২৮শে জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার,সন্ধ্যা ৬:৫৫

শিরোনাম
খুলনার সেনের বাজার সিএসএস কার্যালয়ে রেভারেন্ড পল মুন্সী স্মরণে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প খুলনায় “মহাসড়কে শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা বিধানে অংশীজনদের সাথে মতবিনিময় সভা” অনুষ্ঠিত খুলনায় “৫ বছরের জন্য শিশু কল্যাণে যৌথ পরিকল্পনা প্রণয়ন কর্মশালা” ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ’র খুলনায় ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ এর ২ দিনব্যাপী “শিশু কল্যাণে পরিকল্পনা প্রণয়ন কর্মশালা-২০২৫” এর সমাপনী অনুষ্ঠিত শহীদ সাকিবের কবর জিয়ারতের মাধ্যমে খুলনায় এনসিপি’র কার্যক্রম শুরু নগরীতে সন্ত্রাসীদের সঙ্গে যৌথবাহিনীর গোলাগুলি, পলাশসহ গ্রেপ্তার ১১ খুলনায় পদ্মা ব্যাংকে জমানো অর্থ ফেরত না পেয়ে বিপাকে গ্রাহকরা, ব্যাংকের সামনে বিক্ষোভ সকল শহীদের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার বিনম্র শ্রদ্ধা ঝিনাইদহে তিন চরমপন্থী হত্যার ঘটনায় আটক ২

খুলনায় অপহরণের ১৮ ঘন্টার মধ্যে অপহৃত শিশু উদ্ধার, গ্রেফতার ২

প্রকাশিত: জুলাই ১৫, ২০২০

  • শেয়ার করুন

খুলনা মহানগরীর মিয়াপাড়া থেকে অপহরণ হওয়া এক শিশুকে মাত্র ১৮ ঘন্টার ব্যবধানে উদ্ধার করেছে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ (কেএমপি)। অপহরণের সাথে জড়িত এক দম্পতিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

বুধবার (১৫ জুলাই) বেলা ১২টার দিকে কেএমপি’র এক প্রেস ব্রিফিং-এ এই তথ্য জানানো হয়েছে। এসময় জানানো হয়, মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে টুটপাড়া মিয়াপাড়া এলাকার জনি মোল্যার চার বছরের কন্যা রাইছা আক্তার রোজাকে চকলেট খাওয়ানোর কথা বলে তুলে নিয়ে যায় অপহরণকারীরা।

পার্শ্ববর্তি এক প্রতিবেশির মাধ্যমে জনি মোল্যার স্ত্রী নাসরিন বেগম বিষয়টি জানতে পারেন। তিনি বিভিন্ন জায়গায় খোজাখুজি করেও কোন হদিস না করতে পেরে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন। এরপর নাসরিনের কাছে ২ লাখ টাকা মুক্তিপন দাবী করে অপহরণকারীরা। সেই মোবাইল নম্বর ট্রাকিং করে মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে কুষ্টিয়া জেলার কাঞ্চনপুর এলাকা থেকে অপহৃত শিশু রোজাকে উদ্ধার করে পুলিশ। এসময় অপহরণের সাথে জড়িত রুবিনা আক্তার (৪৫) ও তার স্বামী ফারুক বিশ্বাসকে (৪৭) গ্রেফতার করা হয়। কুষ্টিয়ার কাঞ্চনপুর এলাকার আবু তালেব বিশ্বাসের পুত্র গ্রেফতারকৃত ফারুক বিশ্বাস। সে ও তার স্ত্রীসহ একটি সংঘবদ্ধ চক্র বিভিন্ন জেলায় শিশু অপহরণের সাথে জড়িত।

শিশু রোজাকে নিজের কাছে ফিরে পেয়ে আবেগ আপ্লুত হয়ে কেঁদে ফেলে মা নাসরিন বেগম। তিনি পুলিশকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে বলেন, পুলিশের এই ঋণ আমি শোধ করতে পারব না। তারা এত দ্রুত আমার মেয়েকে আমার কাছে ফিরিয়ে দেবে সেটা ভাবতে পারিনি।

কেএমপি’র ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) এম এম শাকিলুজ্জামান বলেন, দুই লাখ টাকা মুক্তিপন দাবি করে যে ফোন কলটি এসেছিল আমরা সেটা ট্রাকিং করে আসামীদের অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হই। পরে দ্রুত সেখানে অভিযান চালিয়ে শিশুটিকে উদ্ধার ও আসামিদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হই। তিনি আরও বলেন, অপহরণকারীরা একটি সংঘবদ্ধ চক্র। এরা বিভিন্ন স্থানে ছদ্দবেশে ঘুড়ে বেড়ায় এবং নজরদারী করে। নানা অযুহাতে তারা যেকারও বাসায় ঢুকে যেতে পারে। এরপর সুযোগ বুঝে শিশুদের প্রলোভন দেখিয়ে অপহরণ করে। পুরো চক্রটিকে ধরার জন্য আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

প্রেসব্রিফিং-এ উপস্থিত ছিলেন খুলনা সদর থানার সহকারী পুলিশ কমিশনার হাফিজুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আশরাফুল আলমসহ পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ। এঘটনায় খুলনা সদর থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করা হয়েছে।

ভাল লাগলে শেয়ার করুন
  • শেয়ার করুন