প্রকাশিত: নভেম্বর ১৯, ২০২০
চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে রাজধানীর কুর্মিটোলা এলাকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় করা মামলায় একমাত্র আসামি মজনুর যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
একইসঙ্গে আরও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ডাদেশের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (১৯ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক বেগম মোসাম্মৎ কামরুন্নাহার এ রায় ঘোষণা করেন।
রায়ের পর আদালত কক্ষে মজনু মারমুখী আচরণ করেছেন এবং বিচারক, পুলিশ ও সরকারি আইনজীবীসহ সবাইকে গালিগালাজ করেন।
এর আগে, গত ১২ নভেম্বর বিচারক বেগম মোসাম্মৎ কামরুন্নাহার রাষ্ট্র ও আসামি পক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে ১৯ নভেম্বর রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য করেন। বৃহস্পতিবার রায়ের মাধ্যমে ১৩ কার্যদিবসে মামলাটির বিচার কার্যক্রম শেষ হল।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ১৬ মার্চ মজনুর বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। এর আগে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের ফরেন্সিক ইউনিটের প্রধান শেখ নাজমুল আলম জানান, ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী ও অভিযুক্তের ডিএনএ টেস্ট করা হয়েছে। ডিএনএ টেস্টের ফলাফলে মজনুর অপরাধ প্রমাণিত হয়েছে বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, ৫ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৭টার দিকে জোয়ার সাহারা এলাকায় বন্ধুর বাসায় যাওয়ার সময় ভুল করে শেওড়া এলাকায় বাস থেকে নেমে পড়েন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই শিক্ষার্থী। সেখানে তাকে একা পেয়ে ধর্ষণ করে মজনু। ওই ঘটনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় উত্তাল হয়ে ওঠে। বিভিন্ন সংগঠনও নানা কর্মসূচি পালন করে।
ওই দিনই ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর বাবা এই ঘটনায় ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা দায়ের করেন। ৬ জানুয়ারি এই মামলার তদন্তভার ডিবি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। ৮ জানুয়ারি শেওড়া রেলক্রসিং এলাকা থেকে মজনুকে গ্রেফতার করে র্যপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। ১৬ জানুয়ারি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয় মজনু।