প্রকাশিত: জুন ৩০, ২০২০
গত ২৪ ঘন্টায় খুলনা মেডিকেল কলেজের (খুমেক) পিসিআর ল্যাবে ১১২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। যার মধ্যে ১০৯ জনই খুলনা এছাড়া কুষ্টিয়া জেলার একজন, সাতক্ষীরার ও নড়াইল জেলার একজন রয়েছেন এবং এক জনের মৃত্যু হয়েছে।এই নিয়ে খুলনায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা ২১ জন। এবং মোট রোগীর সংখ্যা দাঁড়ালো ১৮৯০জন এবং মোট মৃত্যুর সংখ্যা ২১ জন।
সোমবার (২৯ জুন) সন্ধ্যায় খুলনা মেডিকেল কলেজের (খুমেক) পিসিআর ল্যাব ও খুলনা সিভিল সার্জনের দপ্তর থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
খুমেকের উপাধ্যক্ষ ডা. মেহেদী নেওয়াজ জানান, সোমবার পিসিআর ল্যাবে ২৮২ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছিল। এতে খুলনা নমুনা ছিল ২৭১টি। মোট পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে ১১২ টি। যার মধ্যে ১০৯ জনই খুলনা জেলার। এছাড়া কুষ্টিয়া জেলার একজন, সাতক্ষীরার ও নড়াইল জেলার একজন রয়েছেন।
এদিকে করোনা আক্রান্ত নগরীর আসাদ স্টোরের মালিক আনিসুর রহমানের (৫০) মৃত্যু হয়েছে। আজ বিকেল ৫টার দিকে তাকে ঢাকা নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
আনিসুর রহমানের ঘনিষ্ট বন্ধু ও ব্যবসায়িক পার্টনার সৈয়দ আমিনুল ইসলাম বলেন, গত ১৩ জুন তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর তার নমুনা পরীক্ষায় করোনা পজেটিভ রিপোর্ট আসে। গত ২৪ জুন তাকে করোনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গতকাল রোববার তাকে ঢাকায় নেওয়ার জন্য চিকিৎসকরা পরামর্শ দেন। এরপর আজ ঢাকায় নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
এছাড়াও করোনা উপসর্গ নিয়ে খুলনা মেডিকেল কলেজের আইসোলেশ ওয়ার্ডে রানিয়া বেগম (৮০) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে।
খুমেক হাসপাতালের পরিচালক ডা. মুন্সি রেজা সেকান্দার জানান, শরীর দুর্বল ও শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে আজ বেলা ১২টার দিকে রানিয়া বেগমকে মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। পরে তার শ্বাসকষ্ট বেড়ে গেলে তাকে আইসোলেশন ওয়ার্ডে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে তার মৃত্যু হয়। করোনা পরীক্ষার জন্য তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
খুলনা সিভিল সার্জনের দপ্তর থেকে জানা গেছে,
খুলনা জেলায় মোট করোনা পজিটিভ রোগী শনাক্ত হয়েছে ১৮৯০ জন যার মধ্যে মারা গেছে ২১ জন, সু্স্থ্য হয়েছেন ২৫১ জন, বাকিরা এখনো চিকিৎসাধীন রয়েছেন।