২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার,ভোর ৫:০৯

সীমাহীন দূর্নীতি টপকে ভোমরা জিরোপয়েন্ট কার্গো শাখায় বসেছে ঘুষ কেলেংকারীর বাণিজ্য মেলা

প্রকাশিত: মে ২৯, ২০২১

  • শেয়ার করুন

জিয়াউল ইসলাম জিয়া: সীমাহীন দূর্নীতি টপকে ঘুষ কেলেংকারীর বাণিজ্য মেলা বসেছে ভোমরা জিরো পয়েন্ট গোল চত্তর কার্গো শাখায়। কাস্টমসের উর্দ্ধতন কর্মকর্তার নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ভারত থেকে আমদানী হওয়া পণ্যবাহী ট্রাক প্রতি ৬০ টাকা উৎকোচ গ্রহনের অভিযোগ উঠেছে বন্দর এলাকায়। ভারতীয় ট্রাক ড্রাইভারদের নিকট থেকে বাধ্যতামূলক গাড়ী রেজিস্ট্রার এন্ট্রির নামে আদায় করা হচ্ছে মোটা অংকের অর্থ । এমন অভিযোগ করেছে ভারতীয় ট্রাক ড্রাইভাররা। ভারতীয় ট্রাক ড্রাইভারদের অভিযোগে জানা যায়, তারা ভারত থেকে জিরো পয়েন্ট এলাকায় আসার পরপরই কার্গো শাখায় যেয়ে গাড়ী রেজিস্টার এন্ট্রি করার পর ৬০ টাকা উৎকোচ দিতে হয়। এই কর্গো শাখায় গাড়ী রেজিস্টার্ড এন্ট্রির দায়িত্বে নিয়োজিত সিপাহী আব্দুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে ঘুষ বাণিজ্যে নেমে পড়ে আকবার আলী (মাস্টার) ও দালাল (এনজিও) বদরুল আলম। আদায়কৃত ঘুষের টাকা বন্টন করা হয় ৪ জনের মধ্যে। এছাড়া দফায় দফায় ঘুষ বাণিজ্যের অর্থ আদায় করারও অভিযোগ উঠেছে ভুক্তভোগী সংশ্লিষ্টদের নিকট থেকে। গত ১০ দিনে ভারতের ঘোজাডাঙ্গা স্থল বন্দর থেকে ২৯৩৫ টি বিভিন্ন পণ্যবাহী ট্রাক ভোমরা বন্দর অভ্যন্তরে প্রবেশ করে। গত ১৬ মে ১৭৭ গাড়ী, ১৭ মে ২৯৯ গাড়ী,১৮ মে ২৯৯ গাড়ী, ১৯ মে ২৮৬ গাড়ী,২০ মে ৩০৭ গাড়ী,২২ মে ২১৫ গাড়ী,২৩ মে ২২৪ গাড়ী, ২৪ মে ৩১৯ গাড়ী,২৫ মে ৩৩৮ গাড়ী এবং ২৭ মে ৩৭১ গাড়ী আমদানী পণ্য ভোমরা বন্দরে প্রবেশ করে। প্রতি গাড়ী থেকে ৬০ টাকা ঘুষ গ্রহনে আদায় কৃত অর্থের পরিমাণ দাড়ায় ১ লক্ষ ৭৬ হাজার ১ শত টাকা। এই আদায়কৃত ঘুষের টাকা কাস্টমসের পোষ্য দালাল(এনজিও) বদরুল আলম, গ্রীজার শাহ আলম,আকবার আলী(মাস্টার) ও সিপাহী আব্দুর রাজ্জাক ভাগাভাগী করে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এদিকে জিরো পয়েন্ট কার্গো শাখায় দূনীতিবাজ ও ঘুষখোর কর্তৃপক্ষের অমানবিক ঘুষ বাণিজ্যে অতিষ্ঠ হয়ে গণ্যমাধ্যম কর্মীদের নিকট অভিযোগ করেন WB২৫K-৩৩৬৯ গাড়ীর ড্রাইভার রাহুল মন্ডল, WB২৩A-৯৯৭৯ গাড়ীর ড্রাইভার ইনজামুল হক, WB২৩B-০৫৭৮ গাড়ীর ড্রাইভার খোকন মন্ডল, WB২৩B-৫৭৩৬ গাড়ীর ড্রাইভার শানু সরকার, WB২৫E-৩৫৯৬ গাড়ীর ড্রাইভার আশুতোষ ঘোষ, WB২৩B-৭৫০৫ গাড়ীর ড্রাইভার ইমরান খান, WB২৫J-২৭৮৮ গাড়ীর ড্রাইভার সুভংকর সরদার সহ ড্রাইভার কেভিরাও। এদিকে ভোমরা বন্দর সংশ্লিষ্টরা অভিযোগ করে জানান, ভোমরা কাস্টসের সবচেয়ে ঘুষখোর ও দূর্নীবাজ সিপাহী আঃ রাজ্জাক অঘোষিত ভাবে কাস্টমসের উদ্ধতন কর্মকর্তাদের নজর এড়িয়ে তার সিন্ডিকেট সদস্যদের নিয়ে ঘুষ বাণিজ্যে নেমে লুটে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। কথিত ঘুষখোর আকবর আলী,শাহআলম ও রাজ্জাকের যৌথ বিস্তারে গড়ে উঠেছে ঘুষ বাণিজ্যের বিশাল নেটওয়ার্ক। কাস্টমসের পোষ্যদালালদের খোরাক যোগাতে এবং সিন্ডিকেট সদস্যদের পকেট গরম করতে প্রতিদিন কার্গো শাখা থেকে আদায় করা হচ্ছে হাজার হাজার টাকা। এসিন্ডিকেটের দৌরাত্বের কাছে হার মানতে বাধ্য হচ্ছে কাস্টমসের অন্যান্য ভুক্তভোগী সদস্যরা। এমন অভিযোগ উঠেছে অহরহ। ভোমরা কাস্টমস উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ও নজর এড়িয়ে চলছে ঘুষ আদায়ের অবাধ বাণিজ্য। কার্গো শাখায় ঘুষ বাণিজ্য কেন্দ্র গড়ে উঠলেও উদ্ধর্তন কর্মকতারাও নীরব। বিষয়টি সরজমিনে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য ভুক্তভোগীরা জোর দাবি জানিয়েছে।

ভাল লাগলে শেয়ার করুন
  • শেয়ার করুন