৩রা অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার,রাত ৪:৪৭

শিরোনাম
খুলনার তেরখাদায় নৌবাহিনীর অভিযানে অবৈধ কারেন্ট জাল ও চায়না দোয়ারী জাল আটক খুলনা মহানগরীর ১ ও ২৫নং ওয়ার্ডকে শিশুশ্রমমুক্ত ঘোষণা খুলনায় ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ এর পূনঃ সবুজায়ন কার্যক্রম উদযাপন এবং সমন্বিত সবুজ বিদ্যালয় ঘোষণা অনুষ্ঠিত মারধরের মামলায় খুলনা জেলা কারাগারে হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টী সত্যানন্দ দত্ত নতুন করারোপ ছাড়া কেসিসির ৭১৯ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা অশ্রুসিক্ত হৃদয়ে খুলনায় পালিত হলো ইমাম হুসাইন (আ.)’র পবিত্র চেহলাম খুলনা ও বরগুনায় নৌবাহিনীর যৌথ অভিযানে মাদকসহ আটক-৩ খুলনায় মাদক ব্যবসায়ী কর্তৃক হয়রানী থেকে বাঁচতে ও তাদের শাস্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন খুলনায় নারী-পুরুষ সম্পর্কিত প্রচলিত ভুল ধারণা মোকাবিলায় অ্যাডভোকেসি সভা অনুষ্ঠিত

অশ্রুসিক্ত হৃদয়ে খুলনায় পালিত হলো ইমাম হুসাইন (আ.)’র পবিত্র চেহলাম

প্রকাশিত: আগস্ট ১৬, ২০২৫

  • শেয়ার করুন

মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর দৌহিত্র, কারবালার শহীদ সম্রাট ইমাম হুসাইন (আ.)-এর শাহাদাতের চল্লিশা বা চেহলাম উপলক্ষে খুলনায় গভীর শোক ও শ্রদ্ধার সঙ্গে বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। শনিবার (১৬ আগস্ট) বিকাল ২টা ৩০ মিনিটে নগরীর আলতাপোল লেনস্থ আঞ্জুমান-এ-পাঞ্জাতানী ইমামবাড়িতে খুলনা বিভাগীয় চেহলাম কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
দিনব্যাপী আয়োজনে আলোচনা সভা, শোকসভা এবং মাতম মিছিল অন্তর্ভুক্ত ছিল। অনুষ্ঠানে খুলনা বিভাগের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে আগত হাজারো ধর্মপ্রাণ মুমিন ও মোমেনাত অংশ নেন।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ইসলামী শিক্ষা কেন্দ্রের অধ্যক্ষ হুজ্জাতুল ইসলাম সৈয়দ ইব্রাহীম খলিল রাজাভী। তিনি বলেন, “শহীদ সম্রাট ইমাম হুসাইনের প্রতি মুসলমানদের অন্তরে প্রোথিত ভালোবাসা কখনও নিভে যাবে না। মহানবী (সা.) নিজেই এ ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন। মানবজাতির ইতিহাসে ইমাম হুসাইন (আ.)-এর শাহাদাতের মতো শোকাবহ ও অনন্য কোনো ঘটনা নেই। তাঁর শাহাদাত সময়কে অতিক্রম করে অমরত্ব লাভ করেছে।”
তিনি আরও বলেন, ইমাম হুসাইন (আ.)-এর শাহাদাত স্মরণ কেবল আবেগের প্রকাশ নয়, বরং এটি জুলুমের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য প্রত্যেক মুসলমানের কাছে একটি নৈতিক ও ধর্মীয় দায়িত্ব।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, ঢাকাস্থ ইরান সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের কালচারাল কাউন্সিলর সাইয়্যেদ রেজা মীরমোহাম্মাদী। তিনি বলেন, মহানবী(সা.) বলেছেন, নিশ্চয় হুসাইন হেদায়েতের আলোকবর্তিকা এবং নাজাতের তরণী। বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মাদ (সা.) তাঁর প্রাণপ্রিয় নাতী হযরত হাসান ও হুসাইন (আ.)-কে নিজের সন্তান বলে অভিহিত করতেন। এ ছাড়াও তিনি বলেছেন, “নিশ্চয়ই হাসান ও হুসাইন জান্নাতে যুবকদের সর্দার।” (জামে আত-তিরমিজি, হাদিস নং-৩৭২০)
বক্তৃতা করেন খুলনা তালিমুল মিল্লাত রহমাতিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা এ এফ এম নাজমুস সাউদ। এছাড়াও বক্তৃতা করেন জামিয়্যাতে মুহিব্বীনে আহ্লে বাইত বাংলাদেশ এর আমির মাওলানা ইব্রাহীম ফয়জুল্লাহ। তিনি বলেন, ইমাম হুসাইন (আ.)-এর শাহাদাত শুধু মুসলমানদের নয়, সমগ্র মানবতার জন্য একটি শিক্ষণীয় দৃষ্টান্ত।
এছাড়া উপস্থিত ছিলেন হুজ্জাতুল ইসলাম সৈয়দ আলী রেজা জায়দী, মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস বাদশা, মাওলানা আশরাফুল আলম, মাওলানা মিজানুর রহমান, মাওলানা নুরে আলাম, মাওলানা মো. আব্দুল লতিফ, মাওলানা সৈয়দ সাজ্জাদ হোসেন, মাওলানা আব্দুল কাইউম, মাওলানা আলী আকবর, মাওলানা হাসিম আব্বাস, মাওলানা সৈয়দ ফিরোজ আলী আবেদী, মাওলানা শামীম হোসেন, মাওলানা শরিফুল ইসলাম, মাওলানা মীরাজ মুন্সি, মাওলানা মোস্তাক, মাওলানা সাজিদুল ইসলাম, মাওলানা শহিদুল হক, মাওলনা আনিসুর রহমান, মাওলানা মুজাফ্ফর, মাওলানা আবু সাঈদ, মাওলানা মাজিদুল ইসলাম, মাওলনা আবুজার হোসেন, মাওলনা শফিকুল ইসলাম, মাওলনা শফিকুল ইসলাম, এ্যাড. রুহুল আমিন, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জাহিদুর রমাহনসহ বাংলাদেশের বিশিষ্ট ৫০ জন ওলামায়ে কেরাম।
আলোচনা সভার পর বের করা হয় শোক ও মাতম মিছিল। মিছিলে আল্লাহু আকবার, ইয়া হুসাইন ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে ওঠে নগরীর বিভিন্ন এলাকা। এতে খুলনা বিভাগের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত ধর্মপ্রাণ মুমিন ভাইয়েরা অংশ নেন।
প্রসঙ্গত, প্রতি বছর ইসলামি বিশ্বে ২০ সফর তারিখে ইমাম হুসাইন (আ.)-এর শাহাদাতের চল্লিশা বা চেহলাম পালিত হয়। ৬১ হিজরির ১০ মহররম কারবালার প্রান্তরে ইয়াজিদের সৈন্যদের হাতে নির্মমভাবে শাহাদাত বরণ করেন ইমাম হুসাইন (আ.) ও তাঁর পরিবার ও সঙ্গিসাথীগণ। সেই থেকে এ দিনটি শোক, প্রতিবাদ ও মানবিক মূল্যবোধ রক্ষার অঙ্গীকারের প্রতীক হয়ে আছে।

ভাল লাগলে শেয়ার করুন
  • শেয়ার করুন