২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার,সন্ধ্যা ৭:২০

রাজনৈতিক আশ্বাসে বিশ্বাস ভেঙ্গেছে খুলনাবাসীর

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৪, ২০২৩

  • শেয়ার করুন

আলমগীর হান্নান : বিভাগীয় জেলা খুলনায় প্রতিশ্রুত উন্নয়ন হয়নি। সময়ের প্রেক্ষপটে বাস্তবায়নে গুরুত্ব পায়নি অসংখ্য রাজনৈতিক অঙ্গীকার। ফলে হরেক সময়ে বিভিন্ন প্রার্থী ও দলের দেওয়া নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির গুরুত্ব হারিয়েছে। এ জনপদে এখন ‘নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি’ একরকম রীতিতে পরিনত হয়েছে। এমন বাস্তবতায় রাজনৈতিক আশ^াসে বিশ^াস ভেঙ্গেছে খুলনাবাসীর।
গত দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে খুলনার জনগণকে দেওয়া বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সরকারের দেওয়া প্রতিশ্রুতি বিশ্লেষনে এসব অভিপ্রায় ব্যক্ত করে জেলার সচেতন নাগরিকরা বলেছেন, সাধারণ জনগণের জীবন মানের উন্নয়নের পরিবর্তে বিশেষ ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর স্বার্থে যেসব কাজ শুরু করেছে সেগুলোর বাস্তবায়ন গতিহীনতায় জনজীবনে দুর্ভোগ বাড়িয়েছে। সেই সাথে বিভাগীয় জেলাটির পরিকল্পিত উন্নয়ন উদ্যোগহীনতা সচেতন নাগরিকদের মাঝে বাড়িয়েছে উদ্বেগ।
জেলার রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, সরকারি সিদ্ধান্তে এক সময়ের গৌরবময় শিল্প নগরী খুলনার রাষ্ট্রায়ত্ব সব কল খারখানা বন্ধ করে দেওয়ায় ‘শিল্প নগরী’ ঐতিহ্য হারয়ে আর্থ সামাজিক প্রেক্ষাপটে পরিনত হয়েছে মৃত নগরীতে। তারা জানান, ‘সাদা সোনার খনি’ খ্যাত খুলনার উন্নয়ন ইস্যুতে নাগরিক সংগঠনগুলো যুগযুগ ধরে আন্দোলন সংগ্রাম করলেও আশানুরূপ সুফল মেলেনি। বরং স্বাধীনতা পরবর্তী সময় থেকে গত ৫০ বছরের বেশি সময়ে দেশের প্রায় প্রতিটি জেলার উন্নয়ন আগ্রগতি হলেও অধপতন হয়েছে খুলনার।
জেলার উন্নয়ন আগ্রতির পক্ষে গত কয়েক দশক ধরে কাজ করা সংগঠন খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম কমিটির অগ্রভাগের নেতা এবং সিনিয়র সিটিজেনদের মতে, স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের ১১টি জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেওয়া বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সরকারের পক্ষ থেকে দেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের পরিকল্পিত উন্নয়নে বন্ধ মিলের আধুনিকায়নসহ নতুন শিল্প স্থাপন, বিমান বন্দর নির্মাণ, পাইপ লাইনে গ্যাস সরবরাহ, নগরীর জলাবদ্ধতার নিরসন, গভীর সমুদ্র বন্দর স্থাপন, সিডোর ও আইলা কবলিত এলাকার নদী ভাঙ্গন রক্ষায় বেরিবাঁধ নির্মাণ এবং সুন্দরবন কেন্দ্রীক পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি দিলেও কার্যতঃ তার কোনেটিই বাস্তবায়ন হয়নি।
জেলার সুশীল সমাজের প্রতিনিধিসহ বিশিষ্টজনরা এ প্রতিবেদকের সাথে পৃথক পৃথক আলাপচারিতায় বলেছেন, নিবাচনী প্রতিশ্রুতি ছাড়াও সভা সমাবেশে বিভিন্ন সরকারের এমপি-মন্ত্রীদের দেওয়া উন্নয়ন অঙ্গীকারের পরিবর্তে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে খুলনার লাখ শ্রমিকের কর্মসংস্থানকারী রাষ্ট্রায়ত্ব সকল পাটকল, দেশের একমাত্র রাষ্ট্রীয় নিউজপ্রিন্ট মিল। সরকারী মৎস্য প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানাসহ অরো অনেক প্রতিষ্ঠান। রাষ্ট্রীয় শিল্প বন্ধের ধারায় যুক্ত হয়ে মৃতপ্রায় অবস্থায় পৌঁছেছে এ অঞ্চলের রপ্তানীমুখী ব্যক্তি খাতের শতাধিক হিমায়িত মৎস্য কারখানা। দ্বিতীয় ড্যান্ডির ঐতিহ্য হারিয়েছে দৌলতপুরের পাট ব্যবসা। তবে খুলনাবাসীর এসব অভিযোগের প্রায় প্রতিটির বিপরীতে নানা যুক্তি বড় করে তুলে ধরেছেন স্থানীয় রাজনৈতিক নেতারা।
