১৯শে ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার,রাত ২:২৩

শিরোনাম
খুলনায় ঝরে পড়া শিশুদের বিদ্যালয়মুখীকরণ বিষয়ক সচেতনতা সভা করেছে ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ খুলনার লবণচরায় পিওর আর্থ এর সীসা দূষণ সচেতনতা কার্যক্রম অনুষ্ঠিত খুলনা মহানগরীতে ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ’র “ঝরে পড়া শিশুদের বিদ্যালয়মুখীকরণ বিষয়ক সংলাপ” মোংলা বন্দরের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন খুলনায় ‘তওহীদভিত্তিক আধুনিক রাষ্ট্র গঠনে গণমাধ্যম কর্মীদের ভূমিকা’ শীর্ষক গোল টেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত ব্যাংকিং সেক্টরে এস আলমের একচ্ছত্র নিয়োগ বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ স্বতন্ত্র মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠাসহ ৫ দফা দাবিতে খুলনায় সংবাদ সম্মেলন খুলনার তেরখাদায় নৌবাহিনীর অভিযানে অবৈধ কারেন্ট জাল ও চায়না দোয়ারী জাল আটক খুলনা মহানগরীর ১ ও ২৫নং ওয়ার্ডকে শিশুশ্রমমুক্ত ঘোষণা

নির্বাচনী ইশতেহারে নবায়নযোগ্য জ্বালানির অঙ্গীকার দাবি

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৮, ২০২৫

  • শেয়ার করুন

তথ্য প্রতিবেদক : আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশের জ্বালানি খাতে কাঠামোগত সংস্কার ও নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে রূপান্তরের সুনির্দিষ্ট অঙ্গীকার রাজনৈতিক দলগুলোর নির্বাচনী ইশতেহারে অন্তর্ভুক্ত করার আহ্বান জানিয়েছে খুলনার নাগরিক সমাজ।

বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টার সময় খুলনা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে ‘পরিবেশ ও উন্নয়ন ফোরাম, খুলনা’ জ্বালানি খাতে ন্যায্য রূপান্তরের লক্ষ্যে ১৩ দফা দাবিনামা উপস্থাপন করে। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের সদস্য ও বিশিষ্ট সাংবাদিক গৌরাঙ্গ নন্দী।

সম্মেলনে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে পেশ করা দাবির সমূহ হলো-জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবেলায় দ্রুত জাতীয় নবায়নযোগ্য জ্বালানি নীতি প্রণয়ন। কুইক রেন্টালসহ বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে দায়মুক্তি আইন বাতিল করে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতি চালু। ২০৩০ সালের মধ্যে ৩০% এবং ২০৪১ সালের মধ্যে ৪০% নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহারের বাধ্যবাধকতা। কয়লা, গ্যাস ও তেলভিত্তিক নতুন বিদ্যুৎকেন্দ্র ও এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণ বন্ধ। ২০৫০ সালের মধ্যে শতভাগ নবায়নযোগ্য জ্বালানি নিশ্চিত করতে পরিকল্পনা গ্রহণ। পরিবহন খাতে দূষণ কমাতে বৈদ্যুতিক যানবাহনে শুল্ক হ্রাস।জাতীয় গ্রিডকে স্মার্ট গ্রিডে রূপান্তর। কৃষি ও ছাদভিত্তিক সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পে ২৫% ভর্তুকি ও ৭০% সহজ ঋণ। নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে তরুণদের প্রশিক্ষণ ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি।কার্বন ক্যাপচার, গ্রিন হাইড্রোজেন ও বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে বিনিয়োগ।সৌর প্যানেল ও ব্যাটারির রিসাইক্লিং শিল্প গড়ে তোলা। জ্বালানি নীতি প্রণয়নে নারী, আদিবাসী ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা। কৃষকের জমি অধিগ্রহণের পরিবর্তে দীর্ঘমেয়াদি ইজারা পদ্ধতি চালু।

লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি ১.৫ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখার আন্তর্জাতিক অঙ্গীকার (প্যারিস চুক্তি) বাস্তবায়নে জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরতা কমিয়ে নবায়নযোগ্য জ্বালানির দিকে অগ্রসর হওয়া এখন সময়ের অপরিহার্য দাবি।

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে দীর্ঘদিন ধরে দুর্নীতি ও অনিয়ম জেঁকে বসেছে। স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার অভাবের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিদ্যুৎ সংযোগসহ এই খাতের বিভিন্ন কার্যক্রম সাধারণ মানুষের কাছে অস্পষ্ট থেকে যাচ্ছে, যা গণতান্ত্রিক শাসন ও সুশাসনের পরিপন্থী।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সদস্য সৈয়দা রেহেনা ঈসা, এনামুল হক, মোস্তফা জামাল পপলু, রকিবুল ইসলাম মতি, মাহবুব আলম প্রিন্স, সাদিয়া রওশন অধরা।

ভাল লাগলে শেয়ার করুন
  • শেয়ার করুন