২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, সোমবার,বিকাল ৫:২৭

বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের কুশীলবদের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে হবে-বুলবুল

প্রকাশিত: আগস্ট ১৩, ২০২৩

  • শেয়ার করুন

তথ্য প্রতিবেদক : আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সাংবাদিক ও বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি মনঞ্জুরুল আহসান বুলবুল বলেছে,জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যাকান্ডের নেপথ্যের কুশীলবদের ইতিহাসের কাঠগড়ায় দাড় করাতে হবে। নতুন প্রজন্মের জানার অধিকার রয়েছে বঙ্গবন্ধু হত্যার নেপথ্যে করা ছিলো। সাংবাদিকদের দায় রয়েছে ইতিহাসের এই কালোঅধ্যায়ের উন্মোচন করা। জাতীয় শোক দিবস উপরক্ষে খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়ন (কেইউজে) আয়োজিত ‘শোধ করো ঋণ অনন্ত ক্রন্দনে’ শীর্ষক সেমিনারে মুখ্য আলোচকের বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।

আজ ১৩ আগস্ট রবিবার প্রেসক্লাবের হুমায়ূন কবির বালু মিলনায়তনে এই সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের নেপথ্যের কশীলবদের অনেকেই মারা গেছেন। তবে ইতিহাসের দায় তাদের নিতে হবে। খন্দকার মোস্তাক বঙ্গবন্ধু হত্যার ষড়যন্ত্রকারী আর মেজর জিয়া পরিকল্পনাকারী। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর সেই রক্তাক্ত পিচ্ছিল পথ ধরে জিয়া ক্ষমতায় আসে।

সাংবাদিক নেতা মনঞ্জুরুল আহসান বুলবুল আরো বলেন, শেখ মুজিব। শেখ সাহেব। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, বিশ্বনন্দিত রাজনীতিক, ইতিহাসের কালজয়ী মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি আমাদের জাতির পিতা, আমাদের মুক্তির অগ্রদূত। হিমালয়সম ঋজুতা, দৃঢ়তা ও সহিষ্ণুতার মূর্তপ্রতীক ছিলেন বঙ্গবন্ধু। ৫৫ বছরের নাতিদীর্ঘ জীবনে ৪৬৮২ দিন কারাগারে কাটাতে হয়েছে বঙ্গবন্ধুকে।

কেইউজে সভাপতি ফারুক আহমেদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান রিয়াজের পরিচারনায় সেমিনারে মান্যবর অতিথির বক্তৃতা করেন সাবেক ছাত্রনেতা ও খুলনা জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ্যাড: সাইফুল ইসলাম।
সেমিনারে বক্তারা বলেন,বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অমর, অবিনাশী যুগ থেকে যুগান্তরে। কীর্তিমানের কখনো মৃত্যু হয় না। সেই কীর্তিমান পুরুষ যখন তার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণের সাধনায় নিমগ্ন, ঠিক তখনই তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের বীজবপন শুরু হয়। এ ধারাবাহিকতায় ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বিশ্ববাসী সাক্ষী হয় ইতিহাসের নিকৃষ্টতম কালো অধ্যায়ের। সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করা হয় বাঙালি জাতির শ্রেষ্ঠসন্তান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে।

অনুষ্ঠানে মান্যবর অতিথির বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব দীপ আজাদ, খুলনা প্রেসক্লাবের সভাপতি এসএম নজরুল ইসলাম, খুলনা স্বাধীনতা সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন মিন্টু, খুলনা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মামুন রেজা, খুলনা সংবাদপত্র পরিষদের সভাপতি মোহাম্মদ আলী সনি।
বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও সুন্দরবন একাডেমি নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক আনোয়ারুল কাদির এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন ও উপস্থিত ছিলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন ডি কে হালদার, সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি শেখ আবু হাসান,এসএম জাহিদ হোসেন, মো: সাহেব আলী,মুন্সি মাহাবুব আলম সোহাগ,মল্লিক সুধাংশু, অমিয় কান্তি পাল,মোজাহেম্মেল হক হাওলাদার,বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের নির্বাহী সদস্য হুমায়ূন কবির, কেইউজের নির্বাহী পরিষদের সহ-সভাপতি জাহিদুল ইসলাম, আলমগীর হান্নান, যুগ্ম সম্পাদক নেয়ামুল হোসেন কচি, কোষাধ্যক্ষ দিলীপ বর্মন, দপ্তর সম্পাদক শেখ আব্দুল হামিদ, প্রচার ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক এসএম মনিরুজ্জামান, নির্বাহী সদস্য আনোয়ারুল ইসলাম কাজল, মিলন হোসেন ও জাহিদুল ইসলামসহ সিনিয়র সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৫ আগস্টের শহীদদের স্মরণে দাড়িয়ে এক মিনিট নিরাবতা পালন করা হয়। এর পর জাতির পিতার জীবনভিত্তিক সংক্ষিপ্ত প্রকাশনার উন্মোচন ও প্রমান্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়।

ভাল লাগলে শেয়ার করুন
  • শেয়ার করুন