২২শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রবিবার,বিকাল ৫:৩৩

খুলনায় প্রধানমন্ত্রীর জনসভা : গড়ে তোলা হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা

প্রকাশিত: নভেম্বর ১২, ২০২৩

  • শেয়ার করুন

তথ্য প্রতিবেদক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীকাল সোমবার (১৩ নভেম্বর) খুলনায় আসছেন। ওই দিন দুপুর ৩ টায় খুলনা সার্কিট হাউজ মাঠে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির ভাষণ দেবেন তিনি। দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের আগে তার এই সফরকে অনেকেই নির্বাচনী জনসভা হিসেবে গণ্য করছেন।


প্রধানমন্ত্রীর সফরকে কেন্দ্র করে খুলনা সার্কিট হাউজ মাঠকে ঘিরে ফেলা হয়েছে নিরাপত্তার চাদরে। পদ্মাসেতুর নিচ দিয়ে চলমান নৌকার আদলে ইতিমধ্যে তৈরী সম্পন্ন হয়েছে মঞ্চ। মঞ্চের সামনে সার্কিট হাউজ মাঠের মূল অংশকে কয়েকভাগে ভাগ করে দেয়া হয়েছে। যা এর আগে কোন জনসভাতেই দেখা দেয়া যায়নি। মাঠে প্রবেশের পথগুলোতেও নেয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। বসানো হয়েছে সিসি টিভি ক্যামেরা। যা দিয়ে পুরো জনসভাস্থল মনিটরিং করার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
২০১৮ সালের পর এটাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার খুলনায় জনসভা।
প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে রূপসা পাড়ের খুলনার প্রবেশ পথসহ প্রধান প্রধান সড়কে তৈরি করা হয়েছে অসংখ্য তোরণ। বড়-ছোট সকল রাস্তাতেই শোভা পাচ্ছে প্যানা, ব্যানার ও ফেস্টুন। একাধিক ভ্রাম্যমান মাইকে প্রচার করা হচ্ছে আওয়ামীলীগ সরকারের উন্নয়নের গান।
প্রধানমন্ত্রীর এই জনসভা যেনো নগরবাসী দূর থেকেও দেখতে পায় সে জন্য ডাকবাংলো, বাংলাদেশ ব্যাংকের মোড়সহ একাধিক স্থানে বসানো হয়েছে সাউন্ড সিস্টেমসহ প্রজেক্টর।
খুলনা সার্কিট হাউজ মাঠের এই জনসভা থেকেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খুলনার ২২টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন এবং ২টি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন। সঙ্গে নতুন প্রতিশ্রুতির ঘোষণাও দিতে পারেন তিনি বলে জানিয়েছেন দলীয় শীর্ষ নেতারা।
রূপসা-তেরখাদা-দিঘলিয়া উপজেলার সমন্বয়ে গঠিত খুলনা-৪ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী মহানগর যুবলীগের সভাপতি সফিকুর রহমান পলাশ বলেন, খুলনার উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খুবই আন্তরিক। তিনি খুলনাবাসীকে রেলসেতুসহ দিয়েছেন অসংখ্য প্রকল্প। এতে এই অঞ্চলের মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে। তাই প্রধানমন্ত্রীর আগমণ ঘিরে সমগ্র খুলনা জুড়ে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।
খুলনা মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ্এই জনসভায় দশ লাগের বেশী জনসমাগম ঘটানোর টার্গেট নেয়া হয়েছে। বিভাগের দশ জেলাসহ বিভিন্ন জেলা থেকেও এখানে নেতাকর্মীরা থাকবেন।
খালেক বলেন, এই জনসভা সফল করতে ইতিমধ্যে সবধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। এখন শুধু প্রধানমন্ত্রীর আগমনের অপেক্ষায় খুলনা।
প্রধানমন্ত্রীর জনসভাকে কেন্দ্র করে ইতপূর্বের সব জনসভার চেয়ে বেশী নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। মঞ্চ নির্মানের শুরু থেকেই মাঠে প্রবেশ করার উপরে ছিলো নিষেধাজ্ঞা। যা এখনও কার্যকর রয়েছে। মাঠে প্রবেশের জন্য পথগুলোতে বসানো হচ্ছে আর্চওয়ে।
এদিকে জনসভাস্থলসহ পুরো মহানগরী জুড়ে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিপুল সংখ্যক সদস্যরা। তৈরি করা হয়েছে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা বলয়।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ (কেএমপি) কমিশনার মোঃ মোজাম্মেল হক জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার খুলনায় আগমণকে কেন্দ্র করে খুলনা মহানগরীসহ প্রবেশপথগুলোতে নেয়া হয়েছে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা। প্রবেশপথসহ সন্দেহজনক সবাইকে তল্লাশীর আওতায় আনা হয়েছে। তিনি বলেন,
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সব সময় সতর্ক থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তৈরি করা হয়েছে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা বলয়। জনসভাস্থলে পোশাকে এবং সাদা পোশাকে পুলিশ দায়িত্ব পালন করবে। সার্কিট হাউজ মাঠ ও আশপাশে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে।

 

ভাল লাগলে শেয়ার করুন
  • শেয়ার করুন