২৪শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, মঙ্গলবার,রাত ১০:২৮

ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’ আঘাত হানতে পারে ১৯ জেলায়, ৫ ফুট জলোচ্ছ্বাস!

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৩, ২০২২

  • শেয়ার করুন

বঙ্গোপাসাগরে গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিলে তা উপকূলের ১৯ জেলায় আঘাত হানতে পারে এবং এতে তিন থেকে পাঁচ ফুট পর্যন্ত জলোচ্ছ্বাস হতে পারে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান।

ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’ নিয়ে রোববার (২৩ অক্টোবর) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে জরুরি ব্রিফিংয়ে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান।

এ সময় আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, এটি লঘুচাপ আকারে গত ২০ অক্টোবর সকাল সাড়ে ৯টায় আন্দামান সাগর ও দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হয়েছিল।

সেটি ধীরে ধীরে ২২ অক্টোবর দুপুর ১২টায় সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়। একইদিনে নিম্নচাপ ও রোববার গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়।

‘গভীর নিম্নচাপটি রোববার সন্ধ্যায় ঘূর্ণিঘড়ে রূপান্তরিত হওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। তখন এর নাম হবে সিত্রাং। ’

পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, গভীর নিম্নচাপটি ৮৭ ডিগ্রি দ্রাঘিমাংশ ও ১৭ ডিগ্রি অক্ষাংশ সংযোগস্থলে পৌঁছার পরে এটি উত্তর-পূর্ব দিকে টার্ন নিতে পারে। যদি উত্তর-পূর্ব দিকে টার্ন করে তাহলে এটি কক্সবাজার থেকে সাতক্ষীরা পর্যন্ত ৭৩০ কিলোমিটারজুড়ে উপকূলের ১৯টি জেলাতেই আঘাত হানবে।

ঘূর্ণিঝড়টি আগামী সোমবার (২৪ অক্টোবর) দিনগত রাত থেকে মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার মধ্যে উপকূলীয় অঞ্চলে আঘাত হানার আশঙ্কা রয়েছে।

তবে বর্তমান যে ডিরেকশন আছে, আর দিক যদি পরিবর্তন না করে এবং উত্তর-পশ্চিম দিকে যেতে থাকে তাহলে ভারতের ভুবনেশ্বর ও পশ্চিমবাংলায় আঘাত হানবে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, এটি যেহেতু সুপার সাইক্লোন হবে না, সিভিয়ার সাইক্লোন হবে- এটার গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় ৯০ থেকে ১১০ কিলোমিটার। তবে আকার বড় হলেও এর তীব্রতা কম থাকবে।

তিনি বলেন, গত তিন বছরে যেসব ঘূর্ণিঝড় হয়েছে তার চেয়ে এটার আঘাত হানার এরিয়া অনেক বেশি, ব্যাপক। এবার ৩-৫ ফুটেরও বেশি জলোচ্ছ্বাস হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

উপকূলীয় এলাকায় ইতোমধ্যে ৩ নম্বর দূরবর্তী সতর্কতা সংকেত দেওয়া হয়েছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, নৌযান ও মাছ ধরার ট্রলারগুলোকে উপকূলে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে। তাদের গভীর সমুদ্রে চলাচল করতে নিষেধ করা হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলার প্রস্তুতি জানতে চাইলে তিনি বলেন, যখন লঘুচাপ সুষ্টি হয়েছে তখন থেকেই আমরা কাজ শুরু করেছি। রোববার দুপুরে দুর্যোগ মোকাবিলার জন্য মন্ত্রণালয়ে ও সোমবার দুপুরে আন্তঃমন্ত্রণালয়ে মিটিং ডাকা হয়েছে।

তিনি বলেন, সম্ভাব্য ঝূঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে আগাম প্রস্তুতি গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সব জেলা প্রশাসকের সঙ্গে আমাদের ভার্চ্যুয়াল মিটিং হয়েছে। জেলা প্রশাসকরা জেলা ও ওয়ার্ড পর্যায়ে দুর্যোগ প্রস্তুতি কমিটির সঙ্গে মিটিং করেছেন। সিপিপিকে প্রস্তুতি গ্রহণ ও সতর্কবার্তা প্রচারের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তারা মাইকিং করছে।

জেলা পর্যায়ে আশ্রয়কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত রাখতে বলা হয়েছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সেগুলো প্রস্তুত করা হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রে থাকাকালীন মানবিক সহায়তা দেওয়ার জন্য প্রত্যেক জেলায় এক হাজার প্যাকেট করে শুকনো খাবার, ২৫ মেট্রিকটন চাল, ৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। শুকনো খাবারের মধ্যে ড্রাই কেক ও বিস্কুট মজুদ আছে।

ভাল লাগলে শেয়ার করুন
  • শেয়ার করুন