৫ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রবিবার,রাত ২:০৯

বাঁচতে চায় শিক্ষার্থী মঞ্জুরুল, খরচ মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে পরিবার

প্রকাশিত: এপ্রিল ২৫, ২০২৪

  • শেয়ার করুন

কয়রা প্রতিনিধি:

মরণব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে শয্যাশায়ী মোঃ মঞ্জুরুল আলম বাদশা। অর্থের অভাবে চিকিৎসা খরচ মেটাতে হিমসিম খাচ্ছে তার পরিবার। মঞ্জুরুল আলম বাদশা দেশের কয়েকটি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে বর্তমানে ভারতে গিয়েছেন। দেশের কয়েকটি হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে যেয়ে ইতিমধ্যে পরিবার নিঃস্ব হয়েছেন।
মঞ্জুরুল আলম রূপসার বঙ্গবন্ধু সরকারী কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করে সরকারি আযম খান কমার্স কলেজে হিসাব বিজ্ঞানে অনার্স পড়ছেন। তিনি অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্র। ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। তার পিতা একজন দিনমজুর। তিনি কয়রার বাগালী ইউনিয়নের বায়লারহারানিয়া গ্রামের সুজাউদ্দিন সানার বড় ছেলে। ছোটবেলা থেকে বাদশা লেখাপড়ায় ব্রিলিয়ান্ট ছিল। তার স্বপ্ন লেখাপড়া শেষ করে মানুষের মতো মানুষ হবে। কিন্তু সেই স্বপ্ন ধূলিসাৎ হতে যাচ্ছে তার। তার স্বপ্নকে মরণব্যাধি ক্যান্সার থাবা দিয়েছে।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, তিন মাস পূর্বে হঠাৎ অসুস্থতা দেখা দিলে বাদশাকে কয়রা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। তিন মাস চিকিৎসা খরচ মেটাতে দারিদ্র পরিবার হয়েছেন নিঃস্ব। বর্তমানে ভারতের ভ্যালোরে চিকিৎসা নিতে গেলেও টাকার অভাবে ব্যহত হচ্ছে। সেখানের একটি হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিতে দশ লক্ষাধিক টাকা ব্যয় হবে বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদেরকে জানিয়েছেন। তার পরিবারের পক্ষে আর খরচ বহন করা সম্ভব হচ্ছে না। এলাকার লোকজনসহ দেশের বিত্তশালীদের কাছে চিকিৎসার সহায়তা চেয়ে অনুরোধ করেছেন।
চিকিৎসক জানিয়েছেন, তিনি মরণব্যাধি বন মেরু ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছেন।
তার মা নাজমা খাতুন জানান, বাদশার চিকিৎসায় ইতোমধ্যে প্রায় চার লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে। এখনও বেশ কয়েক লাখ টাকার প্রয়োজন। তাদের পক্ষে এত টাকা সংগ্রহ করা সম্ভব হচ্ছে না। নিঃস্ব হয়ে গেছে। সমাজে সর্বস্তরের মানুষের কাছে সহায়তা ও দোয়ার অনুরোধ করেন তিনি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ আলাউদ্দিন সানা বলেন, মঞ্জুরুল অত্যন্ত বিনয়ী ও ভালো ছেলে। হঠাৎ করে তার এমন রোগ ধরা পড়ল, যা সত্যিই দুঃখজনক। তার বাবা একজন দিনমজুর। কখনও বোট মাটির কাজ করেন, কখনও এলাকায় ঘের থেকে চিংড়ি কিনে কাটায় বিক্রি করে মোটামুটি সংসার খরচ মেটাতে পারতো। তবে ছেলের অসুস্থতায় এখন নিঃস্ব হয়ে গেছে। তার মা ছেলের চিন্তায় এখন পাগল প্রায়। তার চিকিৎসায় সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহবান জানিয়েছেন তিনি।

ভাল লাগলে শেয়ার করুন
  • শেয়ার করুন