২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার,রাত ১০:১৭

শিরোনাম

৭১ পরবর্তী কেউ জাতির আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে পরেনি- মাও: সোয়াইব

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২৪

  • শেয়ার করুন

খবর বিজ্ঞপ্তির : ১৯৭১ সালের পর থেকে আজ পর্যন্ত যারা ক্ষমতায় ছিল, কেউই এই জাতির আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে পরেনি। দুর্নীতি-দলীয়করণ-দুঃশাসন উপহার দেওয়াসহ দেশ পরিচালনায় তারা পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে। এর কারণ হচ্ছে শাসক পরিবর্তন হয়েছে। কিন্তু নীতি ও আদর্শের কোনো পরিবর্তন হয়নি। আমরা চাই শুধু নেতা নয়, নীতিরও পরিবর্তন চাই।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (খুলনা বিভাগ) মাওলানা শোয়াইব হোসেন প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে সংঘটিত গণহত্যার বিচার, দুর্নীতিবাজদের গ্রেফতার ও অবৈধ সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করা, সংখ্যানুপাতিক (PR) পদ্ধতিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন, বন্ধ মিল কলকারখানা চালু, ইহকালীন শান্তি ও পরকালীন মুক্তির লক্ষ্যে ইসলামী সমাজভিত্তিক কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবি এবং ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আহতদের সুস্থতা ও বীর শহীদদের মাগফিরাত কামনায় দোয়া ও গণ-সমাবেশ শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুর ৩ টায় খুলনা মহানগরীর খালিশপুর গোল চত্বরে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ খুলনা মহানগরীর খালিশপুর থানার উদ্যোগে বিশাল গণ-সমাবেশ খালিশপুর থানা সভাপতি আলহাজ্ব হাফেজ আব্দুল লতিফ এর সভাপতিত্বে ও থানা সেক্রেটারী মোঃ গাজী মিজানুর রহমান এর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত গণ-সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ খুলনা মহানগর সিনিয়র সহ-সভাপতি আলহাজ্ব মুফতি আমানুল্লাহ,বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ এর কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল মোঃ মুনতাসির আহামাদ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ খুলনা মহানগর সহ-সভাপতি শেখ মোঃ নাসির উদ্দিন, নগর সেক্রেটারী মুফতি ইমরান হোসাইন, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওঃ সাইফুল ইসলাম, সদস্য শেখ হাসান ওবায়দুল করীম, মাওলানা হাফিজুর রহমান, মোঃ কবির হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা জিএম কিবরিয়া, ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ খুলনা মহানগর সভাপতি মোঃ ইমরান হোসেন মিয়া, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন বাংলাদেশ খুলনা মহানগর সভাপতি এস এম আবুল কালাম আজাদ, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ খুলনা মহানগর সভাপতি মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন, সহ-সভাপতি মোঃ মাহাদী হাসান মুন্না, যুব আন্দোলনের নগর সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সবুর আল রাব্বি, মোঃ মামুনুর রশিদ, মোহাম্মদ বনি আমিন, খালিশপুর থানা ইমাম পরিষদের সভাপতি মাওঃ কারামত আলি সাহেব, মাওলানা আব্দুল আজিজ, ইসলামী আন্দোলন নেতা মাওঃ ওবায়দুর রহমান, থানা সহ সভাপতি মোঃ জামাল মুন্সী, শাহজালাল হোসেন, মোঃআফরোজ আলম, মোঃ রাজিবুল ইসলাম, আঃ আজিজ, শোয়াইব হোসেন, মো: বাদশা খান, মো: খলিলুর রহমান, আলহাজ্ব আব্দুল হাকিম, মোঃ শাহিন কাজী, মোঃ হাফিজুর রহমান, মো: শওকত হোসেন, মো: আব্দুল জলিল, মোঃ আব্দুর রউফ মোল্লা, শ্রমিক নেতা মৌলভী আল আমিন গাজী, মোঃ পলাশ শিকদার, যুব নেতা মোঃ মাইনুল ইসলাম, মাওঃ মশিউর রহমান খুলনাভী, মোঃ আল আমিন, স্বাধীন রাজু, ছাত্র নেতা মোঃ আল মামুন রাফি, মোঃ নাসির উদ্দিন,ওসমান গনি প্রমুখ

প্রধান অতিথি আরও বলেন, গত ৫ আগস্টের আগে বাংলাদেশে অন্যরকম এক অবস্থা ছিল। ভয়ভীতি, দমন-পীড়নের পাশাপাশি দুর্নীতি, লুটপাট, অর্থ পাচারের মহোৎসব চলছিল দেশে। ৫ আগস্টের আগ পর্যন্ত দেশের মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা ছিল এই ফ্যাসিস্ট সরকারকে হটানো। দেশে সাম্য কায়েম করা, বৈষম্য দূর করা। মানুষের সেই আশা-আকাঙ্ক্ষার ফল ৫ আগস্ট-পরবর্তী আজকের এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এ সরকারের কাজ হবে মানুষের সেই আশা-আকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়ন করা।

প্রধান বক্তা মুফতি আমানুল্লাহ বলেন, যেহেতু আগের সরকার, অর্থাৎ আওয়ামী লীগ শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত এমন কোনো জায়গা নেই, যেখানে তারা দলীয়করণ করেনি। রাষ্ট্রপতি পদ থেকে শুরু করে সর্বনিম্ন স্তর পর্যন্ত তারা দলীয়করণ করেছে। রাষ্ট্রীয় মদদে দুর্নীতি ও লুটপাট হয়েছে। এরকম একটি পরিস্থিতি থেকে দেশকে উত্তরণে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে শক্ত হাতে কাজ করতে হবে। এজন্য তাদের অনেক কাঠখড় পোড়াতে হবে। এ কাজে তারা কতটুকু সফল হতে পারবেন, তা সময় বলবে। তবে এটা ঠিক, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং প্রয়োজনীয় সংস্কারসাধনে যতটুকু সময় দরকার, আমরা তাদের ততটুকু সময় দিতে চাই। শুধু ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনাই নন, তার সহযোগী সব দুর্নীতিবাজ, ঋণখেলাপি, লুটপাটকারী, অর্থ পাচারকারীর বিচার করতে হবে। একই সঙ্গে যারা দুর্নীতি-লুটপাট ও অর্থ পাচারের কাজে সহযোগিতা করেছে বা সাহায্য করেছে, যারা আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়; তাদেরও বিচার করতে হবে। আমরা মনে করি, তারা সবাই একই দোষে দুষ্ট। তারাও সমান অপরাধী। তবে নিরপরাধ কোনো ব্যক্তি যাতে হয়রানির শিকার না হন,সেদিকটায়ও খেয়াল রাখতে হবে। যারা অন্যায়ের সঙ্গে জড়িত না, দুর্নীতি, লুটপাট, জুলুম, অত্যাচার করেননি, চুরি-ডাকাতি করেননি-তাদের হয়রানি যাতে না করা হয়, এটাও দেখতে হবে। অনেকের শিল্পপ্রতিষ্ঠান জ্বালিয়ে দেওয়া হচ্ছে, এগুলো দেশের সম্পদ। দেশের সম্পদ নষ্ট করার অধিকার কারও নেই। একইভাবে অনেকের নামে মিথ্যা মামলা দেওয়া হচ্ছে। আমি মনে করি, এগুলো আগের ফ্যাসিস্ট সরকারেরই পুনরাবৃত্তি।
গণসমাবেশে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদদের মাগফেরাত কামনা ও আহতদের সুস্থতা কামনায় দোয়া করা হয়।

ভাল লাগলে শেয়ার করুন
  • শেয়ার করুন