২৮শে জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার,রাত ১১:৫৯

শিরোনাম
খুলনায় ১৯ জন কৃতি শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা ও আর্থিক সুবিধা প্রদান সিএসএস মাইক্রোফাইন্যান্স প্রোগ্রাম’র খুলনার সেনের বাজার সিএসএস কার্যালয়ে রেভারেন্ড পল মুন্সী স্মরণে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প খুলনায় “মহাসড়কে শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা বিধানে অংশীজনদের সাথে মতবিনিময় সভা” অনুষ্ঠিত খুলনায় “৫ বছরের জন্য শিশু কল্যাণে যৌথ পরিকল্পনা প্রণয়ন কর্মশালা” ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ’র খুলনায় ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ এর ২ দিনব্যাপী “শিশু কল্যাণে পরিকল্পনা প্রণয়ন কর্মশালা-২০২৫” এর সমাপনী অনুষ্ঠিত শহীদ সাকিবের কবর জিয়ারতের মাধ্যমে খুলনায় এনসিপি’র কার্যক্রম শুরু নগরীতে সন্ত্রাসীদের সঙ্গে যৌথবাহিনীর গোলাগুলি, পলাশসহ গ্রেপ্তার ১১ খুলনায় পদ্মা ব্যাংকে জমানো অর্থ ফেরত না পেয়ে বিপাকে গ্রাহকরা, ব্যাংকের সামনে বিক্ষোভ সকল শহীদের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার বিনম্র শ্রদ্ধা

খুলনার দুই পাটকল শ্রমিক নেতাকে গ্রেফতার দেখালো পুলিশ

প্রকাশিত: জুলাই ৭, ২০২০

  • শেয়ার করুন

খুলনায় সদ্য বন্ধকৃত রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলের দুইজন শ্রমিক নেতাকে ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনী’র পরিচয়ে ধরে নেওয়ার ২০ ঘণ্টার মাথায় আগের একটি মামলায় তাদের গ্রেফতার দেখিয়েছে পুলিশ।

সোমবার রাত পৌঁনে ১২ টার দিকে তাদের দৌলতপুর থানার একটি মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়।

এর আগে গত রোববার মধ্যরাতে স্টার জুট মিলের শ্রমিক ও পাটশিল্প রক্ষা যুব জোটের আহ্বায়ক অলিয়ার রহমান এবং প্লাটিনাম জুবিলি জুটমিলের শ্রমিক ও পাটশিল্প রক্ষা যুব জোটের উপদেষ্টা নূর ইসলামকে নিজ নিজ বাড়ি থেকে তুলে নেওয়ার অভিযোগ করে পরিবারের সদস্যরা।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়ে তুলে নেওয়া হলেও ঘটনার পর থেকে পুলিশ বিষয়টি অস্বীকার করে আসছিল।

তাদের গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে দৌলতপুর থানার ওসি সৈয়দ মোশাররফ হোসেন জানান, ২০১৯ সালের ৪ এপ্রিল পাটকল শ্রমিকদের বিক্ষোভ থেকে নগরীর নতুন রাস্তা মোড়ের পুলিশ বক্সে হামলা ও ভাংচুর করা হয়। ওই ঘটনায় পুলিশের দায়েরকৃত মামলায় তাদের সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা থানার এস আই শাহীনুর রহমান সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে সকাল ১০টায় তাদেরকে আদালতে প্রেরণ করেছেন। আদালত শুনানি শেষে রিমান্ড না মঞ্জুর করে তাদেরকে কারাগারে পাঠান।

এ বিষয়ে অলিয়ার রহমানের ছেলে নাইম শেখ বলেন, অবশেষে বাবাকে দেখতে পেলাম। বাবাকে তুলে নেওয়ার পর থেকে পুলিশ অস্বীকার করে যাচ্ছিল, তারা কিছু জানে না। আমরা বুঝতেই পারছিলাম না এটা কি রাজনৈতিক, না প্রশাসনিক কারণে হয়েছে। এখন তারা কিভাবে জানলো। এই দীর্ঘ সময় আমাদের কিভাবে কেটেছে কেউ তা জানে না।

গণসংহতি আন্দোলন খুলনা জেলা শাখার আহবায়ক মুনীর চৌধুরী সোহেল বলেন, সরকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী পুলিশ বাহিনীকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে দুই শ্রমিক নেতাকে গভীর রাতে তুলে নেওয়ার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। তাদের মিথ্যা মামলায় আটক ও কালক্ষেপণ করে একটি নাটক মঞ্চায়ন করেছে। সরকার জনরোষের ভয়ে এসব অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করছে। এতে শ্রমিকদের পরিবারের মধ্যে ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। আমরা দ্রুত ওই শ্রমিক নেতাদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানাই।

ভাল লাগলে শেয়ার করুন
  • শেয়ার করুন