২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার,সকাল ৯:৫৪

শার্শা লক্ষনপুর সরকারী খাস জমি ব্যক্তি মালিকানায় খতিয়ান ভুক্ত করে দাখিলা প্রদানের অভিযোগ

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৪, ২০২৩

  • শেয়ার করুন

মিলন হোসেন বেনাপোল,
সরকারী খাস জমি ব্যক্তি মালিকানায় খতিয়ান ভুক্ত করে দাখিলা প্রদানের অভিযোগ উঠেছে ভূমি অফিসের উপ-সহকারী কর্মকর্তা খায়রুজ্জামানের  বিরুদ্ধে।ঘটনাটি যশোর জেলার শার্শা উপজেলার লক্ষনপুর ইউনিয়নে।
এমন অনিয়ম ও দুর্নীতির কর্মকান্ডে এ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যশোর জেলা প্রশাসকের নিকট লিখিত অভিযোগ করেছেন লক্ষণপুর ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ারা খাতুন।
অভিযোগে জানা যায় শার্শার ৫৫ নং হরিনাপোতা মৌজার যাহার এস.এ দাগ নং ৪৭৪ আর এস খতিয়ান ৭৭, দাগ নং ২১৩ জমির পরিমান ৩০ শতক। যা সরকারের খাস খতিয়ান ভুক্ত সম্পত্তি। জমিদারী এ সম্পত্তিটি সরকার মিস কেস  যাহার নং-২১/এক্স ১১১/৮৮-৮৯, পি.ও ৯৮/৭২ ধারা সরকারী-১ খতিয়ান ভুক্ত হয়। কিন্তু সরকারী এ সম্পত্তিটির  কাগজ পত্র জাল জালিয়াতীর মাধ্যমে এ উপ-সহকারী ভুমি কর্মকর্তা খায়রুজ্জামান সুকৌশলে  আবু তাহের ওরফে আবু তালেব নামে একজন মৃত্যু ব্যক্তির(মৃত্যু তাং২/৬/২০১৭ইং) নামে খতিয়ান ভুক্ত করেন এবং গত ১৯/১০/২১ইং  তারিখ একটি খাজনার দাখিলা প্রদান করেন। যার দাখিলার ক্রমিক নং ৪১৯০২১০০০৩৬৯।  সরকারী এ সম্পত্তিটি শ্রেনী ভুক্তে বাস্তব  হলেও  দাখিলায় দেখানো হয়েছে কৃষি। এ দিকে  দাখিলা পাওয়ার পর আবু তাহের ওরফে আবু তালেব এর ওয়ারেশ সাহেব আলী দাখিলা সুত্রে পাওয়া এ সম্পত্তি গত ২৬/১০/২১ইং  তারিখে  একই  গ্রামের হাবিবুল্লাহ্র ছেলে  আব্দুর রাজ্জাকের নিকট কবলা দলিলের মাধ্যমে সরকারী এ জমিটি ৩০ লাখ টাকায়  বিক্রি করেন। যার দলিল নং- ৮৭৫২ তারিখ ২৬/১০/২০২১ইং এবং দলিলের  টোকেন নং- ৮৭৫৪ তারিখ-২৬/১০/২০২১ ইং । এ দিকে চেয়ারম্যানের আবেদনের  পরিপেক্ষিতে ইতোমধ্যে যশোরের জেলা প্রশাসক সরকারী জমির দাখিলা প্রদানের ব্যাপারে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে।
এ ব্যাপারে অভিযোগকারী শার্শা উপজেলার ২নং লক্ষনপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আনোয়ারা খাতুন বলেন  ইউনিয়ন ভুমি অফিসের উপ-সহকারী কর্মকর্তার খায়রুজ্জামানের বিরুদ্ধে অভিযোগটি সত্য।  তিনি এখানে অনেক অনিয়ম এবং দুর্নীতির সাথে জড়িয়ে পড়েছে। এলাকার জমির মালিকরা তার দ্বারা হয়রানীর শিকার হচ্ছে। তার বিরুদ্ধে সুষ্ঠু তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী আমি এবং আমার এলাবাসীর।
এ ব্যাপারে শার্শা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) ফারজানা ইসলাম বলেন ইউনিয়ন ভুমি অফিসের উপ-সহকারী  কর্মকর্তা খায়রুজ্জামানের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে আসলে ঘটনাটি কি ?
এ ব্যাপারে শার্শা উপজেলা নির্বাহী অফিসার নারায়ন চন্দ্র পাল বলেন অভিযোগের আবেদনটি আমিও পেয়েছি। এ বিষয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য সহকারী কমিশনার (ভুমি)কে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

ভাল লাগলে শেয়ার করুন
  • শেয়ার করুন