১৬ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, মঙ্গলবার,সন্ধ্যা ৬:৪৯

শিরোনাম
খুলনায় ঝরে পড়া শিশুদের বিদ্যালয়মুখীকরণ বিষয়ক সচেতনতা সভা করেছে ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ খুলনার লবণচরায় পিওর আর্থ এর সীসা দূষণ সচেতনতা কার্যক্রম অনুষ্ঠিত খুলনা মহানগরীতে ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ’র “ঝরে পড়া শিশুদের বিদ্যালয়মুখীকরণ বিষয়ক সংলাপ” মোংলা বন্দরের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন খুলনায় ‘তওহীদভিত্তিক আধুনিক রাষ্ট্র গঠনে গণমাধ্যম কর্মীদের ভূমিকা’ শীর্ষক গোল টেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত ব্যাংকিং সেক্টরে এস আলমের একচ্ছত্র নিয়োগ বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ স্বতন্ত্র মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠাসহ ৫ দফা দাবিতে খুলনায় সংবাদ সম্মেলন খুলনার তেরখাদায় নৌবাহিনীর অভিযানে অবৈধ কারেন্ট জাল ও চায়না দোয়ারী জাল আটক খুলনা মহানগরীর ১ ও ২৫নং ওয়ার্ডকে শিশুশ্রমমুক্ত ঘোষণা

যশোরের শার্শায় মেয়েকে বিষ খাইয়ে মায়ের আত্মহত্যা

প্রকাশিত: আগস্ট ১৭, ২০২১

  • শেয়ার করুন

মিলন হোসেন বেনাপোল : যশোরের শার্শা উপজেলার লক্ষণপুর ইউনিয়নের শুড়ারঘোপ গ্রামে মায়ের সাথে অভিমান করে নিজ মেয়েকে বিষ খাইয়ে মাও আত্মহত্যা করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার (১৭ আগস্ট রাত ৮টার দিকে।
নিহতরা হলেন ওই গ্রামের সিরাজুল ইসলামের মেয়ে সুমি খাতুন (৩০) ও আখি মনি (৬)। এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
প্রতিবেশীরা জানান, ৩ বছর আগে বিবাহ বিচ্ছেদের পর সুমি খাতুন তার শিশু কন্যা আখি মনিকে নিয়ে বাবার বাড়িতে থাকতেন। এ নিয়ে সুমির মায়ের সঙ্গে প্রতিনিয়ত কথা কাটাকাটি হতো। মঙ্গলবার মা তাকে এ নিয়ে বকাঝকা করেন। এরপর তার ও মায়ের মধ্যে কলহের সৃষ্টি হয়। পারিবারিক কলহ ও মায়ের ওপর অভিমান থেকে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে বলে ধারনা প্রতিবেশীদের।
এ বিষয়ে লক্ষণপুর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মোমিনুল হোসেন জানান, মেয়েটার বিয়ের পর সংসারে ঝামেলার কারণে বিচ্ছেদ হয়। তারপর থেকে সুমি খাতুন মেয়েকে নিয়ে বাবার বাড়িতে থাকতেন। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মায়ের সাথে পারিবারিক বিষয়ে তার কথা কাটাকাটি হয়। এরপর রাত ৮ টার দিকে বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে সুমি খাতুন প্রথমে মেয়েকে বিষপান করান। এরপর নিজেও বিষপান করেন। খবর পেয়ে তার পরিবার ও এলাকার লোকজন তাদের উদ্ধার করে প্রথমে শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখান থেকে তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক আখি মনি (৬) কে মৃত ঘোষণা করেন এবং মা সুমি খাতুনকে ভর্তি করেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ৯টার দিকে সুমি খাতুন মারা যান। মরদেহ দুটি যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে আছে বলে তিনি জানান।
এ ব্যাপারে শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বদরুল আলম খান জানান, বিষয়টি শুনেছি সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছে ।

ভাল লাগলে শেয়ার করুন
  • শেয়ার করুন