২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার,সকাল ৭:৫৮

বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় মঞ্জুসহ ৩১ জন খালাস

প্রকাশিত: আগস্ট ১৩, ২০২৪

  • শেয়ার করুন

তথ্য প্রতিবেদক : খুলনা সদর থানা পুলিশের দায়ের করা বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন খুলনা মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি ও খুলনা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম মঞ্জুসহ বিএনপির ৩১ জন নেতাকর্মী।
মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) দুপুরে জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. জুয়েল রানা এ আদেশ প্রদান করেছেন।
আসামিদের পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট এস এম মনজুর আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
খালাসপ্রাপ্ত অন্যরা হলেন, মো. খলিলুর রহমান সরকার, এম এ হাসনাত মিঠু, জিএম মঈনউদ্দিন, মো. নাসির উদ্দিন, মো. রিপন ফরাজী, মো. শাহ আলম, মো. আমিন শেখ, মো. শুকুর আলী, মো. মাসুদ শেখ, মো. জামাল হাওলাদার, মো. মিরাজ হাওলাদার, মো. আজিজুল করিম, মোহাম্মদ আলী, মো. আবুল হায়াত ওরফে শুভ হক, মো. মুজিবর রহমান, মো. হাবিবুর রহমান, মো. হেলাল শেখ, মো. কামরান হাচান, মো. মাসুদ খান ওরফে বাদল, মো. মতিয়ার রহমান ওরফে বুলেট, মো. সেলিম খান, মো. ইসতিয়াক আহমেদ ইসতি, মো. মেজবাহ উদ্দিন মিজু, মো. ইসমাইল হোসেন, মো. কামাল হোসেন, মো. আরিফ হোসেন মল্লিক, মো. মাহমুদুর রহমান, মো. বাবুল হাওলাদার, শাহ নেওয়াজ জাহাঙ্গীর ও মো. ডালিম গাজী ওরফে সাদি।
রায় ঘোষণাকালে আরিফ হোসেন মল্লিক ও শাহ নেওয়াজ জাহাঙ্গীর বাদে সবাই আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।
আদালতের উচ্চমান বেঞ্চ সহকারী মো. ছায়েদুল হক শাহিন নথির বরাত দিয়ে জানান, ২০১৮ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ১২টার দিকে নগরীর স্যার ইকবাল রোডের হোটেল জেলিকো থেকে খুলনা থানা পুলিশ ঢাকা থেকে আসা মো. খলিলুর রহমান সরকার ও এম এ হাসনাত মিঠুকে আটক করে নিয়ে যায়। পরে এসআই টিপু সুলতান বাদী হয়ে খলিলুর রহমান ও হাসনাত মিঠুসহ অজ্ঞাত ৩০/৩৫ জনের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়ের করেন, যার নং-৩২। ২০১৯ সালের ৩১ জুলাই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই গোপীনাথ সরকার আদালতে নজরুল ইসলাম মঞ্জুসহ ৩১ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন।
মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, গত ১৫/১৬ বছর যাবত স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকার বিএনপিসহ বিরোধীদের গায়েবি মামলা, ষড়যন্ত্রমূলক মামলা, মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা দিয়ে নির্যাতন করে আসছিল। দলের লাখ লাখ নেতাকর্মী ফ্যাসিবাদ সরকারের মামলা-নির্যাতন সহ্য করে রাজপথ ছাড়েনি। গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ায় দেশের জনগণ মুক্তি পেয়েছে। আজকের এই রায় প্রমাণ করে, হামলা-মামলা ও জুলুম-নির্যাতন করে ক্ষমতায় টিকে থাকা যায় না।
আসামিদের পক্ষে মামলার শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট এস এম মনজুর আহমেদ, অ্যাডভোকেট জিল্লুর রহমান খান, অ্যাডভোকেট এস এম মুজিবর রহসান খান, অ্যাডভোকেট মোল্লা গোলাম মওলা, অ্যাডভোকেট এবিএম ওমর আলী, অ্যাডভোকেট মো. রফিকুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট মো. কামাল হোসেন, অ্যাডভোকেট মো. ওমর ফারুক বনি, অ্যাডভোকেট সরফরাজ হোসেন হিরো ও মো. সিরাজুল মুনিরসহ আরও আইনজীবী।

ভাল লাগলে শেয়ার করুন
  • শেয়ার করুন