২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, সোমবার,বিকাল ৩:২৬

খুলনায় প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পাচ্ছে ৯৮৭টি পরিবার

প্রকাশিত: আগস্ট ৭, ২০২৩

  • শেয়ার করুন

তথ্য প্রতিবেদক : ‘বাংলাদেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই নির্দেশনা বাস্তবায়নে দেশের সকল ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমি ও গৃহপ্রদান কার্যক্রম চলমান রয়েছে। আগামী ৯ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী সকাল ১০টায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে খুলনা জেলায় চতুর্থ পর্যায়ের (দ্বিতীয় ধাপে) মোট নয়শত ৮৭টি ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারের হাতে জমির দলিল ও ঘরের চাবি হস্তান্তর করবেন। এর মধ্যে রূপসা উপজেলায় ১০০টি, তেরখাদায় ১৮৬টি, ডুমুরিয়ায় ১২০টি, পাইকগাছায় ৬৮টি, দাকোপে ৪২টি, বটিয়াঘাটায় ২৫০টি, দিঘলিয়ায় ৬৬টি, কয়রায় ১০০টি এবং ফুলতলা উপজেলায় ৫৫টি পরিবারের মাঝে জমিসহ ঘর হস্তান্তর করা হবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে খুলনার তেরখাদা উপজেলার ‘বারাসাত সোনার বাংলা পল্লীতে’ সরাসরি সংযুক্ত হবেন।

খুলনার জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন আজ (সোমবার) দুপুরে তাঁর সম্মেলনকক্ষে প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় কর্মরত স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে প্রেসব্রিফিং এ সকল তথ্য জানান।

প্রেসব্রিফিং এ জানানো হয়, ক শ্রেণির পরিবার যার জমি ও ঘর কিছুই নেই এমন ভূমিহীন-গৃহহীন, ছিন্নমূল ও অসহায় দরিদ্র পরিবার এবং খ শ্রেণির পরিবার যার সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ জমির সংস্থান আছে কিন্তু ঘর নেই এমন পরিবার। ক শ্রেণির পরিবারের জন্য অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সরকারি নিষ্কন্টক খাস জমি, সরকারিভাবে ক্রয়কৃত জমি, সরকারের অনুকূলে কারও দানকৃত জমি অথবা রিজিউমকৃত জমিতে ভূমিহীন-গৃহহীনদের ২শতক জমিসহ সেমিপাকা একক গৃহ প্রদানের মাধ্যমে পুনর্বাসন করা হচ্ছে। খাস জমির সংস্থান না থাকায় খুলনা জেলার পাইকগাছা উপজেলায় ৫.০৩ একর, দিঘলিয়া উপজেলায় ২.৪১৮ একর, বটিয়াঘাটা উপজেলায় ২.০০ একর, ফুলতলা উপজেলায় ৪.১২ একর এবং রূপসা উপজেলায় ০.২৪ একর এবং কয়রা উপজেলা ১.৫০ একরসহ মোট ১৫.৪৪৯ একর জমি ক্রয়পূর্বক ৫৯২টি পরিবারকে পুনর্বাসিত করা হয়েছে।

প্রেসব্রিফিং এ আরও জনানো হয়, খুলনা জেলার মোট ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারের সংখ্যা ৫হাজার পাঁচশত ২৯টি। ইতোমধ্যে প্রথম পর্যায়ে ৯২২টি, দ্বিতীয় পর্যায়ে ১৩৫১টি এবং তৃতীয় পর্যায়ে ৯০৬টি পরিবারের মাঝে জমির মালিকানাসহ গৃহ হস্তান্তর করা হয়েছে। চলমান চতুর্থ পর্যায়ে বরাদ্দপ্রাপ্ত মোট গৃহের সংখ্যা ১৮১৯টি। ইতোমধ্যে চতুর্থ পর্যায়ের প্রথম ধাপে গত ২২ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৭৫৭টি গৃহ হস্তান্তর করেছেন। আগামী ৯ আগস্ট খুলনা জেলায় চতুর্থ পর্যায়ের (দ্বিতীয় ধাপে) মোট নয়শত ৮৭টি গৃহ হস্তান্তরসহ এই জেলায় মোট ৫০৭৮টি ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবার পুনর্বাসিত হবে। বর্তমানে নির্মাণাধী ৭৫টি গৃহে ভূমিহীন-গৃহহীন পুনর্বাসনের পর খুলনা জেলায় অবশিষ্ট ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবার থাকবে ৩৭৬টি। উল্লেখ্য, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কর্তৃক নির্মিত ব্যারাকে তেরখাদা উপজেলায় ৩০টি, পাইকগাছায় ৭৩টি ও দাকোপ উপজেলায় ৫০টিসহ মোট ১৫৩টি এবং খুলনা-১ আসনের সংসদ সদস্য কর্তৃক দাকোপ উপজেলায় দুইটি ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়েছে।

প্রেসব্রিফিং এ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক মোঃ ইউসুপ আলী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এসএম মুনিম লিংকন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মুকুল কুমার মৈত্র, কেএমপি’র খালিশপুর জোনের সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার গোপীনাথ কানজিলাল, খুলনা প্রেসক্লাবের সভাপতি এস এম নজরুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আলমগীর কবীরসহ প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
##

ভাল লাগলে শেয়ার করুন
  • শেয়ার করুন