২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার,সকাল ৮:০৮

ভোমরা ইমিগ্রেশন কার্যক্রম চালু হওয়ায় শুরু হলো বাংলাদেশ-ভারত পাসপোর্ট যাত্রীদের গমনাগমন 

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২১

  • শেয়ার করুন

এম জিয়াউল ইসলাম জিয়া, ভোমরা(সাতক্ষীরা): বৈশ্বিক (কোভিড-১৯) মহামারী করোনা ভাইরাস সংক্রমন প্রতিরোধে ২০২০ সালের ২৬ মার্চ সাতক্ষীরার স্থলবন্দর ভোমরা ইমিগ্রেশন চেকপোষ্ট রুট দিয়ে বৈধ পাসপোর্ট যাত্রীদের গমনাগমন বন্ধ থাকার দেড় বছর পর রবিবার (১৯ সেপ্টেম্বর ২০২১) থেকে ভোমরা ইমিগ্রেশন চেকপোষ্টে খুলল ভারত-বাংলাদেশের যাত্রী চলাচলের বহু প্রতীক্ষার দুয়ার। মন্ত্রীপরিষদ আন্তঃমন্ত্রনালয়ের সিদ্ধান্ত অনুসারে সীমিত পরিসরে ও পরীক্ষামূলকভাবে ভোমরা স্থলবন্দর ইমিগ্রেশন চেকপোষ্ট রুট দিয়ে ভারত-বাংলাদেশ পাসপোর্ট যাত্রীরা চলাচল করতে পারবে। ভোমরা ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (এসআই) জাহাঙ্গীর হোসেন খাঁন সাংবাদিকদের জানান, বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাস সংক্রমিত হওয়ায়, বাংলাদেশও সংক্রমিত হয়। করোনা ভাইরাস বিস্তার ও প্রতিরোধকল্পে সরকারী সিদ্ধান্তে ভোমরা ইমিগ্রেশন চেকপোষ্ট দিয়ে যাত্রী চলাচল স্থগিত থাকে। বর্তমানে করোনা ভাইরাস কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসায় আন্তঃমন্ত্রনালয় বৈঠকের সিদ্ধান্তের আলোকে ভোমরা ইমিগ্রেশন চেকপোষ্ট দিয়ে পাসপোর্ট যাত্রী চলাচলের অনুমতি প্রদান করা হয়। আমার ইমিগ্রেশন অথরিটি হেডকোয়ার্টার ঢাকার এসবির নির্দেশনা মোতাবেক এবং জেলা পুলিশ সুপার মহোদয়ের সঙ্গে আলোচনাক্রমে ও তাঁর নির্দেশনা অনুযায়ী পাসপোর্ট যাত্রীদের চলাচলে ইমিগ্রেশন সচল রয়েছে। এদিকে ভোমরা কাষ্টম সিএন্ডএফ এজেন্ট এ্যাসোসিয়েশনের সাধারন সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান নাসিম জানান, ২০২০ সালের ২৬ মার্চ ভোমরা স্থলবন্দর ইমিগ্রেশন রুটে পাসপোর্ট যাত্রীদের গমনাগমন বন্ধ হয়ে যায়। উভয় দেশের যাত্রীদের দূর্ভোগ লাঘবে সম্প্রতি দু’দেশের সরকার সম্মত হওয়ায় দীর্ঘ দেড় বছর প্রতীক্ষার পর পাসপোর্ট যাত্রী চলাচলে ভোমরা ইমিগ্রেশন চেকপোষ্টের কার্যক্রম চালু হয়। ইমিগ্রেশন খুলে দিলে আমদানী বাণিজ্য সম্প্রসারন হবে এবং রাজস্ব প্রবৃদ্ধি হবে। তবে ইমিগ্রেশন কার্যক্রম চালুর প্রথম দিনে বাংলাদেশ-ভারতের কোনো পাসপোর্ট যাত্রীদের গমনাগমন হয়নি। এদিকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ কোলকাতার দূরত্ব ভোমরা বন্দর থেকে দেশের অন্যান্য