২৬শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার,সকাল ৯:১৭

ভোমরা ইউনিয়নের চৌবাড়িয়া গ্রামে গৃহবধু ধর্ষনচেষ্টার অভিযোগে সদর থানায় মামলা

প্রকাশিত: নভেম্বর ৮, ২০২১

  • শেয়ার করুন

এম. জিয়াউল ইসলাম জিয়া, ভোমরা (সাতক্ষীরা) ঃ

সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ৬ নং ভোমরা ইউনিয়নের চৌবাড়িয়া-তেঘরিয়া গ্রামে এক গৃহবধুকে ধর্ষন চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর ২০২১) দুপুরে পাশ্ববর্তী হানা নামক মাঠে এ ঘটনা ঘটে। ধর্ষন চেষ্টার শিকার হতে যাওয়া আয়েশা খাতুন শাপলা বাদী হয়ে একই এলাকার বর্তমান মেম্বর প্রার্থী আব্দুস সাত্তার সরদারের পুত্র রিয়াজুল ইসলাম (৩০) কে ধর্ষনচেষ্টার অভিযোগে সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করে। এ ব্যাপারে ধর্ষনচেষ্টার শিকার আয়েশা খাতুন শাপলা গণমাধ্যম কর্মীদের জানান, গত বৃহস্পতিবার দুপুরে তাদের বসত বাড়ির পাশ্ববর্তী হানার মাঠে বাড়ির গৃহপালিত হাঁসের খাদ্যের জন্য শামুক তুলতে যায়। এসময় আয়েশার সঙ্গে ছিল তার পরিবারের ছোট ছোট বাচ্চারা। কিন্তু মাঠে ওই সময় ধানের আঁটি বাঁধছিল ধর্ষনচেষ্টাকারী রিয়াজুল। সে তার যৌন লালসা চরিতার্থ করার লক্ষ্যে কৌশলে ছোট ছোট বাচ্চাদের সাপের ভয় দেখিয়ে সেখান থেকে বের করে দেয়। বাচ্চারা ভয়ে পালিয়ে যাওয়ার পর রিয়াজুল গৃহবধু আয়শা খাতুন শাপলাকে জোরপূর্বক ধর্ষন করার চেষ্টা করে। ধর্ষন চেষ্টাকালে আয়শা চিৎকার করলে এলাকার লোকজন ঘটনাস্থলে চলে আসার আগেই ধর্ষক রিয়াজুল পালিয়ে যায়। ধর্ষন চেষ্টার শিকার হতে যাওয়া আয়শা খাতুন শাপলা তাৎক্ষনিক বাড়িতে ফিরে এসে তার স্বামী জাহিদ হোসেনসহ পরিবারের সকলকে ঘটনাটি জানান। এলাকার প্রতিবেশি ও নিজ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে পরামর্শ করে ওই দিন বিকালে আয়েশা খাতুন শাপলা বাদী হয়ে সাতক্ষীরা সদর থানায় ধর্ষন চেষ্টাকারী রিয়াজুল ইসলামের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। এদিকে প্রতিবেশি রহিমা খাতুন জানান, রিয়াজুলের বিরুদ্ধে একাধিক নারী নির্যাতন ও ধর্ষনের অভিযোগ রয়েছে। সে এলাকায় ধর্ষন নিপীড়ন ও নারী নির্যাতন চালালেও তার বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না। রহিমা খাতুন আরো জানান, ধর্ষক রিয়াজুলের অত্যাচারের ভয়ে এলাকার গৃহবধু, স্কুল-কলেজ পড়–য়া শিক্ষার্থী ও মধ্যবয়সী নারীরা রাতে ঘরের বাইরে আসতে পারে না। সে নিজেই রিয়াজুলের যৌন লালসার শিকার হয়েছিল। এছাড়া প্রতিবেশি রুহুল আমিন সরদারের ছেলে আবু রায়হান সরদার ধর্ষক রিয়াজুলের ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে জানান, রিয়াজুল একজন মাদকসেবী, চোর, সন্ত্রাসী ও নারীলোভী। এলাকার প্রায় প্রতিটি বাড়িতে রিয়াজুলের যৌনাচারের অভিযোগ রয়েছে। তার পিতা দীর্ঘদিন ইউপি মেম্বর হওয়ায় অসামাজিক কর্মকান্ড করলেও তার বিরুদ্ধে কেউ কথা বলতে সাহস পায় না। এলাকাবাসী জানান, পুলিশি গ্রেফতার এড়াতে রিয়াজুল বাড়ি ছেড়ে পলাতক রয়েছে, চরিত্রহীন-লম্পট রিয়াজুলকে অতি শ্রীঘ্রই গ্রেফতারের মাধ্যমে আইনের আওতায় এনে কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক। এ ব্যাপারে ভোমরা ইউনিয়নের দায়িত্বে নিয়োজিত বিট অফিসার এসআই মানিক সাহা জানান, বৃহস্পতিবার চৌবাড়িয়া গ্রামের আয়েশা খাতুন শাপলা বাদী হয়ে রিয়াজুল ইসলামের বিরুদ্ধে ধর্ষনচেষ্টার অভিযোগ এনে একটি মামলা দায়ের করেছে। ধর্ষনচেষ্টা মামলার অভিযোগে রিয়াজুল ইসলামকে গ্রেফতার করতে অভিযান অব্যাহত আছে। অভিযুক্ত রিয়াজুল বর্তমানে পলাতক রয়েছে। তবে খুব শ্রীঘ্রই তাকে পুলিশের হাতে ধরা পড়তেই হবে।

 

 

 

 

ভাল লাগলে শেয়ার করুন
  • শেয়ার করুন