এদিকে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের প্রাককালে গত অর্ধ কিংবা এক দশকে খুলনার ছয়টি সংসদীয় এলাকার জনগণের কাছে জনপ্রতিনিধিদের দেওয়া প্রশ্রিুতি বিশ্লেষনে দেখা যায়, দশম ও একাদশ সংসদ নির্বাচনে জেলার সবক’টি আসনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা বিজয় লাভ করলেও তাদের দেওয়া বড় কোন প্রতিশ্রুতিই বাস্তবায়ন হয়নি। বেশির ভাগ প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের উদ্যোগও নেওয়া হয়নি। নাগরিক চাহিদার গুরত্বকে পাশ কাটিয়ে নানান বিবেচনায় বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পগুলোর মেয়াদ শেষ হলেও শেষ হয়নি কাজ। ফলে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলোর নাগরিকরা। প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের বেহাল চিত্রে সংক্ষুব্ধ নাগরিক নেতারা এ জন্য কয়েকজন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির সততা, দক্ষতা ও যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
খুব বেশি পেছনে না গিয়েও সাম্প্রতিক বছরগুলেতে সংসদীয় আসনগুলোর রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি ও তার বাস্তবায়ন পর্যালোচনায় দেখা যায়, খুলনা-১ (দাকোপ-বটিয়াঘাটা) এলকা থেকে পঞ্চানন বিশ^াস একাধিকবার এমপি হয়েছেন, সংসদে হুইপের মর্যাদাও পেয়েছেন। কিন্তু আসন সীমানার নদী ভাঙ্গন কবলিত জনগোষ্ঠীর জীবন মানের উন্নয়নে ন্যূনতম স্বাস্থ্য সেবা, সুপেয় পানি কিংবা দুর্গম জনপদের সহজ যাতায়াত ব্যবস্থা সংশ্লিষ্ট প্রতিশ্রুতিগুলোও বাস্তবায়ন হয়নি। এ চিত্র গত দেড় দশকের।
খুলনার উন্নয়ন সংগ্রামের সুতিকাগার সদর আসনে (খুলনা-২) একাধিক দশক ধরে কর্তৃত্বের চেয়ারে রয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ। দীর্ঘ সময় দলীয় নগর পিতা থাকা সত্ত্বেও দলের অবস্থানকে আরো শক্ত পোক্ত করতে এ আসনের সাংসদ হিসেবে ব্যক্তি বদলালেও জনপ্রতিশ্রুত প্রত্যাশার দুয়ার খেলেনি সে ভাবে। প্রধানমন্ত্রী পরিবারের সদস্য সেখ সালাহউদ্দিন তার এক মেয়াদে বিভিন্ন সামাজিক ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান আর্থিক বরাদ্দের আওতায় আনলেও প্রতিশ্রুত শেখ হাসিনা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ এগোয়নি ততোটা। আর ক্যান্সার, হার্ট এবং কিডনি রিসার্স ইনস্টিটিউটেরমত অধিকতর জনগুরুত্বপূর্ণ প্রতিশ্রুতিগুলো রয়ে গেছে কাগজে কলমে। নতুন নতুন শিল্প স্থাপনের মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টির অঙ্গীকার বাস্তবায়নের কোনো উদ্যোগ দৃশ্যমান হয়নি নগরবাসীর।
