প্রকাশিত: অক্টোবর ১৮, ২০২০
নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজের অনার্স (হিসাববিজ্ঞান) তৃতীয় বর্ষের এক ছাত্রীকে হাত-পা ও মুখ বাঁধা অবস্থায় পুলিশ উদ্ধার করেছে। মেয়েটিকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রোববার (১৮ অক্টোবর) ভোরে মেয়েটির জ্ঞান ফিরেছে।
এর আগে শনিবার (১৭ অক্টোবর) রাত ৯টা ৩০ মিনিটের দিকে নড়াইল পৌরসভার কুড়িগ্রামে চিত্রশিল্পী এস.এম সুলতান কমপ্লেক্সের পার্শ্ব থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। তার বাড়ি জেলার কালিয়া উপজেলার চাঁচুড়ি ইউনিয়নের আরাজি বাঁশগ্রামে।
মেয়েটির বাবা বলেন, আমার মেয়ে প্রতি দিনের মতো শনিবার সকাল সাড়ে ৮টার বাড়ি থেকে নড়াইল ভিক্টোরিয়া কলেজের হোস্টেলের পার্শ্বে কোচিং করতে আসে। সকাল ৯টা ২০ মিনিটের দিকে আমার সাথে কথা হলে তাকে একটি নতুন মোবাইল সিম কিনতে বলি। এরপর তার সাথে আর কথা হয়নি। দুপুরে বাড়িতে না আসায় তাকে ফোন করলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে মেয়ের নতুন মোবাইল নম্বর থেকে আমার কাছে ফোন করে বলা হয় মেয়েকে পেতে হলে ৫ লাখ টাকা লাগবে। তখন আমি পুলিশের সাথে যোগাযোগ করি। পরে সন্ধ্যার পর এক মহিলা মেয়ের পুরোনো ফোন নম্বর থেকে আমাকে ফোন করে বলে সুলতান কমপ্লেক্সের পাশ থেকে আপনার মেয়েকে নিয়ে যান। এ সময় সদর থানা পুলিশকে বিষয়টি জানালে পুলিশ মেয়েকে উদ্ধার করে।
এ ব্যাপারে সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডাঃ মশিউর রহমান বাবু বলেন, হাসপাতালে নিয়ে আসার পর মেয়েটির পুরোপুরি জ্ঞান ছিলো না। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভোর রাতে পুরোপুরি জ্ঞান এসেছে। তবে ধর্ষণ হয়েছে কিনা সে জন্য ডাক্তারি পরীক্ষা করা হচ্ছে।
নড়াইল সদর থানার ওসি (তদন্ত) সুকান্ত সাহা বলেন, এ বিষয়টি জানার পর পরই সদর থানা পুলিশ সুলতান কমপ্লেক্সের শিশু স্বর্গ ভবনের পূর্ব পাশের একটি কচু ক্ষেত থেকে রাত ৯টা ২০ মিনিটের দিকে ওই মেয়েকে হাত-পা ও মুখ বাঁধা অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। মেয়ের মোবাইল ফোন নম্বর ট্রাকিং করে আসামিদের চিহ্নিত করার চেষ্টা করা হবে তিনি জানান।