১২ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, রবিবার,বিকাল ৩:০৫

শিরোনাম
ব্যাংকিং সেক্টরে এস আলমের একচ্ছত্র নিয়োগ বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ স্বতন্ত্র মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠাসহ ৫ দফা দাবিতে খুলনায় সংবাদ সম্মেলন খুলনার তেরখাদায় নৌবাহিনীর অভিযানে অবৈধ কারেন্ট জাল ও চায়না দোয়ারী জাল আটক খুলনা মহানগরীর ১ ও ২৫নং ওয়ার্ডকে শিশুশ্রমমুক্ত ঘোষণা খুলনায় ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ এর পূনঃ সবুজায়ন কার্যক্রম উদযাপন এবং সমন্বিত সবুজ বিদ্যালয় ঘোষণা অনুষ্ঠিত মারধরের মামলায় খুলনা জেলা কারাগারে হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টী সত্যানন্দ দত্ত নতুন করারোপ ছাড়া কেসিসির ৭১৯ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা অশ্রুসিক্ত হৃদয়ে খুলনায় পালিত হলো ইমাম হুসাইন (আ.)’র পবিত্র চেহলাম খুলনা ও বরগুনায় নৌবাহিনীর যৌথ অভিযানে মাদকসহ আটক-৩

শ্যামনগরে ঝুকিপূর্ণ বাক্সকল ভেঙে পানি প্রবেশ, আতঙ্কে উপকূলবাসী

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২৩

  • শেয়ার করুন

শ্যামনগর প্রতিনিধি : শ্যামনগরে ঝুকিপূর্ণ বাক্সকল ভেঙে পানি প্রবেশ করলো লোকালয়ে। ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখ দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে কৈখালী ইউনিয়নের পরানপুর ও কাঠামারির মাঝখানে নূর ইসলামের মৎস্যঘেরীর কলের পাশ ডেবে গিয়ে ১৫ ফুট জুড়ে পানি প্রবেশ করে। পরে স্থানীয়রা বস্তুা দিয়ে সাময়িক পানি আটকাতে সক্ষম হয়।
কৈখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শেখ আব্দুর রহিম বলেন, বিষয়টি জানারপর লোকজন দিয়ে সংস্কার করেছি। তবে এরকম আরও কয়েকটি কল আছে যা ঝুঁকিপূর্ণ।
পানিউন্নয়ন বোর্ডের বেড়িবাঁধে যত্রতত্র ছিদ্র করে পাইপ ও বাক্স কল বসিয়ে ঝাঁজরা করে বেড়িবাঁধকে দূর্বল করে দিয়েছে পানি ব্যবসায়ীরা। শ্যামনগরে ২০ টার অধিক বাক্স কল রয়েছে সেখানে প্রায় অর্ধেক বাক্সকল ঝুঁকিপূর্ন অবস্থায় পানি উত্তোলন কার্যক্রম অব্যহত রেখেছে।

স্থানীয়ও আব্দুর রহিম ও কালাম গাজী বলেন, কিছু এলাকায় সিএমবির রাস্তা তৈরি হয়েছে কিন্তু তার নিচু দিয়ে বাক্স কল রয়ে গেছে। সেই স্থানগুলো রাস্তার চরম ক্ষতি হয়েছে। নবনির্মিত রাস্তা বসে গেছে। অন্যদিকে কিছু স্থানে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়িবাঁধ দুপাশ ভাঙ্গনের কবলে পড়েছে। সরকার প্রতিনিয়ন এই বেড়িবাঁধ রক্ষার্থে কোটি কোটি টাকা বাজেট দিয়েও রক্ষা করতে পারছে না কিছু অসাধু কর্মকর্তাদের জন্য।
জানা গেছে যে, বাক্সকলগুলোর বার্ষিক আয় প্রায় ২ কোটি টাকা। এই টাকা নিচু তলা থেকে উপর তলার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা পেয়ে থাকে। বাক্স কল অপসারণে বিজ্ঞ আদালতের আদেশ থাকলেও স্থানীয়রা সমন্বয় করে তা সিথিল করে ফেলেছে।

কিছু সচেতন মহল জানিয়েছেন যে, ২০ টার অধিক বাক্স কল আতঙ্কে ভুগছে উপকূলবাসী। যেকোন মূহুর্তে ঐ সব বাক্সকল ভেঙে কৈখালীর মত ঘটনা ঘটতে পারে বলে জানিয়েছেন।
দাবী করেছেন, বাক্স কল অপসারণ করলে লোনাপানি উঠা বন্ধ হবে। বন্ধ হবে যত্রতত্র বেড়ীবাঁধ ছিদ্র।
তবে পানি উন্নয়ন বোর্ডের এস ডিও জাকির হোসেন বলেন, আমার দ্রুত ব্যাবস্থা নিচ্ছি। অবৈধ বাক্স এড়িয়ে গিয়ে দোষ চাপাচ্ছেন উপজেলা পরিষদ ও প্রশাসনের উপর।

ভাল লাগলে শেয়ার করুন
  • শেয়ার করুন