএ) ব্যয় করবে প্রায় ১৬০ কোটি টাকা।
সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে জানাগেছে, দক্ষিণ-পূর্বের জেলাগুলো থেকে খুলনা শহরে প্রবেশ করতে প্রায় ৭/৮ কিলোমিটার পথ ঘুরতে হয় নগরবাসীর। রূপসা সেতুর নিচে দিয়ে মহানগরীতে প্রবেশের জন্য একটি সড়ক থাকলেও সেটি খুবই সরু। পদ্মা সেতু কেন্দ্রিক উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার কথা মাথায় রেখে ১০ বছর আগে নগরীর রূপসা ট্রাফিক মোড় থেকে রূপসা সেতু পর্যন্ত সড়কটি ৪ লেনে উন্নীত করার উদ্যোগ নেয় কেডিএ। ২০১৩ সালের ৭ মে একনেকে প্রকল্প অনুমোদিত হয়। ৯৮ কোটি ৯০ লাখ ৪৮ হাজার টাকা ব্যয়ের প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা ২০১৬ সালের জুন মাসে। কিন্তু জমি অধিগ্রহণ এবং প্রকল্প সংশোধন সংক্রান্ত জটিলতায় কাজ পিছিয়ে যায়। পরবর্তীতে প্রকল্প ব্যয় বেড়ে দাড়ায় ২৫৯ কোটি টাকায়। গত ২১ জুলাই সংশোধিত প্রকল্পও একনেকে অনুমোদন হয়েছে। একনেকে কার্যবিবরণী প্রকাশের পরই দরপত্র প্রক্রিয়া শুরু করে কেডিএ।
প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, আগামী ৯ নভেম্বর দরপত্র জমা নেওয়া হবে। এরপর যাচাই-বাছাই শেষে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রীসভা কমিটিতে অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে। ক্রয় কমিটির অনুমোদন পেলেই শুরু হবে নির্মাণ কাজ। প্রকল্পটির পরিচালকের দায়িত্বে রয়েছেন কেডিএর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরমান হোসেন।
কেডিএ থেকে জানা গেছে, রূপসা নদীর তীরকে বিনোদন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা নিয়ে ৩ দশমিক ৭৭৮ কিলোমিটার দৈর্ঘের সড়কটি ৪ লেনে উন্নীত করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়। সড়কের দুই পাশে মানুষের হাঁটার জন্য প্রশস্ত ফুটপাত, মাঝখানে দশমিক ৯২ মিটার রোড ডিভাইডারে ফুলের বাগান করার পরিকল্পনা আছে। মূল রাস্তা, রোড ডিভাইডার, ড্রেন ও ফুটপাত মিলিয়ে সড়কটি ৬০ ফুট চওড়া হবে।
কেডিএর প্রধান প্রকৌশলী কাজী সাবিরুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ৮ অক্টোবর দরপত্র প্রকাশ হয়েছে। দরপত্র প্রক্রিয়া শেষ হতে আরও দুই মাস লাগতে পারে। ফলে চলতি বছরের শেষ বা আগামী বছরের শুরুতে কাজ শুরু হবে। এতে দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা পূরণ হবে।

ভাল লাগলে শেয়ার করুন
  • শেয়ার করুন