জেলার সব চেয়ে শিল্প সমৃদ্ধ এলাকা খালিশপুর, দৌলতপুর ও খানজাহান আলীর অংশ বিশেষ নিয়ে গঠিত খুলনা-৩ আসনে রাজনীতির পালাবদল হয়েছে মূলতঃ বিএনপি ও আওয়ামী লীগের মধ্যে। প্রবীন নেতাদের মধ্যে সব শেষ এ এলাকায় শ্রমিক রাজনীতির উপর ভরকরে একাধিকবার সংসদে কর্তৃত্ব চালিয়েছেন বিদায়ী সংসদের শ্রম প্রতিমন্ত্রী বেগম মুন্নুজান সুফিয়ান। অদক্ষতা আর উদাসীনতায় তার মেয়াদেই এ আসনের সব রাষ্ট্রায়ত্ব কারখানাগুলো একে একে বন্ধ হয়েছে এবং লক্ষাধিক পরিবার কর্মহীন হয়েছে বলে শক্ত অভিযোগ এনেছেন সাধারণ জনগণ।
অন্যান্য আসনের মতো খুলনা-৩ আসনের সর্বশেষ সংসদ সদস্য ও শ্রম প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান একাধিকবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। শ্রমিক এলাকা হিসেবে পরিচিত খুলনার খালিশপুর, দৌলতপুর ও খানজাহান আলী থানার সমন্বয়ে গঠিত এই অঞ্চলটি এক সময় শিল্পাঞ্চল হিসেবে পরিচিত থাকলেও তার মেয়াদেই একে একে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে গৌরবময় সব পাটকল, নিউজপ্রিন্ট মিলসহ অন্যান্য অন্যান্য সরকারী প্রতিষ্ঠান। এতে জীবীকা হারিয়েছেন এসব এলাকার লক্ষাধিক পরিবার। কর্মহীন এসব পরিবারগুলোর বড় অংশ অন্যত্র চলে যাওয়ায় এলকাটি অতীতের সব গুরুত্ব হারিয়ে অনেকটা মৃত নগরীতে পরিনত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন মিলগুলোর এমপ্লায়িজ ইউনিয়নের শ্রমিক নেতারা। চাকরি চ্যুতদের আর্থিক সুবিধা নিশ্চিতের অঙ্গীকার দিয়েও মুন্নুজান সুফিয়ান তা ভঙ্গ করেছেন অভিযোগ এনে শ্রমিক নেতারা বলেছেন, গত একাদশ নির্বাচনের সময় প্রতিমন্ত্রী বন্ধ পাটকল ও নিউজপ্রিন্ট মিলের স্থলে বিশ^মানের আধুনিক শিল্প কারখানা স্থাপনের প্রতিশ্রতি দিয়ে নির্বাচিত হওয়ার পর সে বিষয়ে কোনো উদ্যোগই নেননি। এ অবস্থায় আসনটিতে পুরানো রাজনীতিবিদদের পরিবর্তে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ দলের সাংগঠনিক সম্পাদক এমএম কামালকে মনোনয়ন দিয়েছে।
খুলনা-৪ (রূপসা, তেরখাদা ও দিঘলিয়) আসনেও নানা কারণে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে তৃণমূলের রাজনীতিকদের কদর কমেছে। তারই অংশ হিসেবে একাদশ সংসদ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মনোনয়নে হঠাৎ এমপি হন এক সময়ের তারকা ফুটবলার ব্যবসায়ী নেতা সালাম মুর্শেদী। নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে কিছু বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভূক্ত করা ছাড়া জনসন্তুষ্টি অর্জনে তেমন কিছুই করতে পারেন নি। ভৈরব নদীর উপর সেতু নির্মাণের মাধ্যমে নগরীর সাথে তার সীমানার তিনটি থানার সরাসরি সংযোগ স্থাপন প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হলেও মূল কাজ শুরুই হয়নি। নদীর ভেতরে সেতুর একটি পিলারও দৃশ্যমান হয়নি। প্রায় একই দশা প্রতিশ্রুত কাটেঙ্গা ও বামনডাঙ্গা ব্রীজের। এখনো অসম্পন্ন রয়ে গেছে তিন থানায় মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণসহ এলাকাবাসীর জন্য সুপেয় পানি ও স্যানিটেশন ব্যবস্থা নিশ্চিত করার অঙ্গীকার।
খুলনা সিটি কর্পোরেশন এলাকার সীমানা সংলঘ্ন দুই উপজেলা ডুমুড়িয়া ও ফুলতলা নিয়ে গঠিত খুলনা-৫ আসনে কয়েকদফা এমপি হয়ে মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদা কুড়িয়েছেন নারায়ন চন্দ্র চন্দ। প্রত্যেকবারের নির্বাচনী বৈতরণী পাড় হতে ছোট বড় অসংখ্য প্রতিশ্রুতি দিলেও আসনটির দুর্গম যাতায়াত ব্যবস্থার উন্নয়নে গতি হয়নি তেমনটি।
