২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রবিবার,সকাল ৬:৩৬

যশোরে বাসের ধাক্কায় প্রাণ গেল মোটরসাইকেল আরোহী তিন কলেজছাত্রের

প্রকাশিত: অক্টোবর ৮, ২০২২

  • শেয়ার করুন

যশোর-বেনাপোল মহাসড়কের নতুনহাট এলাকায় বাসের ধাক্কায় তিন কলেজ শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহদেতর মরদেহ উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।

নিহতরা হলো: যশোর সদর উপজেলার এড়েন্দা গ্রামের সাইফুল ইসলামের ছেলে আসিফ ( ১৯), দুর্গাপুর গ্রামের নাজির আলীর ছেলে আরমান (১৯) ও আলমগীর হোসেনের ছেলে সালমান (১৯)। তারা সদর উপজেলার নতুনহাট পাবলিক কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র।

নিহত সালমানের বাবা আলমগীর হোসেন বলেন, এক মোটরসাইকেলে তিন সহপাঠী ঝিকরগাছা থেকে ফিরছিলেন। পথিমধ্যে শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে যশোর-বেনাপোল মহাসড়কের নতুনহাট স্টোন ইট ভাটাএলাকায় পৌঁছলে বিপরীত দিক থেকে আসা দূরপাল্লার বাসের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে ঘটনাস্থলে আরমান ও আসিফ মারা যান। সালমানকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে আনার পর তার মৃত্যু হয়।

তিনি বলেন, আমার ছেলেকে আমি মোটরসাইকেল দেই না। ও বন্ধুদের সাথে গিয়ে আজকে কী পরিণতি হলো। আমার আর কেউ থাকলো না। ওদের জন্য ১০ বছর বিদেশে থেকেছি। আমার ছেলেটার পুলিশে চাকরি হওয়ার কথা ছিলো। রাজনৈতিক কারণে চাকরি হলো না। আজকে চাকরিটা হলে আমার সন্তানটা বন্ধুদের সাথে আড্ডাবাজি করতো না, ও বেঁচে থাকতো।

নিহত আরমানের ভাই শিমুল হোসেন জানান, ওরা বন্ধুর ৫জন দুটি মোটরসাইকেল নিয়ে ঝিকরগাছা থেকে বাড়ি ফিরছিলো। পথিমধ্যে নতুনহাটে বাসের ধাক্কায় তারা ছিটকে পড়ে। এতে আমার ভাই আরমানসহ দুইজন ঘটনাস্থলে মারা যায়। আরেকজন হাসপাতালে আসলে মারা যায়। ওদের বাকী দুই বন্ধুকে এখনো খুঁজে পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে যশোর কোতয়ালি থানার ওসি (তদন্ত) মনিরুজ্জামান বলেন, মোটরসাইকেল আরোহী তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে একজনকে হাইওয়ে পুলিশ ঝিকরগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সে মারা যায়। একজন ঘটনাস্থলে মারা গেছে। অপর একজনকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে আনলে সেও মারা যায়। তবে কিসের সঙ্গে দুর্ঘটনা ঘটেছে, সেটি নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

অন্যদিকে খবর পেয়ে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ছুটে আসেন যশোর সদর উপজেলার দেয়াড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আনিসুর রহমান। তিনি জানান, টিনেজার ছেলেরা দ্রুত গতিতে মোটরসাইকেল চালায়। এ গতির কারণে আজকে তিন কলেজ ছাত্রের প্রাণ গেলো। আমাদের অভিভাবকদের আরো সচেতন হতে হবে। অল্প বয়সী সন্তানদের চাওয়া মাত্র মোটরসাইকেল কিনে দেয়া উচিৎ নয়। এবং তারা বন্ধুদের সাথে কি করে বেড়াচ্ছে তা নজরে রাখতে হবে। বিশেষ করে দ্রুতগতিতে মোটরসাইকেল চালানো বিষয়ে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। তাহলে আর অকালে সড়কে প্রাণ ঝরবে না বলে জানান তিনি।

ভাল লাগলে শেয়ার করুন
  • শেয়ার করুন