২৫শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বুধবার,রাত ৮:১১

পাইকগাছার ইউএনও’র হস্তক্ষেপে বাল্যবিবাহ থেকে রক্ষা পেল স্কুল ছাত্রী

প্রকাশিত: অক্টোবর ৪, ২০২০

  • শেয়ার করুন

এ কে আজাদ, পাইকগাছাঃ পাইকগাছা উপজেলার কপিলমুনি ইউনিয়নের কাশিমনগর গ্রামে বাল্য বিবাহ থেকে রক্ষা পেল স্কুল ছাত্রী।
শুক্রবার বিকালে উপজেলার কপিলমুনি ইউনিয়নের কাশিমনগর গ্রামে এ বাল্যবিবাহ বন্ধ করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দিকী।

প্রাপ্ত তথ্যসূত্রে জানা গেছে, উপজেলার কপিলমুনি ইউনিয়ানের কাশিমনগর গ্রাম নিবাসী জনৈক ব্যক্তির নবম শ্রেণীর স্কূল পড়ুয়া ছাত্রী ১৪/১৫ বছর এর সঙ্গে সাতক্ষীরা জেলার তালা’র প্রবাসী ছেলের বিবাহের দিন ধার্য করা হয়।

এমতাবস্থায় পাইকগাছা ইউএনও গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এ বিবাহের কথা জানতে পেরে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে গিয়ে এ বিবাহ বন্ধ করে দেন। মেয়েটির অভিভাবক তাঁর জন্ম সনদ বা জাতীয় পারিচয় পত্র কোনটাই দেখাতে না পারায় অপ্রাপ্ত বয়স্ক প্রমানিত হয়। তাদেরকে মৌখিকভাবে সর্তক করা হয়েছে। এসময়ে বাল্যবিবাহের কু-ফল সম্পর্কে কনের মা, বাবাসহ স্বজনদের বোঝালে প্রাপ্ত বয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত মেয়ের বিবাহ দেবে না বলে প্রতিশ্রুতি দেন। এসময়ে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ইউপি চেয়ারম্যান কওসার আলী জোয়াদ্দার, কপিলমুনি পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ, এস আই এনামুল ও শফিকুল ইসলাম, কপিলমুনি প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক গাজী আব্দুর রাজ্জাক রাজু সহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দিকী জানান, পাইকগাছাতে শতভাগ বাল্যবিবাহ মুক্ত করার লক্ষে কাজ করছে উপজেলা প্রশাসন।

তিনি জানান, আমাদের দেশে বাল্যবিবাহ সামাজিক ব্যাধিতে পরিণত হয়েছে। বেশী বেশী জনসচেতনা তৈরিতে আমরা এর থেকে মুক্তি পেতে পারি। তিনি সবার উদ্দেশ্য সর্তক বার্তা দেন- এফিডেভিট এর মাধ্যমে কথিত বিবাহ আইনত এবং শরীয়ত মোতাবেক অবৈধ।

তিনি আরও বলেন, বাল্য বিবাহের সংবাদ পাওয়া মাত্রই কঠোর আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এর পূর্বে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রামনগর কাশিমনগর মসজিদে বাদ জুম্মায় করোনা কালীন করণীয়, জঙ্গিবাদ ও বাল্য বিবাহের কুফল এবং এর প্রতিরোধ সম্পর্কে মুসুল্লিদের উদ্যশ্যে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন।

ভাল লাগলে শেয়ার করুন
  • শেয়ার করুন