অতীতের ধারাবাহিকতা ভেঙ্গে একাদশ নির্বাচনে জেলার শেষ সীমা পাইকগাছা ও কয়রা উপজেলা নিয়ে গঠিত খুলনা-৬ আসন থেকে বিজয়ী হন জেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ আক্তারুজ্জামান বাবু। ভাঙ্গনকবলীত কয়রা এবং পাইকগাছার ভাঙ্গন রোধে বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণসহ এলাকার ব্যাপক উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। এর মধ্যে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে নিজের ঠিকাদারিতে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হলেও সেগুলোর বেশিরভাগ রয়ে গেছে অসম্পূর্ণ অবস্থায়। তবে উপজেলা দুটির সাধারণ জনগোষ্ঠীর কাছে তার দেওয়া প্রধানতম প্রতিশ্রুতি সুপেয় পানি সরবরাহে তেমন কোনো উদ্যোগই নেননি বলে অভিযোগ উঠেছে।
পরিকল্পনায় অজ্ঞতা ও নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির অযোগ্যতাকে প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের অন্তরায় বলে মন্তব্য করেছেন সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) খুলনার সভাপতি এ্যাড. কুদরত-ই- খুদা। তিনি বলেন, প্রতিশ্রুতি দেওয়ার আগে জনপ্রতিনিধিদের স্থানীয় জনগণের প্রত্যাশা অনুধাবন করতে হবে। জনগন যা চায় তা সরকারের কাছ থেকে আদায় করতে হবে। কিন্তু খলনার অধিকাংশ জনপ্রতিনিধি নিজেদের অযোগ্যতা অদক্ষতায় সরকারের সিদ্ধান্ত জনগণের উপর চাপিয়ে দিয়েছেন। ফলে সরকারের নিদর্শেনায় মিল কারখানা বন্ধ করে দিয়ে খুলনার উন্নয়ন, অগ্রগতি ও কর্মসংস্থানের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। এরা এলকার জনগণের ভাগ্যোন্নয়নের পরিবর্তে নিজেদের সীমাহীন উন্নয়নের জন্য দুর্নীতি অনৈতিকতায় লিপ্ত থাকেন।
রাজনৈকি প্রশ্রিুতি বাস্তবায়ন প্রসঙ্গে বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সভাপতি শেখ মুঃ আশরাফ উজ জামান বলেন, প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে রাষ্ট্রীয় বাজেটে অংশিদারিত বাড়াতে সংশ্লিষ্ট এলাকার এমপিদের যথেষ্ট উদ্যোগী হোতে হয়। কিন্তু খুলনার উন্নয়নে দু’একজন ছাড়া গত পাঁচ বছরে অন্যরা ভালো ভুমিকা রাখেননি। তারমতে, বর্তমান সরকারের মেয়াদে খুলনায় শেখ হাসিনা মেডিকেল বিশ^বিদ্যালয়ের অনুমোদন ছাড়া আর উল্লেখযোগ্য কিছু হয়নি। বিমান বন্দর স্থাপন ও পাইপ লাইনে গ্যাস সরবারাহের প্রতিশ্রুতির অগ্রগতি না থাকায় অনেকটা হতাশাও ব্যক্ত করেন খুলনার অন্যতম প্রধান নাগরিক সংগঠনের এই শীর্ষ নেতা।
জনপ্রতিনিধিদের প্রতিশ্রুতি প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে গিয়ে খুলনা বিশ^বিদ্যালয়ের নগর ও গ্রামীণ পরিকল্পনা অনুষদের প্রধান প্রফেসর ড. আশিক উর রহমান বলেন, খুলনার অর্থবহ উন্নয়ন চাইলে আধুনিকায়নের মাধ্যমে কল কারখানাগুলোর বন্ধ দুয়ার খুলে দিতে হবে। ‘শল্পনগরী’ অতীত ঐতিহ্যা ফিরাতে খুলনায় সরকারী বেসরকারী বিনিয়োগর পাশাপাশি বিদেশী বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার ব্যবস্থা করতে হবে। কর্মসংস্থামুখী দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনায় শিল্পায়নের পাশাপাশি রূপসা নদীর দুই পাস ঘিরে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রঞন ও পর্যটন কেন্দ্র স্থাপনের উপর গুরুত্বারোপ করেছেন এই খ্যাতিমান উন্নয়ন পরিকল্পনাবিদ।

ভাল লাগলে শেয়ার করুন
  • শেয়ার করুন