প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২৪
খবর বিজ্ঞপ্তির : খুলনার নবাগত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম ছাত্রজীবনে ছাত্রলীগের ক্যাডার ছিলেন অভিযোগ করেছেন খুলনার নাগরিক নেতৃবৃন্দ। একই সাথে তাকে অপসারণের দাবিও জানানো হয়। আজ দুপুরে খুলনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এক মানববন্ধনে এদাবি জানানো হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেছেন, ১৯৯৮ সালে থেকে টানা ৪ বছর বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি বাহাদুর বেপারীর একান্ত সহযোগী ও পোষ্য ক্যাডার হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ত্রাস ছিলেন মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।
২৪তম বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে মৌলভীবাজারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির শিরোনাম হয়েছিলেন তিনি। বিনাভোটের অবৈধ ফ্যাসিষ্ট শেখ হাসিনা সরকারের গণহত্যাযজ্ঞে দলীয় বিবেচনায় মাঠ প্রশাসন সাজিয়ে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যূত্থান প্রশমনে মাঠপর্যায়ের প্রশাসন বদলি কার্যক্রমে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এই উপসচিব মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম। যখন-যেখানে দায়িত্ব পালন করেছেন; তখন সেখানেই গণহত্যাকারী শেখ হাসিনার পোষ্য ক্যাডার হিসেবে আওয়ামী পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেছেন তিনি। অবিলম্বে খুলনা জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট পদ থেকে তাকে প্রত্যাহার করে গণহত্যায় সহযোগিতা করার অপরাধে শাস্তির জোর দাবি জানিয়েছেন বক্তারা।
আজ শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টায় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মুখ সড়কে খুলনাবাসীর পক্ষে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে এ দাবি জানিয়েছেন নাগরিক নেতৃবৃন্দ।
খুলনা জেলা আইনজীবী সমিতির এডহক কমিটির সদস্য সচিব এড. নূরুল হাসান রুবার সভাপতিত্বে এড. মাহফুজুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তৃতা করেন এড. এহতেশামুল হক জুয়েল,এড. সুমন।
প্রসঙ্গত্ব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামকে গত ৯ সেপ্টেম্বর এক প্রজ্ঞাপনে খুলনার জেলা প্রশাসক দায়িত্ব দেয় সরকার। এরআগে গত ২০ আগস্ট খুলনার সর্বশেষ জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফিনকে প্রত্যাহার করে বদলি করা হয়।