২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, সোমবার,রাত ১১:২১

বেতবুনিয়ায় নির্মাণ করা হচ্ছে আবাসন রক্ষা বাঁধ; আড়াই’শ পরিবারের মাঝে স্বস্তি

প্রকাশিত: আগস্ট ৬, ২০২৩

  • শেয়ার করুন

পাইকগাছা প্রতিনিধি : খুলনার পাইকগাছার সোলাদানা ইউনিয়নের বেতবুনিয়া ও পতন আবাসনের বাসিন্দাদের জন্য জরুরী ভিত্তিতে নির্মাণ করা হচ্ছে টেকসই মাটির রাস্তা বা আবাসন রক্ষা বাঁধ। ইতোমধ্যে মাটির রাস্তার কাজ প্রায় শতভাগ শেষ হয়েছে। দ্রুতগতিতে চলছে স্লোভ রক্ষা করার জন্য জিও ব্যাগ স্থাপন কাজ। প্রতিদিন নিয়োমিত কাজ তদারকি করছেন সোলাদানা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান গাজী। নির্মাণ কাজ শেষ হলে জলাবদ্ধতা সহ প্লাবিত হওয়ার হাত থেকে রক্ষা পাবে দুটি আবাসনের ২২০ পরিবার।

উল্লেখ্য, উপজেলার সোলাদানা ইউনিয়নের বেতবুনিয়ায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের ২৩নং পোল্ডার অভ্যন্তরে শিবসা নদীর ধারে সরকারিভাবে দুটি আবাসন নির্মাণ করা হয়েছে। যার একটি বেতবুনিয়া এবং অপরটি হচ্ছে পতন গুচ্ছগ্রাম। এ দুটি আবাসনে ২২০ পরিবার বসবাস করে আসছে। কিন্তু সুন্দরবন সংলগ্ন শিবসা নদীর ধারে আবাসন দুটি নির্মিত হওয়ায় প্রতিনিয়ত এখানকার বাসিন্দাদের প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা করতে হয়। আবাসন রক্ষা কোন বাঁধ না থাকায় জোয়ার আসলেই শিবসা নদীর পানি ঢুকে পড়ে আবাসনের ভিতরে। আবার বড় ধরণের কোন দুর্যোগ হলেই ঘর-বাড়ি তলিয়ে যায়।

এভাবেই চরম দুর্ভোগের মধ্যে দীর্ঘদিন বসবাস করে আসছে এ দুটি আবাসনের বাসিন্দারা। অবশেষে স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ¦ আক্তারুজ্জামান বাবু’র দিকনির্দেশনায় এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসার মমতাজ বেগম এর সার্বিক সহযোগিতায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান গাজী আবাসনের বাসিন্দাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে নির্মাণ করছেন আবাসন রক্ষা বাঁধ। ইতোমধ্যে আবাসনের দক্ষিণ পাশে বেতবুনিয়া পিচের রাস্তা থেকে পতন আবাসন পর্যন্ত নতুন মাটির রাস্তা নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ হয়েছে। দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে আবাসনের পূর্বপাশে শিবসা নদীর ধারে স্লোভ রক্ষার জন্য জিও ব্যাগ স্থাপন কাজ। এ কাজের ফলে আবাসনের বাসিন্দাদের মধ্যে এক ধরণের স্বস্তি ফিরে এসেছে। আবাসনের বাসিন্দা শাহিদা বেগম জানান, আবাসন দুটি নদীর ধারে হওয়ায় চরম ঝুঁকির মধ্যে বসবাস করতে হয়।

রুমা বেগম বলেন, আমরা দীর্ঘদিন চরম দুর্ভোগের মধ্যে জীবন যাপন করে আসছি। এটি নির্মাণ করার ফলে একদিকে যেমন নদীর পানি সহজেই ভিতরে প্রবেশ করতে পারবে না, অন্যদিকে নির্মিত রাস্তা দিয়ে আমরা খুব সহজেই যাতায়াত করতে পারবো। আবাসনের সভাপতি রেজাউল ও আবুল গাজী জানান, আবাসন রক্ষা বাঁধ না থাকায় নদীর পানি বৃদ্ধি পেলেই আমাদের আবাসন দুটি তলিয়ে যায়। পরিবার পরিজন নিয়ে আমরা দীর্ঘদিন মানবেতর জীবন যাপন করে আসছি।

বাঁধ নির্মাণ করার ফলে পরিবার পরিজন নিয়ে আমরা সবাই সুন্দর জীবন যাপন করতে পারবো।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী রোমিত হোসেন মনি জানান, জরুরী ভিত্তিতে কর্মসূচির আওতায় দুটি আবাসনের জন্য ৪শ মিটার নতুন মাটির রাস্তা ও স্লোভ প্রতিরক্ষার জন্য ২ হাজার ৮শ জিও ব্যাগ স্থাপন করা হচ্ছে। ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান গাজী জানান, দুটি আবাসনের প্রায় আড়াই’শ পরিবার দীর্ঘদিন মানবেতর জীবন যাপন করে আসছিল। দুর্যোগ হলেই প্রথমেই আক্রান্ত হয় আবাসনের বাসিন্দারা।

মানবিক দিক চিন্তা করে স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ¦ আক্তারুজ্জামান বাবু ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মমতাজ বেগম এর সার্বিক সহযোগিতায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে আবাসনের বাসিন্দাদের সুরক্ষার জন্য নতুন মাটির রাস্তা নির্মাণ করা হচ্ছে। এখন থেকে খুব সহজেই আর আবাসনের ঘর-বাড়ি তলিয়ে যাবে না। এছাড়া রাস্তা দিয়ে আবাসনের বাসিন্দারা সুন্দরভাবে যাতায়াত করতে পারবে।

 

ভাল লাগলে শেয়ার করুন
  • শেয়ার করুন