প্রকাশিত: মে ২৯, ২০২৪
নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ব্যবস্থাপনায় খুলনায় আজ বুধবার (২৯-০৫-২০২৪) ‘আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস-২০২৪’ উদযাপিত হয়। দিবসটি সর্বস্তরের জনসাধারণের কাছে তুলে ধরতে বিশেষ র্যালি ও খুলনা সার্কিট হাউজ প্রাঙ্গনে আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক। স্বাগত বক্তৃতা করেন কমান্ডার খুলনা নেভাল এরিয়া রিয়ার এডমিরাল গোলাম সাদেক, এনজিপি, এনডিসি, এনসিসি, পিএসসি, বিএন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী, বাংলাদেশ পুলিশ, বাংলাদেশে জাতিসংঘের সংস্থাসমূহ, স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তা ও সদস্যবৃন্দ, সশস্ত্র বাহিনী পরিচালিত বিভিন্ন স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রী ও বিএনসিসি শিক্ষার্থীবৃন্দ অংশগ্রহণ করে। এ সময় অনুষ্ঠানে শান্তিরক্ষায় জীবন উৎসর্গকারী সদস্যদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয় ।
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণকারী বিশ্বের সকল দেশের শান্তিরক্ষীদের অসামান্য অবদানকে স্মরণীয় করে রাখতে প্রতিবছর ২৯ মে দিবসটি পালন করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় এবছরও বাংলাদেশে দিবসটি পালনের লক্ষ্যে খুলনায় বিভিন্ন কর্মসূচির পাশাপাশি র্যালি ও আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
র্যালিটি শহরের শিববাড়ী মোড় হতে শুরু হয়ে খুলনা শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে সার্কিট হাউজ ময়দানে এসে সমাপ্ত হয় ।
উল্লেখ্য যে, বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর ১,৭৩,৪০৩ জন এবং বাংলাদেশ পুলিশের ২১,৪৫৩ জনসহ সর্বমোট ১,৯৪,৮৫৬ জন শান্তিরক্ষী সদস্য বিশ্বের ৪৩ টি স্থানে এ পর্যন্ত ৬৩ টি মিশন সফলতার সাথে সম্পন্ন করেছে। বর্তমানে ১৩টি মিশনে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী ও বাংলাদেশ পুলিশের ৬,০৯২ জন শান্তিরক্ষী নিয়োজিত আছে। বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠার এই মহান দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে এ পর্যন্ত বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী ও বাংলাদেশ পুলিশের ১৬৮ জন সদস্য জীবন উৎসর্গ করেছেন। আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী এবং বাংলাদেশ পুলিশ সদস্যদের সক্রিয় অংশগ্রহণ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে দেশের সুনাম বৃদ্ধির পাশাপাশি জাতিসংঘের ভাবমূর্তি সমুন্নত রাখতে সক্ষম হয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন যুদ্ধবিধ্বস্ত অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ইতোমধ্যে জাতিসংঘের পরীক্ষিত বন্ধু হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে। পরিবর্তিত বিশ্বের ক্রমবর্ধমান চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীগণ বিচক্ষণতা, পেশাদারিত্ব এবং সাহসিকতার মাধ্যমে দেশের সুনাম সমুন্নত রাখতে সর্বদা কাজ করে যাবে।