২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রবিবার,দুপুর ২:০৫

শার্শা উপজেলায় জমির মালিকদের জিম্মি করে টাকা নিচ্ছে জমি মাপা আমিনরা।

প্রকাশিত: আগস্ট ১, ২০২১

  • শেয়ার করুন

মিলন হোসেন বেনাপোল।
যশোরের শার্শা উপজেলায় জমির মালিকদের জিম্মি করে জোরপূর্বক টাকা আদায় করছে জমি মাপা আমিনরা।অনেকেই অভিযোগ করে বলেন ২/৩ বছর আগে জমি মাপা আমিনরা জমি মাপতে টাকা নিতেন এক থেকে দেড় হাজার টাকা।বর্তমানে তারা নিচ্ছেন ৮/১০ হাজার টাকা।

মাপের আগে তাদের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তারা বলেন ফোনে দিন দেওয়া যাবে না বাড়িতে আসেন। বাড়িতে যাওয়ার পর খাতা কলম নিয়ে একটু নাড়াচাড়া করে বলেন এতো তারিখে যেতে পারবো।এ পর শুরু হয় দর কষাকষি।চাওয়া হয় ১০/১২ হাজার টাকা।শেষে এসে দাড়ায় ৮ হাজার টাকায়।এরা খুব বড় মাপের আমিন বলে প্রচার করে থাকেন। এ জন্য তাদের রেট বেশি।তারা যে জমি মাপতে সময় লাগে দুই ঘন্টা সেখানে টাকা বেশি নেওয়ার কারনে সারাদিন কাটিয়ে দেন বলে জানিয়েছেন ভোক্তভোগীরা।
শার্শা উপজেলা পুটখালী ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামের মেম্বার পদপ্রার্থী আক্তারুজ্জামান আক্তার মোবাইলে বলেন বর্তমানে গরীবদের জন্য জমি মাপা খুব কষ্টকর হয়ে পড়েছে।তারা জোরপূর্বক ভাবে টাকা নিচ্ছে ।অনেকে জমি মাপার আগে আমিনের টাকা জোগাড় করতে না পেরে ছাগল সহ বিভিন্ন জিনিস নষ্ট করে থাকে।
বেনাপোল পৌর ৩ ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন বলেন শার্শা উপজেলায় বর্তমানে যে সমস্ত জমি মাপা আমিন আছে তারা যেন সোনার হরিণ।গরীব মানুষের জন্য জমি মাপা কঠিন হয়ে পড়েছে।অনেকের জমি নিয়ে গেমজাম চলছে কিন্তু আমিনের টাকা জোগাড় করতে না পেরে সে ঝামেলা মিটাতে পারছে না।আমিনদের রেট কমানো উচিত।
শার্শা উপজেলা জমি মাপা আমিন সমিতির সভাপতি মশিয়ার রহমান জানান আমাদের নির্ধারিত কোন রেট বাধা নেই।আমার কাছেও অভিযোগ আসছে কিছু কিছু আমিন অনেক টাকা নিচ্ছে।এ বিষয়ে সবাই কে নিয়ে বসা হবে।

এ ব্যাপারে শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মীর আলিফ রেজা জানান,আমার কাছে কেউ অভিযোগ করেনি।যদি জমির মালিকদের জিম্মি করে টাকা আদায় করে সেটা দুঃখ জনক। খোঁজ খবর নিয়ে বিষয়টি দেখা হবে।

ভাল লাগলে শেয়ার করুন
  • শেয়ার করুন