১৩ই আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, বুধবার,রাত ১১:০৭

শিরোনাম
খুলনা ও বরগুনায় নৌবাহিনীর যৌথ অভিযানে মাদকসহ আটক-৩ খুলনায় মাদক ব্যবসায়ী কর্তৃক হয়রানী থেকে বাঁচতে ও তাদের শাস্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন খুলনায় নারী-পুরুষ সম্পর্কিত প্রচলিত ভুল ধারণা মোকাবিলায় অ্যাডভোকেসি সভা অনুষ্ঠিত খুলনায় ১৩ মাস বেতন না পেয়ে কর্মবিরতিতে আউটসোর্সিং কর্মচারীরা, অচল ৯ উপজেলার স্বাস্থ্যসেবা নৌ ও বিমান বাহিনীর নির্বাচনী পর্ষদ উদ্বোধন করলেন প্রধান উপদেষ্টা উত্তরায় বিমান বিধ্বস্ত: জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে জরুরী হটলাইন চালু উত্তরায় ‘প্রশিক্ষণ বিমান’ বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহত-১, আহত-২৬ খুলনায় প্রাথমিক বিদ্যালয় সবুজায়নে পরিকল্পনা প্রনয়ণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত খুলনার জমিদার বাড়ী দখল ও জীবননাশের হুমকির বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

খুলনায় শেখ হাসিনার চাচাতো ভাইসহ ৬ জনের নামে মামলা

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৩, ২০২৪

  • শেয়ার করুন

তথ্য প্রতিবেদক :

খুলনায় ৬০ লাখ টাকা চাঁদাবাজির অভিযোগে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চাচাতো ভাই শেখ সোহেল ও স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর-এলজিইডি খুলনার নির্বাহী প্রকৌশলী আবুল কালাম মুহাম্মদ আনিছুজ্জামানসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স এস আর ট্রেডার্সের মালিক শেখ শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে খুলনার মুখ্য মহানগর হাকিম-এর আমলী আদালত-১ এ মামলাটি দায়ের করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বাদীপক্ষের আইনজীবী এস. এম. মাসুদুর রহমান বলেন, আদালত মামলাটি গ্রহণ পূর্বক তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য সোনাডাঙ্গা থানাকে নির্দেশ দিয়েছেন।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়, গত ২৩ এপ্রিল অচেনা কিছু লোক বাদীর শিববাড়ী মোড়স্থ ট্রিবিউন টাওয়ারের অফিসে এসে যুবলীগের পরিচয়ে বলে আপনাকে শেখ সোহেল (১নং আসামি) এখনি দেখা করতে বলেছেন। সে মোতাবেক বাদী তখন ১নং আসামির বাড়িতে (শেখ বাড়িতে) গিয়ে দেখেন ১ ও ২নং আসামি পাশাপাশি বসা। বাদী সালাম দিয়ে সামনে দাঁড়ালে ১নং আসামি বলে ‘তুই দুদকে আনিস সাহেবের নামে (২নং আসামি) অভিযোগ দিয়েছিস, পিস্তল তোর পিছন দিয়ে ঢুকিয়ে ফায়ার করবো’। বাদী ১নং আসামিকে বলেন, আমি দুদকে কোনো অভিযোগ করি নাই। তখন ১নং আসামি পিস্তল বের করে বাদীর বুক সোজা ধরে বলেন, ‘দুদকে আনিস সাহেবের নামে যে অভিযোগ করেছিস তার ঝামেলা মিটানোর জন্য কোটি টাকার প্রয়োজন। তুই ৬০ লাখ টাকা চাঁদা দিবি, বাকিটা আনিস সাহেব (২নং আসামি) জোগাড় করে দুদকে দেবে। যা এখনি টাকা নিয়ে আয়। বাদী উপায়ন্তর না পেয়ে ব্যাংক থেকে নগদ ৪০ লাখ টাকা এবং নিজ অফিসে থাকা ২০ লাখ টাকা মোট ৬০ লাখ টাকা ১ ঘণ্টার মধ্যে তুলে বিকেল ৫টার মধ্যে শেখবাড়ী ১নং আসামির কাছে নিয়ে দেন। ১নং আসামি টাকা নিজে গ্রহণ করে ২নং আসামির হাতে টাকা দেন এবং বাদীকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে বলেন যে, ‘এরপর বাড়াবাড়ি করবি লাশ চিতলমারী বিলে থাকবে, যা ভাইগে যা’। ২নং আসামি বলে, ‘এখন ৬০ লাখ টাকা নিলাম। লাগলে আরো দিবি, বাড়াবাড়ি করলে অস্ত্র দিয়ে চালান দিয়ে দিবো।’ ২নং আসামি আরো বলে, ‘সেদিন ডিজিএফআই অফিসে তিন ঘণ্টা অন্ধকারে রুমে ছিলি না। তোর লাশ কেউ খুঁজে পাবে না।’

এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়, তৎকালীন সময় শেখবাড়ির কথায় চলতো বাংলাদেশ। এ কারণে বাদী স্থানীয় থানায় মামলা দায়ের করতে গেলে থানা কর্তৃপক্ষ আদালতে মামলা দায়েরের পরামর্শ প্রদান করেন।
বাদীর আইনজীবী এসএম মাসুদুর রহমান জানান, এ ঘটনায় আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৩৮৩, ৩৮৪, ৩৮৭, ৩৮৮, ৩৮৯ ও ৫০৬ ধারায় মামলা করা হয়। আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরওয়ানা জারির আবেদন জানানো হয়েছে।

ভাল লাগলে শেয়ার করুন
  • শেয়ার করুন