৩রা জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, মঙ্গলবার,সকাল ৭:৫০

শিরোনাম
খুলনায় ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ এর ২ দিনব্যাপী “শিশু কল্যাণে পরিকল্পনা প্রণয়ন কর্মশালা-২০২৫” এর সমাপনী অনুষ্ঠিত শহীদ সাকিবের কবর জিয়ারতের মাধ্যমে খুলনায় এনসিপি’র কার্যক্রম শুরু নগরীতে সন্ত্রাসীদের সঙ্গে যৌথবাহিনীর গোলাগুলি, পলাশসহ গ্রেপ্তার ১১ খুলনায় পদ্মা ব্যাংকে জমানো অর্থ ফেরত না পেয়ে বিপাকে গ্রাহকরা, ব্যাংকের সামনে বিক্ষোভ সকল শহীদের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার বিনম্র শ্রদ্ধা ঝিনাইদহে তিন চরমপন্থী হত্যার ঘটনায় আটক ২ খুলনায় নৌবাহিনীর সমুদ্র সচেতনতা বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত খুলনায় শীর্ষ সন্ত্রাসী চিংড়ি পলাশ অস্ত্র ও বোমাসহ গ্রেফতার লবণচরা থানার কড়া নজরদারীতে প্রায় দেড় মণ গাঁজাসহ আটক-২

খুলনায় এতিম ও পথশিশুদের (বালিকা) পারিবারিকভাবে বেড়ে ওঠার আরেক নাম সরকারি শিশু পরিবার

প্রকাশিত: জুন ১৪, ২০২৪

  • শেয়ার করুন

তথ্য প্রতিবেদক:
সরকার কর্তৃক এতিম ও পথশিশুদের সহায়তার জন্যে যে সকল প্রতিষ্ঠান কাজ করে থাকে তার মধ্যে সরকারি শিশু পরিবার অন্যতম। যা সমাজসেবা কার্যালয়ের আওতাধীন। ১৯৭২ সালে সরকারের এ প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠিত হয়। সারাদেশে বর্তমানে ৮৫টি শিশু পরিবার রয়েছে। যার মাধ্যমে হাজার হাজার শিশু প্রতিপালিত হয়েছে এবং এখনও হচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় খুলনায় প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই সরকারী শিশু পরিবার (বালিকা) শিশুদের যথাযথভাবে মানুষ হিসেবে গড়ে তুলছে। যার উপতত্ত্বাবধায়ক (অতিরিক্ত) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন খুলনা শহর সমাজ সেবা কার্যালয়-১ এর অফিসার আবিদা আফরিন। এ প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে শিশুদের শুরু থেকেই মূলত ৬টি বিষয়ের উপর প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। যেমন- নাচ, গান, ধর্মীয়, কারাতে, স্কাউট ও সাধারণ প্রশিক্ষণ। এছাড়াও ১৬ বছর বয়সীদের বিউটিফিকেশন, কম্পিউটার, ব্লকবাটিক ও দর্জি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে স্বাবলম্বী করে গড়ে তোলা হয়। পড়ালেখার পাশাপাশি এ প্রশিক্ষণগুলি শিশুদের স্বাবলম্বী হতে খুবই সহায়ক।


জানা যায়, প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ প্রতিষ্ঠানে ১ হাজার ৭৩ জন এতিম শিশু প্রতিপালিত হয়েছে। যার মধ্যে ৫৭ জন শিশু স্বনির্ভর হয়ে সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত রয়েছেন।
এ প্রতিষ্ঠান থেকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ভারত ও জাপানে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহন করে ১২ জন শিশু কারাতে ব্লাক বেল্ট অর্জন করতে সক্ষম হয়। এছাড়াও জাতীয় যুব গেমসে রৌপ্য অর্জন করে।
বর্তমানে যে ১শ’ টি শিশু এখানে রয়েছে, তারমধ্যে ৪৬ জনের বাবা ও মা কেউই নেই, ১৭ জনের নেই কোন পরিবার আর বাকি ৩৭ জনের আত্মীয়-স্বজন থাকলেও রাখছেন না কোন খোঁজ। তবে কেউ খোঁজ রাখুক আর নাই রাখুক এসব নিয়ে কোন মাথা ব্যাথা নেই শিশুদের। পড়ালেখা, সুষম খাবার, নিরাপদ আবাসস্থল ও পরিশেষে আত্মনির্ভরশীল হওয়ার মতো বিভিন্ন প্রশিক্ষণ পেয়ে তারা বেশ আনন্দিত। প্রতিটি অফিস স্টাফ তাদের নিজেদের সন্তানের মতো লালন পালন করছেন। সময়মতো খাওয়া, ঘুমানো, পড়ালেখাসহ সকল কিছুই সময়মতো পাচ্ছে তারা। যা প্রতিনিয়ত দেখভাল করছেন উপতত্ত্বাবধায়ক আবিদা আফরিন।
তিনি বলেন, সকল শিশুকে সরকার কর্তৃক নির্দেশনা অনুযায়ী প্রতিপালন করা হচ্ছে। ওদের মেধা অনুযায়ী বিভিন্ন প্রশিক্ষণ দিয়ে মানুষের মত মানুষ করে গড়ে তোলা হচ্ছে। তবে এই ১শ’ শিশুকে যত্ন নেওয়ার জন্য আরও জনবল পেলে শিশুরা সকল দিক থেকে আরও ভাল করতে পারবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

ভাল লাগলে শেয়ার করুন
  • শেয়ার করুন