প্রকাশিত: মে ৯, ২০২৪
তথ্য প্রতিবেদক:
হারিয়ে যাওয়ার দেড় মাস পর পিতাকে ফিরে পেল নারায়নগঞ্জের ফতুল্লার ৭ বছরের এতিম শিশু মোঃ ইয়ামিন। খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের সহায়তায় বৃহস্পতিবার দুপুরে ইয়ামিনকে তার পিতা মোঃ সাইফুল ইসলামের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিঃ উপ-পুলিশ কমিশনার (সদর) মিয়া মোহাম্মদ আশিস বিন্ হাছান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, গত ১৯ মার্চ ২০২৪ কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন হতে ট্রেনে উঠে মোঃ ইয়ামিন (৭) নামে একটি শিশু সন্ধ্যায় খুলনা রেলওয়ে স্টেশনে এসে পৌছায়। এরপর সে খুলনা
খুলনার হরিণটানা থানাধীন গল্লামারী এলাকাতে এসে কান্না-কাটি করতে থাকলে পথচারীরা হরিণটানা থানা পুলিশকে বিষয়টি জানায়। হরিণটানা থানার এসআই (নি:) মোঃ মাসুম বিল্লাহ শিশু মোঃ ইয়ামিনকে সাথে করে থানায় নিয়ে আসেন। ইয়ামিনের দেয়া তথ্যমতে ঢাকার কমলাপুর এলাকায় চেষ্টা করেও তার পিতার কোন সন্ধান করা সম্ভব হয়নি। পরে তাকে শেখ রাসেল শিশু প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্র, বটিয়াঘাটা, খুলনায় বালক হোস্টেলে রাখা হয়। সেখানে থাকা অবস্থায় ইয়ামিন জানায়, কমলাপুর নিয়ে গেলে সে তার বাড়ি খুঁজে বের করতে পারবে।
ইয়ামিনের বক্তব্যের উপর আস্তা রেখে গত ৮ মে কেএমপি’র পুলিশ কমিশনার মোঃ মোজাম্মেল হকের নির্দেশ মোতাবেক হরিণটানা থানা পুলিশ, উপজেলা সমাজসেবা অফিসার এবং শেখ রাসেল শিশু প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্র, বটিয়াঘাটা, খুলনা’র ৫ (পাঁচ) সদস্যের একটি টিম তাকে নিয়ে ঢাকায় যায়। সেখানে ইয়ামিন তার বাড়ি দেখাতে না পারলেও নারায়নগঞ্জগামী একটা ট্রেন দেখিয়ে জানায় যে তাকে ওই ট্রেনে নিয়ে গেলে ভালো করে বাড়ি চিনতে পারবে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে শিশুটিকে নিয়ে খুলনা থেকে যাওয়া টিম নারায়নগঞ্জের দিকে রওনা হয়। ট্রেনে জনৈক ব্যক্তি ইয়ামিনকে দেখে চিনতে পেরে তিনি তাদের বাড়ির ঠিকানা বলে দেন। তার দেয়া তথ্যানুযায়ী টিমটি ইয়ামিনকে তার বাড়ি লালপুর পেীঁছে দিতে সক্ষম হয়।
উক্ত টিমের সদস্যরা শিশু মোঃ ইয়ামিন কে তার পিতার জিম্মায় প্রদান করে খুলনায় ফিরে আসে।
ভুমিষ্ট হওয়ার পর পরই শিশু মোঃ ইয়ামিন এর মা মারা যায়। তার বাবা মোঃ সাইফুল ইসলাম আর বিবাহ করেননি। মা বিহীন এই ভূবনে সে তার বাবাসহ চাচা ফুফুদের সাথে ঐ নিভৃত পল্লীতে থাকে।