প্রকাশিত: আগস্ট ১২, ২০২১
মিলন হোসেন বেনাপোল:
মহামারি করোনা ভাইরাসের ভিতর জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নিরবে কাজ করে চলেছেন যশোরের শার্শা বাগআঁচড়া সাতমাইল জোহরা ক্লিনিকে এক চিকিৎসক দম্পতি।প্রচার বিমুখ এই দম্পতি সরকারি দায়িত্ব পালনের পরও নিজেদেরকে যুক্ত রাখেন জনকল্যাণে।
চিকিৎসা দেওয়ার সময় যদি এই দম্পতি জানতে পারেন রোগী খুব গরীব মানুষ তাহলে তাদের কাছ থেকে নেওয়া হয় খুবই অল্প টাকা।এলাকার অনেকেই জানিয়েছেন এ দম্পতি খুব মায়াবী তারা রোগীদের সাথে কোন খারাপ ব্যবহার করে না।যে ভাবে মানুষের সেবা করে যাচ্ছে আল্লাহর তাদেরকে ভালো রাখবেন।
করোনাকালিন সময়ে সকলে যখন বেসরকারি ক্লিনিক বন্ধ করে নিজেদেরকে গুটিয়ে রেখেছেন তখন প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মানব সেবা করে চলেছেন।সরকারি দায়িত্ব পালন কালে হাসপাতালে করোনা রুগির চিকিৎসা সেবা দিতে যেয়ে গতবছর করোনার প্রথম ধাপে এই দম্পতি করোনা আক্রান্ত হন।
এরপর সুস্থ্য হয়ে তারা যেন নতুন জীবন ফিরে পেয়েছেন। দ্বিতীয় ধাপে ভারতীয় ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট সীমান্ত এই জনপদে যখন মহামারি আকার ধারন করেছে তখন তারা তাদেরকে গুটিয়ে রাখতে পারেনি।সরকারি ডিউটি শেষে বিকেলে নিজস্ব ক্লিনিকে ওই সব রুগিদের চিকিৎসা সেবা দিয়ে চলেছেন।
এতক্ষণ যাদের কথা বলছিলাম তারা আর কেউ নয়,এই জনপদের সবচেয়ে জনপ্রিয় ও পরিচিত মুখ যশোরের শার্শা উপজেলার বাগআচড়া সাতমাইল এলাকার জোহরা মেডিকেল সেন্টারের পরিচালক চিকিৎসক দম্পতি ডা. হাবিবুর রহমান হাবিব ও ডা. নাজমুন নাহার রানি।
সীমান্ত জনপদের এই অঞ্চলের প্রতিটি ঘরে ঘরে এখন করোনা উপসর্গ জ্বর,সর্দি, কাশি,গলাব্যাথা ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে ভুগছেন অসংখ্য মানুষ।সাধারন মানুষের মাঝে একটা অজানা ভীতি কাজ করাই কেউই কোভিড-১৯ পরীক্ষা করাচ্ছেন না।থেকে যাচ্ছেন পর্দার অন্তরালে।প্রত্যন্ত গ্রামের প্রতিটি ঘরে ঘরে এসব কোভিড উপসর্গের রোগিরা গ্রামের কোয়াক কিম্বা পল্লী চিকিৎসকদের চিকিৎসা নিচ্ছেন তথ্য গোপন করে।পরিস্থিতি বেসামাল হলে তখনই কেবল তাদেরকে আনা হচ্ছে কোন ক্লিনিক কিম্বা বড় ডাক্তারের কাছে।
ঠিক এই মুহূর্তে এই চিকিৎসক দম্পতি জীবনবাজি রেখে সকলের মন জয় করে কোভিড রুগি,গাইনী, প্রসূতি ও শিশুদের সেবা দিয়ে চলেছেন।
শার্শা উপজেলার কন্যদাহ গ্রামের ইউনুছ আলীর ছেলে শফিকুল ইসলাম(৪০)বলেন, আমি করোনা পজিটিভ হওয়ার পর থেকে নিজ বাড়িতে ডাক্তার হাবিবুর রহমান হাবিবের দিকনির্দেশনা মুতাবেক চিকিৎসা নিয়ে ১৫ দিন কোয়ারেন্টাইন পালন করে “আলহামদুলিল্লাহ” আমি সুস্থ আছি।
ঝিকরগাছা উপজেলার কৃষ্ণনগর গ্রামের শেখ রাহাতুল্লাহর ছেলে রবিউল ইসলাম(৩৪)সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে জোহরা মেডিকেল সেন্টার চিকিৎসা সেবা নিয়ে পুরোপুরি সুস্থ আছেন।
শার্শা উপজেলার ধান্যতাড়া গ্রামের ফয়সাল ইসলামের স্ত্রী মুন্নি খাতুন প্রসববেদনা নিয়ে গভীর রাতে জোহরা মেডিকেল সেন্টারের নিয়মিত গাইনি চিকিৎসক ডাঃ নাজমুন্নাহার রানীর কাছে চিকিৎসা নিয়ে সে এখন সুস্থ।
বাগআঁচড়া সাতমাইল জোহরা ক্লিনিক সম্পর্কে জানতে চাইলে শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মীর আলীফ রেজা বলেন এলাকায় খোঁজ খবর নিয়ে দেখেছি জোহরা ক্লিনিকটি সুনাম আছে।
প্রেরক
মিলন হোসেন বেনাপোল
তারিখ ১২/০৮/২১
মোবাইল ০১৭১২২১৭১৪৩