১৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার,রাত ১০:১০

শিরোনাম
খুলনায় ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ এর পূনঃ সবুজায়ন কার্যক্রম উদযাপন এবং সমন্বিত সবুজ বিদ্যালয় ঘোষণা অনুষ্ঠিত মারধরের মামলায় খুলনা জেলা কারাগারে হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টী সত্যানন্দ দত্ত নতুন করারোপ ছাড়া কেসিসির ৭১৯ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা অশ্রুসিক্ত হৃদয়ে খুলনায় পালিত হলো ইমাম হুসাইন (আ.)’র পবিত্র চেহলাম খুলনা ও বরগুনায় নৌবাহিনীর যৌথ অভিযানে মাদকসহ আটক-৩ খুলনায় মাদক ব্যবসায়ী কর্তৃক হয়রানী থেকে বাঁচতে ও তাদের শাস্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন খুলনায় নারী-পুরুষ সম্পর্কিত প্রচলিত ভুল ধারণা মোকাবিলায় অ্যাডভোকেসি সভা অনুষ্ঠিত খুলনায় ১৩ মাস বেতন না পেয়ে কর্মবিরতিতে আউটসোর্সিং কর্মচারীরা, অচল ৯ উপজেলার স্বাস্থ্যসেবা নৌ ও বিমান বাহিনীর নির্বাচনী পর্ষদ উদ্বোধন করলেন প্রধান উপদেষ্টা

খালিশপুরে কিশোরী ধর্ষণ মামলায় ৫ জনের মৃত্যুদন্ড

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৭, ২০২২

  • শেয়ার করুন

খুলনার খালিশপুরে কিশোরী ধর্ষণ মামলায় আদালত ৫ আসা‌মি‌কে মৃত্যুদন্ড দি‌য়ে‌ছেন। একই সা‌থে তা‌দের ২০ হাজার টাকা করে জ‌রিমানা করা হ‌য়ে‌ছে। মামলায় দুইজন আসা‌মি আদালতে উপ‌স্থিত থাক‌লেও অন্য তিন জন পলাতক র‌য়ে‌ছে।
বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) খুলনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক আব্দুস ছালাম খান এ রায় ঘোষণা করেন।

রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওই আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী স্পেশাল পিপি ফরিদ আহমেদ। মামলায় দুইজন আসামি আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত থাকলেও তিন জন পলাতক রয়েছে।

সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হচ্ছে- আলী আকবর ওরফে হৃদয়, মেহেদী হাসান ওরফে ইবু, সোহেল, আব্দুল্লাহ ও মোহন। এর মধ্যে সোহেল, আব্দুল্লাহ ও মোহন পলাতক রয়েছে।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১১ সালের ২৩ মার্চ সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে ওই কিশোরী নগরীর খালিশপুরের বিহারী কলোনীর (১ নং ক্ষ্যামা) ক্যাম্পের একটি টিউবওয়েলে হাত মুখ ধুচ্ছিলেন। এ সময় একই ক্যাম্পের মোঃ মোহন খাবার কিনে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে পাশের শিয়া মসজিদের কাছে নিয়ে যায়। সেখানে পূর্বে অপেক্ষারত মোঃ আলী আকবর মোটরসাইকেলে তুলে তাকে অপহরণ করে চরেরহাট বাবুল কাউন্সিলরের ভেড়িবাধ সংলগ্ন কলা বাগানের ভেতরে নিয়ে যায়।

এ সময় উপস্থিত অন্যান্য আসামিরা একত্রিত হয়ে কিশোরীকে গণধর্ষণ করে। এক পর্য়ায়ে সে অসুস্থ হয়ে পড়লে সাড়ে ৯ টায় আসামি আলী আকবর ১ নং ক্ষ্যামা বিহরী কলোনীর পাশে আরাবিয়া মসজিদের সামনে নাস্তার ওপর ফেলে যায়। এ সময় আসামি আলী আকবর কিশোরীকে ঘটনাটি কাউকে না জানানোর জন্য হুমকি দেয়। কিশোরী বাড়ি এসে মায়ের কাছে ঘটনা বলে দেয়।

এ ঘটনায় তার মা বাদী হয়ে ২৪ মার্চ খালিশপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। একই বছরের ২০ জুন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই কাজী রেজাউল করিম ৫ জনের নাম উল্লেখ করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলা চলাকালীন আদালতে ১২ জন স্বাক্ষ্য প্রদান করে।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ফরিদ আহমেদ বলেন, এটি একটি ঐতিহাসিক রায়। উচ্চ আদালত যেন নিম্ন আদালতের সাজা বহাল রাখেন সেই প্রত্যাশা করেন তিনি।

ভাল লাগলে শেয়ার করুন
  • শেয়ার করুন