২৫শে আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, সোমবার,রাত ৮:৩৩

শিরোনাম
অশ্রুসিক্ত হৃদয়ে খুলনায় পালিত হলো ইমাম হুসাইন (আ.)’র পবিত্র চেহলাম খুলনা ও বরগুনায় নৌবাহিনীর যৌথ অভিযানে মাদকসহ আটক-৩ খুলনায় মাদক ব্যবসায়ী কর্তৃক হয়রানী থেকে বাঁচতে ও তাদের শাস্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন খুলনায় নারী-পুরুষ সম্পর্কিত প্রচলিত ভুল ধারণা মোকাবিলায় অ্যাডভোকেসি সভা অনুষ্ঠিত খুলনায় ১৩ মাস বেতন না পেয়ে কর্মবিরতিতে আউটসোর্সিং কর্মচারীরা, অচল ৯ উপজেলার স্বাস্থ্যসেবা নৌ ও বিমান বাহিনীর নির্বাচনী পর্ষদ উদ্বোধন করলেন প্রধান উপদেষ্টা উত্তরায় বিমান বিধ্বস্ত: জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে জরুরী হটলাইন চালু উত্তরায় ‘প্রশিক্ষণ বিমান’ বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহত-১, আহত-২৬ খুলনায় প্রাথমিক বিদ্যালয় সবুজায়নে পরিকল্পনা প্রনয়ণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত

খুলনা সিটিতে নিরাপদ পানি বঞ্চিত নিম্ন আয়ের ৮২ শতাংশ মানুষ : সুশীলন ও পরিবর্তন খুলনা

প্রকাশিত: জুন ২৮, ২০২২

  • শেয়ার করুন

খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) এলাকায় নিম্ন আয়ের ৮২ শতাংশ মানুষ নিরাপদ পানির প্রাপ্তির সুযোগ বঞ্চিত, ৫৯ শতাংশ পরিবার অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বসবাস করছেন। শুধু তাই নয়, নগরীর ৯১ শতাংশ বর্জ্য সংগ্রহের সেবা থেকে বঞ্চিত। ৩৮ শতাংশ পরিবারের টয়লেট সরাসরি নর্দমার সাথে সংযুক্ত ও ৬০ শতাংশ পরিবার খোলা জায়গায় বর্জা অপসারণ করে। সিটি কর্পোরেশনে বসবাসরত জনগোষ্ঠীর নাগরিক চাহিদা পূরণে পরিবেশগত সক্ষমতা তৈরি ও পরিকল্পিত নগর গড়ে তুলতে নেওয়া গবেষণা জরিপে এ তথ্য পাওয়া গেছে। গবেষণা জরিপ প্রতিবেদনে সুপেয় পানি, পয়:নিষ্কাশন, নিষ্কাশন ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সেবার ২০টির মতো ক্রটি তুলে ধরা হয়।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে নগরীর বিএমএ মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে বেসরকারি সংস্থা সুশীলন ও পরিবর্তন খুলনা এ তথ্য উপস্থাপন করে।
সংবাদ সম্মেলনে বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন কেসিসি কাউন্সিলর ও বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির মহাসচিব শেখ মোহাম্মদ আলী, কেসিসির কনভারসেন্সী কর্মকর্তা আব্দুল আজিজ, খুলনা ওয়াসার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রেজাউল ইসলাম, সুশীলনের পরামর্শক আমিনুল ইসলাম, সহকারী পরিচালক শাহিনা পারভীন, নুরুন নবী প্রিন্স, শাহীন ইসলাম।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, পরিকল্পিত নাগরিক সেবা নিশ্চিতের জন্য সিটি কর্পোরেশনের ৫ ও ৯ নং ওয়ার্ডের ৫ শতাংশ মানুষের মাঝে জরিপ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। জরিপে এই দুটি ওয়ার্ডের এক হাজার ৮৫০ জন অংশ নেন। এতে সুপেয় পানি, পয়:নিষ্কাশন, নিষ্কাশন ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সেবার মান নির্ণয় করা হয়েছে। সেবার মান কম হওয়ার পেছনে ২০টির মতো কারণ চিহ্নিত করা হয়। এসবের মধ্যে রয়েছে- কমিউনিটি পর্যায়ে সচেতনতার অভাব, অপর্যাপ্ত ডাস্টবিন ও ভাঙ্গা ডাস্টবিন, নর্দমাতে সরাসরি বর্জ্য ফেলা, উপযুক্ত নকশাসহ অপর্যাপ্ত ড্রেনেজ ও পানি সরবরাহ, নিম্ন-আয়ের এলাকায় অপর্যাপ্ত টয়লেট ও সুপেয় পানি, অনিয়মিত বাজার পরিষ্কারকরণ, আইন বহির্ভূত অবকাঠামো ও ভুমির ব্যবহার, নর্দমার সাথে টয়লেট ও পান প্রবাহর সংযাগ, জনবল সংকট, স্থায়ী কমিটির অকার্যকরিতা, বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উৎপাদনে বেসরকারি উদ্যোগের অভাব।
জনদুর্ভোগ লাগব ও সঠিক সেবা নিশ্চিতের জন্য নগর সংস্থা, উন্নয়ন কর্তৃপক্ষসহ সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সমন্বয় করা, পর্যাপ্ত পরিবেশ বান্ধব ডাস্টবিন স্থাপন, জনবল ও বাজেট বৃদ্ধি, ড্রেনের সাথে টয়লেটের সংযোগ বন্ধ, পানির এটিএম বুথ স্থাপনের জন্য গুরুত্বারোপ করা হয়।

ভাল লাগলে শেয়ার করুন
  • শেয়ার করুন