১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রবিবার,রাত ১০:০৯

পাওয়ার অব অ্যাটর্নি’ থাকছে না

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২০, ২০২২

  • শেয়ার করুন

ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ‘পাওয়ার অফ অ্যাটর্নি নিয়ে অনেক সমস্যা হচ্ছে। এই সুবিধা অপব্যহার করা হচ্ছে। যারা প্রবাসে থাকে, তাদের ক্ষেত্রে এম্বেসির মাধ্যমে পাওয়ার অফ অ্যাটর্নি ইলিজেবল। অন্যদের ক্ষেত্রে নো মোর পাওয়ার অ্যাটর্নি। পাওয়ার অফ অ্যাটর্নি বন্ধ করে দেব।’
পাওয়ার অফ অ্যাটর্নি ব্যবস্থার ঢালাও ব্যবহার আর থাকছে না। অপব্যবহারের উল্লেখ করে এই ক্ষমতা তুলে দেয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী। রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে চলমান ডিসি সম্মেলনে অংশগ্রহণ শেষে বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের এ কথা বলেছেন তিনি।

ভূমিমন্ত্রী বলেন, ‘পাওয়ার অফ অ্যাটর্নি নিয়ে অনেক সমস্যা হচ্ছে। এই সুবিধা অপব্যহার করা হচ্ছে। তাতে নানা সমস্যা হচ্ছে। আমি সরাসরি বলে দিয়েছি, যারা প্রবাসে থাকে তাদের ক্ষেত্রে এম্বেসির মাধ্যমে পাওয়ার অফ অ্যাটর্নি ইলিজেবল। তবে যারা দেশে আছে তাদের ক্ষেত্রে নো মোর পাওয়ার অ্যাটর্নি। পাওয়ার অফ অ্যাটর্নি বন্ধ করে দেব।’

ভূমির নামজারি ডিজিটালাইজ করার বিষয়ে সরকার প্রায় শতভাগ সফলতা পেয়েছে বলে দাবি করেন ভূমিমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমরা ডিজিটাইজেশনে অনেকটা সাকসেস হয়েছি। আমি বলতে পারি, নামজারি শতভাগ না হলেও শতভাগের কাছাকাছি আমরা অনলাইনে চলে গেছি।

‘আমরা একটি কাটঅফ টাইম দিয়েছিলাম, ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে আর কোনো মিউটেশন হবে না। আমরা এটায় সাকসেসফুল। আমি বলব, ৯৯ ভাগ ক্ষেত্রে ফুললি ডিজিটাইজড।’

তিনি বলেন, ‘ভূমি উন্নয়ন কর নেয়া নিয়ে মাঠপর্যায়ে অনেক হয়রানি আছে। আমরা অনলাইনে কাজ শুরু করেছি। পাশাপাশি ম্যানুয়ালিও চলছে। কারণ অনেক ডাটা এখনও এন্ট্রি হয়নি। ডাটাগুলো সব এন্ট্রি হয়ে গেলে ম্যানুয়ালি আর কোনো ভূমি উন্নয়ন ট্যাক্স নেয়া হবে না। আশা করছি এ বছরের শেষ নাগাদ ম্যানুয়ালি ট্যাক্স গ্রহণ পুরোপুরি বন্ধ করে দেয়া সম্ভব হবে।’

ভূমিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা মাঠপর্যায়ে ডিসক্রিশনারি পাওয়ার কমানোর চিন্তাভাবনা করছি। মাঠপর্যায়ে জবাবদিহিতার ক্ষেত্রে এখনও তারা স্বেচ্ছাচারিতা করে, হয়রানি করতে চায়। তাদের এই ক্ষমতা আমরা অনেক ক্ষেত্রেই কমিয়ে ফেলব। আর নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করতে না পারলে তাদের জবাবদিহি করতে হবে।’

বাংলাদেশ ডিজিটাল সার্ভেই সর্বশেষ সার্ভে হবে বলে জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘বিডিএস হবে সর্বশেষ সার্ভে- বাংলাদেশ ডিজিটাল সার্ভে। বরগুনা ও পটুয়াখালীতে এটা পাইলট প্রকল্প হিসেবে নিচ্ছি। ড্রোনের মাধ্যমে, স্যাটেলাইটের মাধ্যমে ইমেজ নিয়ে আমরা কাজ করব। এটায় সাকসেসফুল হলে আমরা রেপ্লিকা করব সারা দেশে।

‘আজ জেলা প্রশাসকরা জানতে চেয়েছেন যে একসঙ্গে করা যায় কি না। কিন্তু এটা সম্ভব না। কারণ আমাদের এখানে ট্রায়াল অ্যান্ড অ্যাররের মাধ্যমে সার্ভেটা করতে হবে। অ্যাকিউরেসি ইজ ভেরি ইমপরটেন্ট। বাংলাদেশে ডিজিটাল সার্ভের পর আর কোনো সার্ভে প্রয়োজন হবে না। আমরা এখানে হান্ড্রেড পারসেন্ট অ্যাকিউরেসি এনশিওর করার চেষ্টা করব। এখন টেকনোলজির যুগ। আমরা আধুনিক সম্ভাব্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে স্বল্প সময়ের মধ্যে সারা দেশে সার্ভেটা করব।’

ভাল লাগলে শেয়ার করুন
  • শেয়ার করুন