২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার,বিকাল ৩:৫৬

খুলনার শীর্ষ সন্ত্রাসী মিনা কামাল ওরফে ফাটা কেষ্ট ‘ বাগেরহাটে বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত।

প্রকাশিত: জুলাই ৩১, ২০২০

  • শেয়ার করুন

মাসুম হাওলাদা বাগেরহাট:  বাগেরহাটে র‌্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে মোস্তফা কামাল ওরফে মিনা কামাল (৫৫) নামে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান নিহত হয়েছেন। তিনি খুলনা জেলার রূপসা উপজেলার নৈহাটি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ছিলেন।
বৃহস্পতিবার (৩০ জুলাই) ভোরে বাগেরহাট জেলার রামপাল উপজেলার খুলনা-মোংলা মহাসড়কের বাবুরবাড়ি এলাকায় এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। পরে রামপাল উপজেলার ঝনঝনিয়া হাসপাতালে নিয়ে আসলে সেখানে কামালের মৃত্যু হয়।রামপাল থানার পুলিশ হাসপাতাল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতালে পাঠায়।নিহত মোস্তফা কামাল ওরফে মিনা কামাল রূপসা উপজেলার মিনহাজ উদ্দিনের ছেলে এবং রূপসা উপজেলার নৈহাটি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান। কামালের বিরুদ্ধে ৯টি হত্যাসহ ২৫টির উপরে বিভিন্ন অপরাধের মামলা রয়েছে। র‌্যাব-৬ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল রওশনুল ফিরোজ বলেন , মাদক ব্যবসায়ীদের গোপন বৈঠকের খবর পেয়ে রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাছে বাবুর বাড়ি এলাকায় গেলে তারা র‌্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। আত্মরক্ষার্থে র‌্যাবও গুলি চালায়। এক পর্যায়ে সশস্ত্র মাদক কারবারিরা পিছু হটলে ঘটনাস্থলে গুরুত্বর আহত অবস্থায় মিনা কামালকে পাওয়া যায়। পরে মিনা কামালকে রামপালের ঝনঝনিয়া হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তার মৃত্যু ঘোষণা করেন।
পরে ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, ৫০০ পিস ইয়াবা, একটি চাকু ও নগদ ৬৭ হাজার টাকা উদ্ধার করে র‌্যাবের সদস্যরা।রামপাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, আমরা ঝনঝনিয়া হাসপাতাল থেকে কামালের মরদেহ উদ্ধার করেছি। সুরহাতল রিপোর্ট শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ বাগেরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছি। র‌্যাবের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে। মামলা দায়ের হলে আরও বিস্তারিত জানা যাবে বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য মিনা কামাল খুলনার রূপসা উপজেলার চিহ্নিত খুনি-সন্ত্রাসী।২০১৪ সালে দৈনিক তথ্যে ধারাবাহিকভাবে তার বিরুদ্ধে ফাটা কেষ্ট হিসাবে হেডলাইন করে নিউজ হত। যা এ অঞ্চলে ব্যাপকভাবে আলোচিত হয় এবং তার বিরুদ্ধে নিউজ হওয়ার কারণে চেয়ারম্যান থাকা অবস্থায় সে এলাকা ছাড়তে বাধ্য হয়। সেই থেকে তার নাম ফাটা কেষ্ট হিসাবে সর্বমহলে পরিচিতি লাভ করে।  পাঁচ ছয় মাস পালিয়ে থাকার পর পরবর্তীত সে উপরের মহলে ম্যানেজ করে আবার এলাকায় ফিরে আসে। তবে সে জেলা পুলিশের শীর্ষ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীর তালিকায় ছিল তার নাম। আবার দলীয় পদ-পদবি না থাকলেও নিজেকে যুবলীগ নেতা দাবি করতেন মিনা কামাল। তার বিরুদ্ধে ২৫টিরও বেশি মামলা, শতাধিক সাধারণ ডায়েরি (জিডি) রয়েছে। যার মধ্যে নয়টি খুনের মামলা।

ভাল লাগলে শেয়ার করুন
  • শেয়ার করুন