২১শে আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার,সকাল ৯:০১

শিরোনাম
অশ্রুসিক্ত হৃদয়ে খুলনায় পালিত হলো ইমাম হুসাইন (আ.)’র পবিত্র চেহলাম খুলনা ও বরগুনায় নৌবাহিনীর যৌথ অভিযানে মাদকসহ আটক-৩ খুলনায় মাদক ব্যবসায়ী কর্তৃক হয়রানী থেকে বাঁচতে ও তাদের শাস্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন খুলনায় নারী-পুরুষ সম্পর্কিত প্রচলিত ভুল ধারণা মোকাবিলায় অ্যাডভোকেসি সভা অনুষ্ঠিত খুলনায় ১৩ মাস বেতন না পেয়ে কর্মবিরতিতে আউটসোর্সিং কর্মচারীরা, অচল ৯ উপজেলার স্বাস্থ্যসেবা নৌ ও বিমান বাহিনীর নির্বাচনী পর্ষদ উদ্বোধন করলেন প্রধান উপদেষ্টা উত্তরায় বিমান বিধ্বস্ত: জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে জরুরী হটলাইন চালু উত্তরায় ‘প্রশিক্ষণ বিমান’ বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহত-১, আহত-২৬ খুলনায় প্রাথমিক বিদ্যালয় সবুজায়নে পরিকল্পনা প্রনয়ণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত

উচ্চ মাধ্যমিকে ‘বিতর্কিত’ প্রশ্নটি করেন ঝিনাইদহের এক শিক্ষক

প্রকাশিত: নভেম্বর ৮, ২০২২

  • শেয়ার করুন

উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রথম দিন বাংলা বিষয়ে ‘বিতর্কিত প্রশ্ন’ তৈরির ঘটনায় পাঁচ শিক্ষককে চিহ্নিত করার কথা জানিয়েছে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড।

তাদের মধ্যে যশোর শিক্ষা বোর্ডের একজন প্রশ্নকর্তা ও চারজন মডারেটর রয়েছেন বলে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার জানিয়েছেন।

মঙ্গলবার তিনি বলেন, “যারা বিতর্কিত প্রশ্নটি করেছেন তাদের চিহ্নিত করা হয়েছে। যশোর শিক্ষা বোর্ড তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে জানাবে।”

বাংলা প্রথমপত্রের প্রশ্নপত্রটি প্রণয়ন করেছেন ঝিনাইদহের মহেশপুরের ডা. সাইফুল ইসলাম ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক প্রশান্ত কুমার পাল।

সেটি মডারেট করেন নড়াইলের সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজের সহযোগী অধ্যাপক সৈয়দ তাজউদ্দিন শাওন, সাতক্ষীরা সরকারি মহিলা কলেজের সহযোগী অধ্যাপক শফিকুর রহমান, নড়াইলের মির্জাপুর ইউনাইটেড কলেজের সহকারী অধ্যাপক শ্যামল কুমার ঘোষ ও কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা আদর্শ কলেজের সহকারী অধ্যাপক রেজাউল করিম।

তাদের ব্যাপারে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন যশোর শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক মাধব চন্দ্র রুদ্র।

তিনি বলেন, “এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে তদন্ত কমিটি গঠন করার প্রক্রিয়া চলছে। আমরা তদন্ত করে ব্যবস্থা নিব। আইনানুগভাবে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেওয়া হবে তাদের বিরুদ্ধে।”

রোববার উচ্চ মাধ্যমিকে বাংলা প্রথমপত্রের পরীক্ষা ছিল। নয়টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে একযোগে পরীক্ষা শুরু হয় এদিন। কিন্তু ঢাকা বোর্ডের ১১ নম্বর সৃজনশীল প্রশ্নে সনাতন ধর্মের দুই ভাইয়ের জমি নিয়ে বিরোধের বিষয় তুলে ধরা হয়।

তাতে দেখানো হয়েছে, ছোট ভাই বিরোধের জেরে বড় ভাইকে শায়েস্তা করতে একজন মুসলিম ব্যক্তির কাছে জমির একাংশ বিক্রি করে দেন। জমি কেনা ব্যক্তি সেই জমিতে স্থায়ীভাবে বসবাস করেন এবং কোরবানির ঈদে সেখানে গরু কোরবানি দেন। এতে জমি বিক্রেতা ভাইয়ের মন ভেঙে যায়, তিনি জমি-জমা সব ফেলে সপরিবারে ভারতে চলে যান।

বিষয়টি নিয়ে পরীক্ষার পরই আলোচনা শুরু হয়। সরকার যেখানে অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে গুরুত্ব দিচ্ছে, এই প্রশ্ন তার সঙ্গে কতটা সঙ্গতিপূর্ণ, সেই প্রশ্ন ওঠে।

বিষয়টি ‘দুঃখজনক’ হিসেবে বর্ণনা করে শিক্ষামন্ত্রী সোমবার বলেন, কী কী বিষয় মাথায় রেখে প্রশ্ন করতে হবে, তার স্পষ্ট নির্দেশিকা দেওয়া থাকে শিক্ষকদের। সাম্প্রদায়িকতার কিছু যেন না থাকে, সেটাও সেই নির্দেশিকায় আছে।

এ ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন মন্ত্রী।

ভাল লাগলে শেয়ার করুন
  • শেয়ার করুন