১৮ই আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, সোমবার,বিকাল ৪:১৫

শিরোনাম
অশ্রুসিক্ত হৃদয়ে খুলনায় পালিত হলো ইমাম হুসাইন (আ.)’র পবিত্র চেহলাম খুলনা ও বরগুনায় নৌবাহিনীর যৌথ অভিযানে মাদকসহ আটক-৩ খুলনায় মাদক ব্যবসায়ী কর্তৃক হয়রানী থেকে বাঁচতে ও তাদের শাস্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন খুলনায় নারী-পুরুষ সম্পর্কিত প্রচলিত ভুল ধারণা মোকাবিলায় অ্যাডভোকেসি সভা অনুষ্ঠিত খুলনায় ১৩ মাস বেতন না পেয়ে কর্মবিরতিতে আউটসোর্সিং কর্মচারীরা, অচল ৯ উপজেলার স্বাস্থ্যসেবা নৌ ও বিমান বাহিনীর নির্বাচনী পর্ষদ উদ্বোধন করলেন প্রধান উপদেষ্টা উত্তরায় বিমান বিধ্বস্ত: জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে জরুরী হটলাইন চালু উত্তরায় ‘প্রশিক্ষণ বিমান’ বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহত-১, আহত-২৬ খুলনায় প্রাথমিক বিদ্যালয় সবুজায়নে পরিকল্পনা প্রনয়ণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত

শার্শায় গ্রীষ্মকালীন শিম আর টমেটো চাষে চাষির মুখে হাসি

প্রকাশিত: আগস্ট ২৪, ২০২১

  • শেয়ার করুন


মিলন হোসেন বেনাপোল।
গ্রীষ্মকালীন শিম এবং টমেটো চাষে সাফল্যের মুখ দেখছেন যশোরের শার্শার চাষিরা। অসময়ে শীত মৌসুমের ফসল হাতে পেয়ে কৃষকেরা যেন সোনার হরিণ হাতে পেয়েছেন। অল্প জমিতে গ্রীষ্মকালীন সবজি চাষ করে অধিক মুনাফা লাভে তাদের মুখে ফুটেছে আনন্দের হাসি। জেলায় পলি শেড আর নিচে বেড করে টমেটোর চাষ হচ্ছে।

বাঁশের তৈরি মাঁচায় ঝুলছে শিমের থোকা থোকা ফুল। ভাল ফলন এবং বাজারে পর্যাপ্ত চাহিদার পাশাপাশি দাম বেশি পাওয়ায় অধিক লাভের সম্ভাবনা দেখছেন কৃষকরা।
উপজেলার শ্যামলাগাছি, নারানপুর, কাশিপুর গ্রামের মাঠে মাঠে গ্রীষ্মকালীন শিম ও টমেটোর চাষ হচ্ছে। এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় গ্রীষ্মকালীন এই চাষে সফলতার মুখ দেখছেন চাষিরা।বেগুনি আর হলুদ ফুলে ছেয়ে গেছে কৃষকের মন। গত সপ্তাহে বেনাপোল এবং নাভারনের কাঁচা বাজারে প্রতি কেজি শিম ৭৫-৮০ টাকা এবং টমেটো ৪০-৪৫ টাকা কেজি দরে পাইকারি বিক্রি হয়েছে।
শার্শার ডিহি ইউনিয়নের কাশিপুর গ্রামের শিম চাষি রহমান মিয়া জানান, প্রতি বিঘা শিম চাষে খরচ দাঁড়ায় প্রায় লাখ টাকা, টমেটোর বিঘা প্রতি খরচ একটু বেশি হলেও বাজারে ভাল দাম থাকায় খরচের দ্বিগুণ লাভ হতে পারে বলে তিনি মনে করেন।
নারানপুর গ্রামের কৃষক আবেদিন জানায়, বারি-৮ জাতের টমেটো চাষ করে গত বছর এক বিঘা জমিতে প্রায় ২ লাখ টাকা লাভ করেন তিনি।

শার্শা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সৌতম কুমার বলেন, যশোর অঞ্চলে চাষিদের মধ্যে গ্রীষ্মকালীন সবজি চাষের আগ্রহ দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। আধুনিক চাষাবাদ পদ্ধতি প্রয়োগ করে নতুন নতুন সবজি উদ্ভাবনে চাষিরা এগিয়ে আসার কারণে প্রতিবছর নতুন নতুন এলাকায় গ্রীষ্মকালীন সবজি চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে একদিকে যেমন চাষিরা লাভবান হচ্ছে অন্যদিকে অসময়ে বাজারে পাওয়া যাচ্ছে নতুন নতুন সবজি। এ বছর শার্শা উপজেলার বেশ কিছু গ্রামে ২৭ একর জমিতে শিম এবং ৩১ একর জমিতে টমেটোর চাষ করা হয়েছে। গত বছর এর পরিমাণ ছিল কম।

আশা করছি আগামী বছর অধিক পরিমাণ জমিতে গ্রীষ্মকালীন সবজি চাষে চাষিরা আগ্রহী হয়ে উঠবেন।
প্রেরক
মিলন হোসেন বেনাপোল
তারিখ ২৩/০৮ /২১
মোবাইল ০১৭১২২১৭১৪৩

ভাল লাগলে শেয়ার করুন
  • শেয়ার করুন