বন্দরের তুলনায় অনেক কম। করোনাকালে দীর্ঘদিন ভোমরা ইমিগ্রেশন বন্ধ থাকায় ব্যাপক দূর্ভোগে ছিল উন্নত চিকিৎসা সেবা নেওয়া অসংখ্য রোগী, ব্যবসায়ী ও ভ্রমন ইচ্ছুক যাত্রীরা। বিশেষ করে বাংলাদেশ থেকে ভারতে গিয়ে সুচিকিৎসা নেওয়া রোগীদের দূর্ভোগ ছিল চরমে। কিন্তু আজ রবিবার (১৯ সেপ্টেম্বর ২০২১) থেকে ভোমরা ইমিগ্রেশন কার্যক্রম চালু হওয়ায় কিছুটা স্বস্তি ফিরে এসেছে পাসপোর্ট যাত্রীদের মধ্যে। এদিকে বাংলাদেশ সহকারী হাই কমিশন গত ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১ নং বিএএইওসি(এডিটি),এডমিন,সিএলএ/৩১২/১৪৮৭ ম্মারকে বাংলাদেশ-ভারত স্থলবন্দর দিয়ে যাত্রী চলাচলের বিষয়ে এক নির্দেশনামূলক বিজ্ঞপ্তি জারি করে। প্রাপ্ত এই নির্দেশিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে যাত্রী চলাচলের জন্য সুরক্ষা সেবা বিভাগ, বাংলাদেশ মিশন সমূহের অনাপত্তি(এনওসি) পত্র গ্রহণের প্রয়োজন হবে না। ভারতীয় নাগরিক বাংলাদেশে আগত সকল দেশি ও বিদেশি নাগরিকদের আংশিকভাবে বাহাত্তর ঘন্টা মেয়াদী আরটি-পিসিআর ভিত্তিক নেগেটিভ কোভিড-১৯ রিপোর্ট প্রদর্শন করতে হবে। এছাড়া রিপোর্ট আংশিকভাবে বাছাইযোগ্য কিউআর কোর্ড যুক্ত হতে হবে। বুস্টার বা দ্বিতীয় ডোজ টিকা সম্পন্নকারী দেশি ও বিদেশী যাত্রী টিকা সম্পন্ন করার পর স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশকালে টিকা কার্ড বা উপযুক্ত প্রমানক এবং আরটি-পিসিআর নেগেটিভ কোভিড১৯ রিপোর্ট প্রদর্শনসহ সরাসরি গন্তব্যস্থলে যাত্রা বা অবস্থান করতে পারবে। আগত যাত্রীদের হোম কোয়ারেন্টাইনের আওতাভুক্ত থাকবে তবে বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে অনুসরন করতে হবে। টিকা সম্পন্ন না হলে বাহাত্তর ঘন্টা মেয়াদী আরটি-পিসিআর ভিত্তিক নেগেটিভ কোভিড-১৯ রিপোর্ট প্রদর্শন ছাড়াও স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয় নির্ধারিত বিধি অনুসরন করে বাংলাদেশে প্রবেশের ২৪-৪৮ ঘন্টার মধ্যে যাত্রীদের নিজ খরচে আরটি-পিসিআর (র‌্যাপিড এন্টিজেন টেস্ট) সম্পন্ন করার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। টেস্টের ফলাফলের উপর নির্ভর করে তাদের কোয়ারেন্টাইনের বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয় সিদ্ধান্ত গ্রহন করবে। টেস্টের ফলাফল আসা পর্যন্ত উক্ত পাসপোর্ট যাত্রীরা জেলা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় নিজ খরচে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে থাকবে।

 

 

এম জিয়াউল ইসলাম জিয়া। (ছবি আছে)

ভাল লাগলে শেয়ার করুন
  • শেয়ার করুন