প্রকাশিত: অক্টোবর ৮, ২০২৫
তথ্য প্রতিবেদক : স্ত্রী ডা. শামসুন্নাহারকে হত্যা, প্রতারণা ও জালজালিয়াতির মাধ্যমে বিভিন্ন প্রতিষ্টানের অর্থ আত্নসাত, পরকীয়া করে অন্যের স্ত্রীর সাথে অবৈধ মেলামেশা এবং নিজ সন্তানদের হত্যার হুমকি দেয়াসহ বেশকিছু অভিযোগ উঠেছে বাংলাদেশ মেডিকেল এ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি এবং খুলনার সভাপতি ডাঃ শেখ বাহারুল আলমের বিরুদ্ধে।
তারই দুই মেয়ে শেখ তামান্না আলম ও ডাঃ তাসনুভা আলম আজ বুধবার দুপুরে খুলনা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তৃতায় শেখ তামান্না আলম বলেন, আমার পিতার সাথে একজন ভিন্ন ধর্মের বিবাহিতা নারীর অনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে। যা আমাদের পুরো পরিবারকে সামাজিক, মানসিক এবং নৈতিকভাবে বিপর্যন্ত করেছে। শুধু তাই নয়, এই অবৈধ সম্পর্কের ফলে ১৮ বছর আগে তাদের এক সন্তানও জন্মগ্রহণ করেছে।
আমার মা ডা. শামসুন্নাহার এই শহরের একজন স্বনামধন্য চিকিৎসক ছিলেন। ১৯৮৯ সালে ১৩ নভেম্বর আমার মা মারা যাওয়ার পর বাবার অনেক অন্যায় চোখের সামনে দেখেও ছোট বোনের কথা চিন্তা করে কোনো প্রতিবাদ করিনি। এখন একজন অন্য ধর্মের নারী, তার স্বামী সংসারসহ শুধু অর্থের লোভে আমার বাবাকে আমাদের থেকে অনেক দূরে সরিয়ে দিয়েছে। ওই নারী আমাদের প্রতিষ্ঠানে ১৩০০ টাকা বেতনের একজন কর্মচারী ছিলো। আজ আমার বাবার স্বেচাচারিতার কারণে ওই নারী একই প্রতিষ্ঠানের একজন পরিচালক হয়েছে। বাড়িগাড়ি সবই হয়েছে।
তিনি বলেন, ২০২৪ এর জুন মাস থেকে আমার বাবা ডাঃ শেখ বাহারুল আলমের স্বেচ্ছাচারিতা, একনায়কতন্ত্র ও পরকীয়া প্রেমিক হেনা রানী ভৌমিকের কারণে আজ আমি ও আমার বোনের প্রতিটি দিন কাটছে আতঙ্ক নিয়ে। আত্মরক্ষার জন্য তার বিরুদ্ধে খুলনা ও বাগেরহাটে মোট ১২ টি মামলা চলমান রয়েছে। আমরা দুইবোন প্রতিবাদ করায় ডাঃ শেখ বাহারুল আলম, হেনা রানী ভৌমিক ও তার স্বামী চিত্ত রঞ্জন সেনের দ্বারা যেকোন সময় যেকোন মুহূর্তে লাঞ্চিত, গুম ও খুন হতে পারি।
তামান্না আলম বলেন, ডাঃ শেখ বাহারুল আলম সেন্ট্রাল বিএমএ এর ভাইস প্রেসিডেন্ট ও খুলনা বিএমএ এর প্রেসিডেন্ট থেকে সারা বাংলাদেশে নিয়োগ ও বদলি বানিজ্য করে। শেখ পরিবারের সাথে তার সখ্যতার কারণে ডাঃ শেখ বাহারুল আলম খুলনা জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিষয়ে এখনও তার নিজ বাসা ও বিএমএ ভবন ব্যবহার করে কিভাবে আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
ডাঃ শেখ বাহারুল আলম অর্থ আত্মসাতে তার নিজ মেয়েদের স্বাক্ষর জালিয়াত করতেও ছাড় দেননি। আমি কানাডায় থাকা অবস্থান আমার স্বাক্ষর জালিয়াতি করে আমমোক্তার নামা তৈরি করে হেনা রানি ভৌমিকের সহযোগিতায় আমায় ঢাকাস্থ একটি ফ্ল্যাট তার নামে লিখে নিয়ে এ বছর ৭০ লক্ষ টাকা বিক্রয় করে নিয়েছে। আমার বোন ডাঃ তাসনুভা আলমের স্বাক্ষর জালিয়াতি ও আমার স্বাক্ষর জালিয়াতি করে প্লযা আমমোক্তার নামা তৈরি করে ২০২১ সালে পূবালী ঝাংক হতে আমার বোন ও আমার নামে ৩০ লক্ষ টাকা লোন নিয়েছে।
তাসনুভা বলেন, আমার বাবা একজন বিবাহিতা, অন্যের স্ত্রী, অন্য ধর্মের, যেনা রানী ভৌমিকের সাথে তাদের ঔরসজাত সন্তান বর্তমান ১৮ বছরের নীলান্তি নামের যে মেয়েটি রয়েছে, সে বিষয়ে হেনা রানী ভৌমিক ও আমার বাবা আমাকে পরিষ্কার করে বলেছে নীলান্তি তাদেরই ভালোবাসার ফসল। কিন্তু যেনা রানী ভৌমিক কি করে চিত্ত জঞ্জন সেনের সাথে এখনও সংসার করে?